কামারখন্দ (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধি

  ৩০ জুন, ২০২২

কামারখন্দে এক রাতে সাত মিটার চুরি

সিরাজগঞ্জের কামারখন্দে আবারও বেড়েছে পল্লী বিদ্যুতের মিটার চুরি। বেশ কিছুদিন বৈদ্যুতিক মিটার চুরি বন্ধ থাকলেও আসন্ন কোরবানির ঈদ কেন্দ্র করে সক্রিয় হয়ে উঠেছে চোরচক্রের সদস্যরা।

জানা গেছে, উপজেলায় ধলেশ্বর, বারাকান্দি এবং চৌবাড়ী এলাকা থেকে সাতটি মিটার চুরি হয়েছে। পরবর্তীতে চুরি করবে বলে হুমকিস্বরূপ আরো আট মিটারে টাকার দাবিতে বিকাশ নম্বরের টোকেন রেখে গেছে চোরচক্রের সদস্যরা। চুরি হওয়া সাত মিটারের মধ্যে তিনটি মিটার রাইস মিলের, তিনটি করাতকলের এবং একটি সাপ্লাই পানির ট্যাংকের।

হায়দারপুর এলাকার চুরি হওয়া মিটারের গ্রাহক রুবেল হায়দার জানান, মিটার চুরি করে নেওয়ার পর চোরচক্র মিটার বাক্সে একটি টোকেন রেখে যান। সেই টোকেনে লেখা আছে একটি বিকাশ নম্বর। সেই নম্বরে ফোন দিলে তারা অনেক টাকা দাবি করে। আমি টাকা না দিয়ে পল্লী বিদ্যুৎ অফিসে জানিয়ে দিয়েছি।

চৌবাড়ী এলাকার মিটার গ্রাহক রেজাউল করিম জানান, সকালে ঘুম থেকে উঠে দেখি আমার রাইস মিলে বিদ্যুৎ সংযোগ নেই। মিটার এলাকায় গিয়ে দেখি আমার মিটারটি চুরি হয়েছে। পরে মিটারের খালি বক্সের ভেতর রেখে দেওয়া নম্বরে যোগাযোগ করলে ৬ হাজার টাকার বিনিময়ে সদর উপজেলার কড্ডারমোড় এলাকা থেকে আমার মিটার উদ্ধার করি।

চৌবাড়ী এলাকার অপু চৌধুরী জানান, ‘আমাদের প্রায় ১০০ পরিবার যে পানি ব্যবহার করি, সেই পানির পাম্পের মিটার চুরির চেষ্টা করা হয়েছিল। কিন্তু লোকজনের উপস্থিতি টের পেয়ে চোর পালিয়েছে ঠিকই, কিন্তু মিটার বক্সে নম্বর ব্যবহার করা টোকেন রেখে গেছে। সেই নম্বরে ফোন দিলে চোর আমার নাম ধরে বলে এবার চুরি করিনি কিন্তু দু-এক দিনের ভেতরে চুরি করব অথবা তোমাদের মিটার ভেঙে দেব। যদি মিটার বাঁচাতে চাও, তাহলে পাঁচ হাজার টাকা পাঠাও।

কামারখন্দ সাব-জোনাল অফিসের এজিএম কামরুজ্জামান জানান, আমরা এখন পর্যন্ত ৬টি মিটার চুরির তথ্য পেয়েছি। আমাদের পক্ষ থেকে মামলার প্রস্তুতি চলছে।

কামারখন্দ থানার ওসি হাবিবুল্লাহ জানান, এখন পর্যন্ত মিটার চুরির ব্যাপারে কোনো অভিযোগ আসেনি। অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close