নড়াইল প্রতিনিধি

  ২২ সেপ্টেম্বর, ২০২০

সংঘর্ষ নিত্যদিন, ৮ মাসে ১২ খুন নড়াইলে

নড়াইলে আট মাসে ১২ জন খুন হয়েছে। এর মধ্যে চারজনের রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। এসব ঘটনায় আহত হয়েছে সাড়ে তিন শতাধিক মানুষ এবং তিন শতাধিক বাড়ি ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে।

জানা গেছে, গত ১১ সেপ্টেম্বর জেলায় সর্বশেষ খুনটি হয়। এদিন রাত ৯টায় বাড়ি ফেরার পথে লোহাগড়ার দীঘলিয়া ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক জহিরুল ইসলাম রেজওয়ানকে (২৬) কুপিয়ে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। এর আগে গত ২৪ আগস্ট বাঁশগ্রাম ইউনিয়নের কামালপ্রতাপ গ্রামে প্রতিপক্ষের হাতে এক গ্রুপের নেতা সাবেক ইউপি সদস্য রাজ্জাক মল্লিক নিজ বাড়িতে খুন হন। এ ছাড়া ১৩ মার্চ একই গ্রামের সাফি মোল্যা প্রতিপক্ষের হাতে খুন হন। গত ২২ আগস্ট চন্ডিবরপুর ইউনিয়নের ফুলবাড়িয়া গ্রামে প্রতিবেশীর হামলায় কৃষক মফিজুর মোল্যা নিহত হন। ৫ আগস্ট পুরুলিয়া ইউনিয়নের দেওয়াডাঙ্গা গ্রামে মাসুদ রানা প্রতিপক্ষের গুলিতে নিহত হন। গত ১০ জুন আধিপত্য বিস্তার নিয়ে কাশিপুর ইউনিয়নের গোন্ডব গ্রামের মোকতার মোল্যা, তার ভাতিজা আমিনুর রহমান হাবিল ও রফিকুল মোল্যা খুন হন। গত ২৬ মে কলাবাড়িয়া ইউপি সদস্য এবং ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কাইউম শিকদার আধিপত্য বিস্তার ও দলীয় কোন্দলের জের ধরে খুন হন।

গত ১২ মে লাহুড়িয়া ইউনিয়নের ছায়মনার চর গ্রামে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে রহিমা বেগম খুন হন। গত ৬ মে পহরডাঙ্গা ইউনিয়নের বল্লাহাটি গ্রামের ওসমান খানের ছেলে আলী খানকে কুপিয়ে হত্যা করে প্রতিপক্ষরা। ২৪ ফেব্রুয়ারি লোহাগড়া ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ নেতা বদর খন্দকার চরকালনা এলাকায় খুন হন।

এদিকে ১৩ সেপ্টেম্বর চন্ডিবরপুর ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ড মেম্বর মাহাবুবুর রহমানকে বাড়ি ফেরার পথে কুপিয়ে হত্যা চেষ্টা করে দুর্বৃত্তরা। তিনি এখন মৃত্যুর সঙ্গে লড়ছেন। ২৩ আগস্ট মাইজপাড়া ইউনিয়নের কালুখালি গ্রামে স্বামীর বিরুদ্ধে সুরাইয়া বেগমকে শ্বাসরোধে হত্যার অভিযোগ ওঠে। গত ১০ মে পুরুলিয়া ইউনিয়নের আমতলা গ্রামের ছিদ্দিক শরীফের বাড়ির সামনে থেকে তারই জামাই পার্শ্ববর্তী ফুলদাহ গ্রামের ইবাদত শেখের লাশ উদ্ধার করা হয়। ৩ মার্চ সদর থানা সীতারামপুর ব্রিজ এলাকা থেকে অজ্ঞাত ব্যক্তির লাশ উদ্ধার হয়। ২৪ ফেব্রুয়ারি দুর্গাপুর এলাকায় স্বামীর বিরুদ্ধে আশা খাতুনকে শ্বাসরোধে হত্যার অভিযোগ ওঠে।

এ ছাড়া শাহাবাদ ইউনিয়নের ধোন্দা, দীঘলিয়া ইউনিয়নের চর মাউলি, কাশিপুর ইউনিয়নের গোন্ডব, কলাবাড়িয়া ইউনিয়নের শীবপুর, হবখালী ইউনিয়নের নয়াবাড়ি, চন্ডিরপুর ইউনিয়নের মহিষখোলায় দুই পক্ষের সংঘর্ষে অর্ধ শতাধিক ব্যক্তি আহত হন।

নড়াইল পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন বলেন, এখানকার গ্রামাঞ্চলে সংঘর্ষ নিত্য দিনের ঘটনা। তবে আমি যোগদানের পর এসব নিয়ন্ত্রণে কাজ করছি।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close