সিরাজগঞ্জে রায়গঞ্জের বিভিন্ন এলাকার খা, বিল, নদী নালা, পুকুর, ডোবার পানি কমে যাচ্ছে। গ্রাম গঞ্জে চলছে মেশিন দিয়ে ডোবা নালা সেচে মাছ ধরার পালা। শিশু, কিশোর, বৃদ্ধসহ সব বয়সী মানুষ অংশ নিচ্ছে আনুষ্ঠনিক এই মাছ ধরায়। মাছ ধরতে ব্যবহার করা হচ্ছে থালা, বাটিসহ বিভিন্ন ধরনের সরঞ্জাম। এমনকি কেউ কেউ খালি হতেই নেমে পরছেন মাছ ধরার জন্য।

সরারাত শ্যালোমেশিন দিয়ে পানি শেষ করে সকাল থেকে প্রায় দুপুর পর্যন্ত চলে গ্রামীন ঐতিহ্য মাছ ধরার উৎসব। পরিবারের চাহিদা মিটিয়ে আত্নীয় বাড়ি মাছ উপহার দিচ্ছে। আর অতিরিক্ত মাছ হাটবাজারে বিক্রি করে দেওয়া হয়। ট্যাংরা, কই, টাকি ও শিং মাছই বেশি ধরা পড়ে। মিলছে কিছু কিছু শোল মাছও। এসব মাছ বর্ষাকালে বিভিন্ন এলাকা থেকে ভেসে এসে ডোবা, পুকুর, খাল, বিল ও নিচু জামিতে আশ্রয় নেয়। এই সময়ে ধরা পড়ছে এসব মাছ।

গতকাল রবিবার উপজেলার গ্রামপাঙ্গাসী চানপাড়া গ্রামে একটি ডোবায় সকাল থেকে মাছ ধরায় ব্যস্ত সময় পার করছেন বিভিন্ন বয়সের শৌখিন মৎস্যশিকারীরা।

গ্রামপাঙ্গাসী গ্রামের শ্যালোমেশিন মালিক আব্দুল মান্নান ও শাহীন সরকার বলেন, টাকার বিনিময়ে আমরা ম্যালোমেশিন দিয়ে অন্যের পুকুর সেচে দেই। আবার অনেকেই ডোবা, নালা, পুকুর, খাল, বিলের অর্ধেক মাছও আমাদের দিয়ে থাকেন।

এদিকে উপজেলার গ্রামপাঙ্গাসী মিরের দেউলমূড়া গ্রামের হাফেজ রফিকুল ইসলাম বলেন, আগে উপজেলার বিভিন্ন বিলে মাছ ধরা হবে বলে মাইকে ঘোষণা দিয়ে এলাকার সবাই একত্রিত হয়ে মাছ ধরার উৎসবে নেমে পড়তো পানিতে। একত্রিত ভাবে মাছ ধরার মজাটাই ছিল আলাদা। কিন্তু দিন দিন দলবদ্ধ হয়ে মাছ ধরার এমন ঐতিহ্য প্রায় হারিয়েই যাচ্ছে। তার পরও থেমে নেই গ্রাম গঞ্জের ডোবা, নালা, খাল, বিলের গ্রামীণ ঐতিহ্য মাছ ধরার উৎসব।

"