ফুলবাড়ী (দিনাজপুর) প্রতিনিধি

  ০৪ জুন, ২০২৩

জমি নিয়ে বিরোধ

গাছ কাটাসহ বসতবাড়িতে আগুন

জমি নিয়ে বিরোধের জেরে দিনাজপুরের পার্বতীপুরের দলাইকোটা গ্রামের আমবাগানের ১৯টি গাছ কেটেফেলা সহ বসত বাড়িতে অগ্নিসংযোগের অভিযোগ উঠেছে। গত শুক্রবার (২ জুন) দুপুরে উপজেলার ১০নম্বর হরিরামপুর ইউনিয়নের দলাইকোটা নামক এলাকায় এই ঘটনাটি ঘটেছে ।

ক্রয় সূত্রে মালিক মকবুল ও লাল মিয়া জানান, শুক্রবার দুপুরে কোন প্রকার আগাম নোটিশ ছাড়াই কোর্টের ডিক্রি নিয়ে তাদের ক্রয়কৃত ৪২ শতাংশ জমির উপর আম, কাঠালের বাগানের গাছসহ বসত বাড়িতে অগ্নিসংযোগ করেছে প্রতিপক্ষ মোজাহারার ছেলে মাজেদ, মোকারম, মাহবুব, আউয়ালসহ আব্দুস ছালামের ছেলে আহাদ, আলী, রহিম আজিদ ও আলিম গং। এসময় প্রতিপক্ষরা তাদের ক্রয়কৃত সম্পত্তির ১৯টি ফলদ আম গাছ, দুটি কাঁঠাল গাছ কেটে ফেলে এবং বসত বাড়িতে আগুন দেয়। পরে ফুলবাড়ী ফায়ার সার্ভিস এর একটি ইউনিট এসে আগুন নেভায়।

তারা জানান, প্রায় অর্ধশত বছর আগে এই জমিটি মৃত বাহার আলী ও অহির আলীর কাছ থেকে ক্রয় করেন মৃত রমজান আলী। এরপর কয়েক হাত বদল হয়ে শেষে মকবুল এবং লাল মিয়া জমিটি ক্রয় করে প্রায় ৪৯ বছর ধরে বসবাসসহ চাষাবাদ করে আসছে। প্রতিপক্ষরা এই জমির উপর আদালতে ছোলেনামা মামলা করলে ২০০৮সালে আদালত মামলায় প্রতিপক্ষ মোজাহার ও ছালাম গং এর পক্ষে একতরফা ডিক্রির ঘোষণা করে।

বর্তমানে দখলকৃত জমির মালিক মকবুল ও লাল মিয়ার দাবী আদালতের ঐ ডিক্রির রায়ের উপর আপিল চলমান থাকলেও তাদেরকে কোন প্রকার নোটিশ না করেই হঠাৎ কোর্টের লোকজনসহ শুক্রবার জমি দখলে নেয়ায় জন্য লাল ফ্লাগ পুতে দেয়া হয়। আদালতের লোকজন চলে যাওয়ার পর প্রতিপক্ষরা লাল মিয়া ও মকবুলের গাছপালা কর্তনসহ বাড়িতে অগ্নিসংযোগ করে। এ ঘটনায় এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়লে মধ্যপাড়া ফাঁড়ির পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে নেয়।

এবিষয়ে প্রতিপক্ষ মোজাহারের ছেলে মাজেদেও নাম্বারে ফোন করলে তিনি জানান, প্রায় ৭০বছর আগের মামলায় তাদের পক্ষে রায় হলে, তার দাদা (মাজেদ এর দাদা) বর্তমানে ওই জমির উপর বসবাস করা ব্যক্তিদের মৌখিকভাবে জমি প্রদান করে। কিন্তু পরবর্তীতে বর্তমানে বসবাসকারী ব্যক্তিরা ওই মামলার রায়ের বিরুদ্ধে মামলা করায় তারা ক্ষিপ্ত হয়ে আদালতের লোকজনসহ জমির দখল নিতে যান।

এ বিষয়ে মধ্যপাড়া ফাঁড়ির ইনচার্জ হারুন-উর-রশীদ জানান, আদালতের দ্বায়িত্বপ্রাপ্ত লোকজনসহ ওই জমিতে থাকা দখলদারদেও উচ্ছেদ করতে গেলে কে বা কারা (উৎসুক জনতা) বাড়ির সামনে থাকা খড়ের গাঁদায় আগুন দেয়। পরবর্তীতে পুলিশ আগুন নিভিয়ে আদালতের লোকজনসহ দখলকারীদের ১০দিন সময় দিয়ে চলে আসেন।

পার্বতীপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবুল হাসনাত খানের সাথে শনিবার যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, যেহেতু বিষয়টি আদালতের আদেশ, এখানে আমাদের হস্তক্ষেপ করার সুযোগ নেই। সেখানে কোন বড় ঘটনা ঘটেনি, এরপরেও যদি ফৌজদারি অপরাধ সংঘঠিত হয়ে থাকে যে কোন পক্ষ চাইলে আইনি প্রতিকারের জন্য থানায় আসতে পারেন। আমরা তদন্ত করে ব্যবস্থা নেব।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close