নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রবৃদ্ধির পাশাপাশি সমতা বাড়ানো সম্ভব : আতিউর
বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. আতিউর রহমান বলেছেন, বাংলাদেশের সাম্প্রতিক অভিজ্ঞতা থেকে এটা প্রমাণিত হয়েছে যে প্রবৃদ্ধি বাড়ানোর পাশাপাশি সমতাও বাড়ানো সম্ভব। সমতার ভিত্তিতে প্রবৃদ্ধি অর্জনের জন্য প্রয়োজনীয় জাতীয় কৌশল এবং সম্পদও আমাদের রয়েছে। আর এর ওপর ভিত্তি করেই আমরা একটি মধ্যম আয়ের দেশে রূপান্তরিত হবো। গতকাল শুক্রবার চট্টগ্রামে হোটেল রেডিসন ব্লুতে এশিয়ান ইউনিভার্সিটি ফর উইমেন আয়োজিত সিম্পোজিয়ামে অতি-দারিদ্র্য বিষয়ক অধিবেশনে তিনি এ কথা বলেন। অধিবেশনে অতি-দারিদ্র্য পরিমাপের পদ্ধতি বিষয়ে মূল নিবন্ধ উপস্থাপন করেন বিশ্ব ব্যাংকের সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট ড. ইসমাইল সেরাগেল্ডিন। অতি-দারিদ্র্যের পেছনে আয় স্বল্পতার পাশাপাশি সামাজিক ও সাংস্কৃতিক কারণগুলো নিয়েও ড. সেরাগেল্ডিন আলোচনা করেন।
ড. আতিউর বলেন, বাংলাদেশের অর্থনীতির সবচেয়ে বড় অর্জনগুলোর অন্যতম হলো উল্লেখযোগ্য মাত্রায় অতি-দারিদ্র্য কমিয়ে আনা। এই অর্জন প্রশংসনীয় হলেও, এটা মনে রাখতে হবে যে এখনও দেশের ১২.৯ শতাংশ মানুষ (প্রায় দুই কোটি মানুষ) দারিদ্র্যের নিম্ন সীমার নিচে বসবাস করছেন। আর তাই সরকারের সপ্তম বার্ষিকী পরিকল্পনায় গৃহীত উদ্যোগগুলোর পেছনের অন্যতম মূলনীতি হিসেবে রয়েছে অতি-দারিদ্র্য বিমোচন। ২০২১ সালের মধ্যে দেশের অতি-দারিদ্র্যের হার ৪ শতাংশ কমিয়ে আনার লক্ষ্য নির্ধারিত হয়েছে।
বক্তব্যের শেষাংশে ড. আতিউর বলেন, আধুনিক প্রযুক্তির কার্যকর প্রয়োগ অতি-দারিদ্র্য বিমোচনের একটি গুরুত্বপূর্ণ পূর্বশর্ত এবং এজন্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকে শুরু করে মহাকাশে সর্বাধুনিক স্যাটেলাইট পর্যন্ত সবই আমাদের রয়েছে। তিনি বলেন, সরকার ও বেসরকারি খাতের যৌথ উদ্যোগে অতি-দারিদ্র্য মুক্ত বাংলাদেশ গড়ার এখনই সময়। কারণ একদিকে সরকার ‘কাউকে পেছনে না ফেলে এগিয়ে যাওয়া’র দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেছে, অন্য দিকে বেসরকারি খাত যথেষ্ট পরিণত হওয়ার ফলে বাজার পরিস্থিতিও এখন আমাদের অনুকূলে।
"