জাকারিয়া চৌধুরী, হবিগঞ্জ

  ১৫ জানুয়ারি, ২০২২

হলুদ ও সবুজ স্কোয়াশে কৃষকের হাসি

স্কোয়াশ একটি বিদেশি সবজি। ইউরোপের বিভিন্ন দেশে এই সবজিটি আবার ‘জুকিনী’ নামে পরিচিত। অস্ট্রেলিয়া, ইতালি, যুক্তরাষ্ট্র, মেক্সিকো, যুক্তরাজ্য, সৌদি আরব, দক্ষিণ আফ্রিকাসহ বিভিন্ন দেশে এই সবজিটি জনপ্রিয় হলেও বাংলাদেশে স্কোয়াশ একেবারেই নতুন। তবে ধীরে ধীরে এই সবজিটি এখন জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। যা গত দুই এক বছর ধরে আমাদের দেশে চাষ করা হচ্ছে।

গত বছরের মতো এবারও হলুদ ও সবুজ রঙের স্কোয়াশ চাষ করে বেশ সাফল্য পাচ্ছে হবিগঞ্জের বাহুবল উপজেলার ভূলকোট গ্রামের কৃষক সানু মিয়া। গ্রামের সড়কের পাশেই মাত্র ১৫ শত জমিতে এ স্কোয়াশ চাষ করেছেন তিনি। যার বাম্পার ফলনে হাসি ফুটেছে সানু মিয়াসহ তার পরিবারের সদস্যদের। স্থানীয় জনসাধারণও নতুন জাতের এই সবজি দেখতে প্রতিদিনই ওই এলাকায় ভীড় জমাচ্ছেন, কিনছেন এই সবজিও। গত বছরের মতো এবারও বেশি লাভবান হওয়ার আশা তার। এতিকে এই সবজি চাষে প্রতিনিয়ত পরামর্শ দিচ্ছেন কৃষি অফিসের কর্মকর্তারা।

সানু মিয়া বলেন, ‘গত বছরও আমি এই জমিতে স্কোয়াশ চাষ করেছিলাম। এবার দুই রঙের চাষ করেছি। বাম্পার ফলন হয়েছে দামও ভাল পাচ্ছি। ১৫ শতক জায়গায় স্কোয়াশ চাষ করতে প্রায় ৮ থেকে ১০ হাজার টাকা খরচ হলেও লাখ টাকা আয় হবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি। গত অক্টোবরে এ স্কোয়াশের বীজ বপন করি। ইতোমধ্যে বিক্রি শুরু হয়েছে।

ভূলকোট গ্রামের সাইফুর, সামছুর রহমান ও রুবিনা আক্তারসহ একাধিক ক্রেতা বলেন, নতুন এই সবজি খেতে বেশ সুস্বাধু। এ জাতের সবজি নতুন হওয়ায় সাধারণ মানুষ আগ্রহ নিয়ে এ সবজি কিনছেন। দাম একটু বেশি হলেও এতে রয়েছে নানা ধরণের পুষ্টিও। পুষ্টিকর এই সবজিটি পাইকারী ৫০ থেকে ৫৫ ও খুচরা প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৭০ টাকা করে।

বাহুবল উপজেলার দ্বিমুড়া কৃষি ব্লকের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা শামীমুল হক শামীম বলেন, স্কোয়াশ একটি সুস্বাদু ও জনপ্রিয় সবজি হিসেবে বিদেশিদের কাছে অনেক আগে থেকেই পরিচিত। বর্তমানে দেশে স্কোয়াশ একটি উচ্চমূল্যের ফসল। তুলনামূলকভাবে কম উর্বর জমি এবং চরাঞ্চলে স্কোয়াশের চাষাবাদ সম্প্রসারিত হচ্ছে। এটি দেখতে সাধারণ কুমড়ার মতো সবজি হিসেবে ব্যবহৃত হলেও এর খাদ্য ও পুষ্টিগুণ কুমড়ার চেয়ে অনেক বেশি। এটি শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। বিশেষ করে ডায়াবেটিস, ক্যান্সার ও হার্টের রোগীদের জন্য খুবই উপকারী। এতে ভিটামিন এ, সি, ই ও ভিটামিন বি-৬ এবং নায়াসিন, থায়ামিন, প্যানথোটোমিন এসিড ও ফলনিড রয়েছে। হবিগঞ্জ জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ তমিজ উদ্দিন খান বলেন, স্কোয়াশ চাষে কৃষকদের উৎসাহ দেওয়া হচ্ছে। এ সবজি চাষে প্রচুর লাভবান হওয়া সম্ভব।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close