ইয়াকুব আলী, চৌগাছা (যশোর)

  ২৩ জানুয়ারি, ২০২১

জনবল-আধুনিক যন্ত্রপাতির অভাবে কমছে উৎপাদন

চৌগাছায় দক্ষিণ এশিয়ার সর্ববৃহৎ তুলা গবেষণা ও বীজ বর্ধন খামার

জনবল সংকট, আধুনিক যন্ত্রপাতি, কৃষি উপকরণ ও ভবন ব্যবহারের অনুপযোগীসহ নানা সমস্যায় জর্জরিত যশোরের চৌগাছায় অবস্থিত দক্ষিণ এশিয়ার সর্ববৃহৎ তুলা গবেষণা ও বীজ বর্ধন খামারটি। সরকারের কোটি কোটি টাকা ব্যয়ের এ প্রতিষ্ঠানটি যেন দেখার কেউ নেই। খামার কর্তৃপক্ষের অভিযোগ তাদের সমস্যার কথা সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে বারবার জানিয়েও কোনো ফল পাচ্ছেন না। এতে সরকারের মহৎ উদ্দেশ্য ভেস্তে যাচ্ছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানায়, ১৯৮০ সালের দিকে যশোর থেকে ৩০ কিমি দূরত্বে (পশ্চিমে) চৌগাছার জগদীশপুর গ্রামের মাঠে প্রতিষ্ঠা করা হয় দক্ষিণ এশিয়ার সর্ববৃহৎ তুলা গবেষণা, প্রশিক্ষণ ও বীজ বর্ধন খামার। পৌনে ৫০০ বিঘা জমির ওপর প্রতিষ্ঠিত খামারটি দেখতে দূর-দূরান্তের মানুষ ছুটে আসতেন পরিবার-পরিজন নিয়ে। খামারের উৎপাদন, গবেষণা কার্যক্রম, চাষিদের প্রশিক্ষণ সবকিছুই চোখে পড়ার মতো ছিল। খামারটির শুরুর দিকে তুলা ফার্মে যুগ্ম সচিব মর্যাদার দুজন ও সিনিয়র সহকারী সচিব পদের চারজনসহ প্রায় অর্ধশত কর্মকর্তা-কর্মচারী নিয়োগ দেওয়া হয়। সেখানে এখন মাত্র একজন সিনিয়র সহকারী সচিব পদের (কটোন এগ্রোনিস্ট পদ) রেখে অন্য পদগুলো বিলুপ্ত বা ছাটাই করে মাত্র ২৭টি পদ রয়েছে। তাও আবার ১৭টি পদ বছরের পর বছর খালি থাকে। বর্তমানে যে ১০টি পদে কর্মকর্তা-কর্মচারী আছেন সেখান থেকেও আগামী মার্চে দুজন অবসরে যাচ্ছেন।

শুরুতে এই খামারটি ব্যাপক সফলতা অর্জন করে। এখানকার উৎপাদিত তুলা ও তুলার বীজ সারা দেশের চাহিদা পূরণ করত। বর্তমানে শুধু যশোর, ঝিনাইদাহ, কুষ্টিয়া ও মাগুরা এখানকার তুলা ও বীজ সরবরাহ করা হয়। খামারটি জনবল সংকট, বৈজ্ঞানিক যন্ত্রপাতি ও কৃষি উপকরণের অভাব দেখা দিয়েছে। এ ছাড়া ভবনগুলো ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, খামারে চাষ করা তুলা গাছে গাছে ফুটে যেন তারার মেলায় পরিণত হয়েছে। স্থানীয় কৃষকদের সহযোগিতা নিয়ে সেই তুলা গাছ থেকে তোলা হচ্ছে। খামারের ব্যবস্থাপক নিজে উপস্থিত থেকে সব কাজ দেখাশোনা করছেন। খামারের অভ্যন্তরে সাড়ে চার হাজার ফুট সড়কের ইট, খোয়াগুলো উঠে গেছে।

এ বিষয়ে খামারের ব্যবস্থাপক (কটোন এগ্রোনিস্ট) শেখ আল মামুন বলেন, জনবল সংকটের কারণে চরম বেহাল দশার মধ্যে সব কাজ করতে হচ্ছে। বর্তমান অবস্থা তুলে ধরে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে লিখিত দিয়েছি কিন্তু এখনো কোনো কিছু জানতে পারেনি। তবে আশা করছি দ্রুত সময়ের মধ্যে শূন্য পদে লোক নিয়োগ, সড়ক সংস্কারসহ অন্য সমস্যাগুলো পর্যায়ক্রমে সমাধান হবে।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close