ঝালকাঠি প্রতিনিধি

  ২৬ জানুয়ারি, ২০২১

বিপর্যস্ত জনজীবন তীব্র শীতে

ঝালকাঠিতে কয়েক দিন ধরে তীব্র শীত ও ঘন কুয়াশায় বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জনজীবন। ব্যাহত হচ্ছে স্বাভাবিক জীবনযাত্রা। হাড় কাঁপানো ঠান্ডায় শীতবস্ত্রের অভাবে ছিন্নমূল মানুষ সীমাহীন কষ্টে দিনানিপাত করছে। এদিকে শীতের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে হাসপাতালগুলোয় বেড়েছে ঠান্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। তাদের মধ্যে শিশুই বেশি। সদর হাসপাতালে বেশসংখ্যক শিশু ডায়রিয়া, নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়ে ভর্তি হয়েছে। প্রতিদিনই অর্ধশত শিশু নানা রোগ নিয়ে হাসপাতালের বহির্বিভাগ থেকে চিকিৎসা নিচ্ছে। শিশু এবং বয়োবৃদ্ধরাই ঠান্ডাজনিত রোগে বেশি আক্রান্ত হচ্ছেন। শীতের মধ্যে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের আশঙ্কায় কাক্সিক্ষত সেবা দিতে হিমশিম খাচ্ছেন জেলার হাসপাতালগুলোতে দায়িত্বরতরা। ঠান্ডাজনিত রোগ থেকে বৃদ্ধ ও শিশুদের বাঁচাতে সচেতন হওয়ার পরামর্শ চিকিৎসকদের।

ঝালকাঠি সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. আবু জাফর দেওয়ান বলেন, বৃদ্ধ ও শিশুদের কোনোভাবেই ঠান্ডা লাগানো যাবে না। তাদের ভালোভাবে গরম কাপড় দিয়ে ঢেকে রাখতে হবে।

গতকাল রবিবার বরিশাল আঞ্চলিক আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্যমতে, বিকাল ৫টায় ২৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং হালকা রোদ বিরাজ করছিল। সকাল ৭টার দিকে তাপমাত্রা ছিল ২১ ডিগ্রি সেলসিয়াস, সেই সঙ্গে ঘনকুয়াশা।

দেখা গেছে, ঘন কুয়াশার কারণে সাধারণ মানুষের দুর্ভোগ বেড়েছে। গেল তিন দিন থেকে পড়ছে ঘন কুয়াশা। কুয়াশার কারণে দিনের বেলায়ও হেডলাইট জ্বালিয়ে চলছে যানবাহন। দিনের বেশির ভাগ সময় সূর্যের দেখা মিলছে না। বিকাল থেকেই ঘন কুয়াশায় ঢাকা পড়তে থাকে দক্ষিণের উপকূলীয় এ ঝালকাঠির জনপদ। সারারাত থাকে তীব্র ঠান্ডা। ঘন কুয়াশা আর শীতের কারণে দুর্ভোগে পড়েছেন খেটে খাওয়া, ছিন্নমূল ও চরাঞ্চলের মানুষ। সকাল সকাল কাজে যোগ দেওয়া শ্রমজীবী মানুষের কষ্ট বেড়েছে দ্বিগুণ। ঘন কুয়াশার কারণে তারা সময়মতো কাজে

যোগ দিতে পারছেন না। কৃষকরাও অনেকটা দুর্ভোগে পড়েছে। অনেকের আমন ধান কাটা শেষ হয়নি এখনো। অপরদিকে চলতি বোরো চাষের মৌসুম শুরু হলেও শীতের কারণে খেতে চারা রোপণে কালক্ষেপণ হচ্ছে।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close