এস এম রাফি, চিলমারী (কুড়িগ্রাম)

  ২৫ মার্চ, ২০২৩

তদারকির মাঝেই বাড়ছে দাম

চিলমারীর নিত্যপণ্যের বাজার

রমজান উপলক্ষে প্রতিনিয়ত হাটবাজার তদারকি করা হলেও থেমে নেই বাজার দর। প্রশাসনের তদারকির মাঝেই কুড়িগ্রামের চিলমারীতে বেড়েছে নিত্যপণ্যের দাম। এতে আরো বিপাকে পড়েছেন নিম্ন আয়ের মানুষ। দিনমজুররা বলছেন, দৈনিক আয়ের তুলনায় বেড়েছে প্রতিটি প্রয়োজনীয় পণ্যের দাম। ফলে বাজারে আসলেই তাদের নাভিশ্বাস ওঠে যায়।

রমজানের আগের রাতে (বৃহস্পতিবার) থানাহাট বাজার সরেজমিনে ঘুরে এমন সব তথ্য পাওয়া গেছে। অনেক ক্রেতাই প্রশ্ন তুলেছেন রমজান এলেই অনেক ব্যবসায়ী নিজে থেকেই পণ্য বেশি দামে বিক্রি করছেন। গত দুদিনে কেজি প্রতি পাঁচ টাকা বেড়ে আলু বিক্রি হচ্ছে ২০ টাকায়। দেশি আলু ৩৫ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। শিম ৩৫ টাকা, পেয়াঁজ ৩৫, বেগুন ২০ ও মোটা বেগুন ৬০ টাকা, শশা কেজি প্রতি ৩০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। তবে ধনে পাতার দাম দ্বিগুণ বেড়ে বর্তমানে ৫০ গ্রাম বিক্রি হচ্ছে ১০ টাকায়। তবে কাঁচা মরিচের দাম একটু কমে কেজি প্রতি ৬০ টাকা বিক্রি হচ্ছে।

তবে মাংসের বাজার নিম্নবিত্তের নাগালের বাইরে চলে গেছে। গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৮০০ টাকা। খাসি তো ধরা ছোঁয়ার বাইরে। দিনমজুরদের ভরসা সাদা মুরগি অর্থাৎ ব্রয়লার। তবে সেটির দাম বেড়েছে কয়েক দফা। বর্তমানে দেশি মুরগি বিক্রি হচ্ছে ৬০০ টাকা কেজি, লেয়ার মুরগি ৩৪০ টাকা, ব্রয়লার মুরগি কেজি প্রতি বিক্রি হচ্ছে ২৪০ টাকা।

মাংস বিক্রেতা আনারুল ইসলাম বলেন, বর্তমানে আমরাই বেশি দামে মুরগি কিনে আনছি। কারণ মুরগির খাদ্যের দাম বেড়েছে। দাম বৃদ্ধিতে সারাদিনে দুই মণ মাংসও বিক্রি করতে পারিনি। অথচ প্রতি বছর রমজানের আগের রাতে সাত থেকে আট মণ মাংস বিক্রি করছি। তবে দাম বাড়লেও লাভ আগের মতই আছে বলে জানান এই ব্যবসায়ী।

চিনি বিক্রি হচ্ছে ১১২ টাকা, ছোলা ও মসুর ডাল ৯০, আদা ৬০ এবং লবণ বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকা কেজিতে। বাজার বিশ্লেষণে দেখা গেছে, প্রতিটি পণ্যের দাম বেড়েছে পাঁচ থেকে ১০ টাকা। পাশাপাশি সব ধরনের মাছের কেজি প্রতি বেড়েছে ২০ থেকে ৫০ টাকা।

থানাহাট বাজারে মাইদুল ইসলাম নামে এক ক্রেতা বলেন, প্রতি বছর মধ্যস্বত্বভোগীরা মুসলিমদের গুরুত্বপূর্ণ মাস রমজানের দুই এক মাস আগে থেকে মজুত শুরু করে এবং রমজান মাসে তা বাজারে ছাড়ে। ফলে রমজান মাস শুরু হওয়ার আগে থেকেই মূল্য বৃদ্ধি হয়। রমজান মাসে বিভিন্ন মুসলিম দেশে সরকারের বিভিন্ন বিভাগ বাজার তদারকিতে রাখে, কিন্তু আমাদের দেশে সম্পূর্ণ ভিন্ন। সরকার থেকে শুরু করে ব্যবসায়ীরা বাজারে লাভের জন্য বিভিন্ন রকম কারিশমা চালায়। ক্ষমতায় থাকা এমপি-মন্ত্রীরা যদি ব্যবসায়ী না হতো তাহলে আমাদের দেশের বাজার ব্যবস্থা নিয়ন্ত্রণ খুবই সহজ হতো। চাইলে সরকার এই দুর্ভোগ থেকে জনগণকে রক্ষার ব্যবস্থা নিতে পারে। আমরা আশা করছি সরকার এ ব্যপারে জনবান্ধব কর্মসূচি গ্রহণ করবে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মাহবুবুর রহমান বলেন, আমরা প্রতিনিয়ত বাজার মনিটরিং করছি। যাতে নির্ধারিত মূল্যের থেকে বেশি দামে বিক্রি করতে না পারে। আমরা বাজার পরিদর্শন করেছি এবং সতর্ক করা হয়েছে ব্যবসায়ীদের।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close