তাড়াশ (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধি

  ১২ মে, ২০২২

কৃত্রিম জলাবদ্ধতায় ধান কাটায় বিপত্তি

সিরাজগঞ্জের তাড়াশে যত্রতত্র পুকুর খনন করার ফলে কৃত্রিম জলাবদ্ধতার কারণে শত শত বিঘা জমির ধান পানির নিচে। গত কয়েক দিনের বৃষ্টিতে কৃত্রিম জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হওয়ায় কৃষকের এখন দুর্বিষহ অবস্থা। টানা কয়েক দিনের বৃষ্টিতে জলমগ্ন হয়ে পড়ায় তলিয়ে গেছে ধান। সেই সঙ্গে শ্রমিক সংকট দেখা দেওয়ায় বোরো ধান কাটা ও মাড়াইয়ের কাজে ভাঁজ বাড়িয়েছে কৃষকের কপালে। এ ছাড়া কয়েক দিনের বৃষ্টির কারণেও ধান কাটা নিয়ে বিপাকে পড়েছেন কৃষক। প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও শ্রমিক সংকটের কারণে ধানের বাম্পার ফলনের পরও স্বস্তি নেই কৃষকদের।

অন্যদিকে আবারও বৃষ্টি হওয়ার আশঙ্কায় ফসল নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন কৃষক। ব্যাপক হারে বোরো চাষে বিগত বছরের তুলনায় এবার বাম্পার ফলন হয়েছে। কিন্তু ধান কাটার শ্রমিক না পেয়ে দিশাহারা কৃষক। এ কারণে বোরো বাম্পার ফলনেও কৃষকের মুখে হাসি নেই। যেসব স্থানীয় শ্রমিক পাওয়া যাচ্ছে, তাদের দ্বিগুণ পারিশ্রমিক দিতে হচ্ছে।

উপজেলার মাধাইনগর ইউনিয়নের সেরাজপুর, গুরমা, ওয়াসিন, তাড়াশ সদরসহ বেশ কয়েকটি মাঠে দেখা যায়, ফসলি মাঠগুলোতে বৃষ্টির পানিতে ধান ডুবে গেছে। আবার কোনো জমির ধান বাতাসে পড়ে গেছে। আর ফসলি জমিগুলোতে বাঁধ সাধে কৃত্রিম জলাবদ্ধতা। যত্রতত্র পুকুর খনন করার কারণে বৃষ্টির পানি খাল দিয়ে নিষ্কাশন হতে না পারায় জলাবদ্ধতা হয়। ধান কাটার শ্রমিক না পাওয়ায় কৃষকের মুখ মলিন হয়ে পড়েছে। মুষল ধারায় বৃষ্টিপাতে মাঠের পাকা ধান নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। কষ্টের ফসল সঠিক সময়ে ঘরে তুলতে না পারায় শঙ্কায় ভুগছে কৃষক। পর্যাপ্ত শ্রমিকের অভাবের মধ্যে নিরুপায় হয়ে উচ্চদরে শ্রমিক মিলছে অল্প পরিমাণে।

কৃষক মনিরুজ্জামান, আলতাব আলী, শরিফুল ইসলামসহ অনেকেই জানান, ধান কাটা শ্রমিক প্রতি বিঘা জমির ধান কাটতে বিঘায় পাঁচ থেকে সাত হাজার টাকা করে নিচ্ছেন। তারা জানান, প্রভাবশালীরা ব্রিজ-কালভার্টের মুখ বন্ধ করে বিভিন্ন স্থাপনা নির্মাণ করায় জমির মধ্যে কৃত্রিম জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। সেই ধান কাটতে এখন শ্রমিক সংকট আবার যা শ্রমিক পাওয়া যায়। তা আবার দ্বিগুণ টাকা দিতে হয় তাদের। তাড়াশ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা লুৎফুন নাহার লুনা বলেন, চলতি বোরো মৌসুমের শুরু থেকে কৃষি বিভাগের মাঠকর্মীসহ সব স্তরের কর্মকর্তা কৃষকদের নানা দিক-নির্দেশনা দিয়ে কৃষকদের উৎসাহিত করেছেন। এ পর্যন্ত কৃষকরা যে পরিমাণ ধান ঘরে উঠাতে পেরেছেন ফলন খুবই ভালো হচ্ছে। কিন্তু শ্রমিক সংকটের কারণে ধান কাটা নিয়ে কৃষকরা একটু সমস্যায় পড়েছেন।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close