তালতলী (বরগুনা) প্রতিনিধি

  ০৭ অক্টোবর, ২০২২

স্কুলভবন নেই চার বছর ইউপি ভবনে পাঠদান

পরিষদে জনসমাগমের কার্যক্রম থাকলে বন্ধ থাকে শিক্ষাকার্যক্রম

বরগুনার তালতলী উপজেলার নলবুনিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভবন ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় নিলামে বিক্রি করা হয়েছে। তবে নতুন ভবন নির্মাণ না করায় চার বছর ধরে পাশেই ইউনিয়ন পরিষদ ভবনের কয়েটি রুমে চলছে পাঠদান। তবে পরিষদে জনসমাগম কার্যক্রম থাকলে বন্ধ রাখতে হয় বিদ্যালয়।

জানা যায়, নলবুনিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি ১৯৪৩ সালে স্থাপিত হয়। এর পরে ১৯৯৩ সালে স্কুল ভবন নির্মাণ করা হয়। পরে ২০১৮ সালে ভবনটি ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা করে কর্তৃপক্ষ। ২০১৯ সালে নিলামে ভবনটি বিক্রি করা হলে পার্শ্ববর্তী শারিকখালী ইউনিয়ন পরিষদ ভবনে সাময়িক পাঠদান কার্যক্রম শুরু হয়। চার বছর ধরে পাঁচটি শ্রেণির পাঠদান চলছে এই ইউপি ভবনে। বর্তমানে শিশু থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত ২৬২ শিক্ষার্থীর জায়গা হচ্ছে না। কিছু শিক্ষার্থী কক্ষে ও বারান্দায় বসিয়ে ক্লাস করে।

এর আগে গত ২০১৯-২০২০ অর্থ বছরে দেড় লাখ টাকা বরাদ্দ পেলে সেই টাকা দিয়ে ইউপি ভবনের নিচ তলায়সহ সাময়িক পাঠদানের জন্য টিনশেড দিয়ে বেড়া দেওয়া হয়। সেখানে পাঠদান শুরু হয়। বর্তমানে ইউপি ভবনে পরিষদের কার্যক্রমের কারণে পাঠদানের কোনো পরিবেশ নেই। এমন অবস্থায় শিক্ষার্থীরাসহ অবিভাবকরা দ্রুত স্কুলভবন নির্মাণের দাবি করেছেন।

এ বিষয়ে বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী রুহান, ইমরান ও হাফিজুর জানায়, তাদের বিদ্যালয়ের পিএসসি পরীক্ষার ফলাফল খুবই ভালো। এছাড়া বিভিন্ন ধরনের শিক্ষা কার্যক্রমে উপজেলার মধ্যে শ্রেষ্ঠত্বের দাবিদার এই প্রতিষ্ঠান। কিন্তু ভবন না থাকায় অনেককে কষ্ট করে পাঠগ্রহণ করতে হচ্ছে। দ্রুত নতুন ভবন নির্মাণ করে দেওয়া দাবি জানায় ক্ষুদে শিক্ষার্থীরা।

একাধিক অভিবাবকরা বলেন, দ্রুত ভবন নির্মাণ না করলে বৃষ্টির দিনে আমাদের ছেলে-মেয়েদের স্কুলে আসা বন্ধ হয়ে যাবে। তাই স্কুল ভবনটি নির্মাণের দাবি করছি। নলবুনিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আনোয়ার হোসেন বলেন, গত চার বছর আগের আমাদের স্কুল ভবন নিলামে বিক্রি করা হয়েছে। এরপর থেকেই ইউনিয়ন ভবনে পাঠদান শুরু করি। সেখানে ছাত্র-ছাত্রীদের পাঠদান করা খুব কষ্ট হয়। বৃষ্টির দিনে ছাত্র-ছাত্রীদের স্কুলে আসা বন্ধ হয়ে যাবে। তাই দ্রুত বিদ্যালয়ের ভবনটি নির্মাণের দাবি করছি।

উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা শফিউল আলম জানান, বিদ্যালয়টির ভবন না থাকায় শিক্ষা কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে ঠিকই। তবে এক তলা এইটি ভবন বরাদ্দ হয়ে আছে। নির্মাণের অপেক্ষায় আছে। তবে ওই স্কুলে যে ছাত্র-ছাত্রী তাতে এই ভবনে হবে না। এজন্য দুই তলা ভবন বরাদ্দ চেয়ে মন্ত্রণালয়ে আবেদন পাঠানো হয়েছে। আশা করি দ্রুত বরাদ্দ পাওয়া যাবে।

উপজেলা প্রকৌশলী আহাম্মদ আলী বলেন, ওই স্কুলের ভবনটি অনুমোদনের অপেক্ষায় আছে। অনুমোদন পেলেই নির্মাণ কাজ শুরু করা হবে। তালতলী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এস এম সাদিক তানভীর বলেন, খোঁজ খরব নিয়ে দেখবো। দ্রুত ভবন নির্মাণের জন্য চেষ্টা থাকবে।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close