এম এ রউফ, সিলেট
সিলেটে ট্রাকে চাঁদাবাজি বন্ধের নির্দেশ : ১২ মামলা পুলিশের
সিলেটে ওভারলোডের নামে ট্রাকে চাঁদাবাজি বন্ধের নির্দেশ দিয়েছে হাইওয়ে পুলিশ। রাস্তায় গাড়ি থামিয়ে চাঁদাবাজি না করতে পুলিশের পক্ষ থেকে জেলা ট্রাক শ্রমিক ইউনিয়নকে বলা হয়েছে। তা ছাড়া ওভারলোড করা ১২টি ট্রাকের চালক ও মালিকের নামে মামলা দিয়েছে হাইওয়ে পুলিশ। সম্প্রতি দক্ষিণ সুরমার নাজিরবাজারসহ বিভিন্ন স্থানে হাইওয়ে পুলিশ বিশেষ চেকপোস্টের মাধ্যমে তল্লাশি করে এ মামলাগুলো রুজু করে। সিলেটের দক্ষিণ সুরমার তেতলী বাইপাস সড়কে ট্রাক শ্রমিক ইউনিয়নের ব্যানারে ওভারলোড করে নিয়ে যাওয়া গাড়ি থেকে নিয়মিত টাকা আদায় ও চাঁদাবাজির অভিযোগ উঠেছে শ্রমিক নেতাদের ওপর। প্রকাশ্যে ট্রাক শ্রমিকরা আইন অমান্য করে ট্রাকচালকদের কাছ থেকে শুরু করেন চাঁদাবাজি। গত ১৫ জানুয়ারি ট্রাকচালক সাইফুল ইসলাম তার গাড়ি (ঢাকা মেট্রো-ট ১৮-৬৯১৭) সদর উপজেলার ধুপাগুল থেকে পাথরলোড করেন। গাড়ি নিয়ে তেতলী বাইপাস সড়কের জালালাবাদ থানার তেমুখী পয়েন্টে আসা জালালাবাদ থানা আঞ্চলিক কমিটির সভাপতি কালা মিয়া ও তার লোকজন জোরপূর্বক এক হাজার ৫০০ টাকা আদায় করেন ট্রাকচালক সাইফুলের কাছ থেকে। পরে ট্রাকচালক সাইফুল ঘটনাটি জানান ধোপাগুলের ব্যবসায়ীদের। অভিযোগ ওঠে জেলা ট্রাক শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক আবদুুল গফুরের নির্দেশে প্রতিদিন ওভারলোড করা ট্রাক থেকে সড়কের বিভিন্ন পয়েন্টে চাঁদা আদায় করা হচ্ছে। এভাবে ট্রাক শ্রমিক ইউনিয়নের নেতারা প্রতিনিয়ত চাঁদাবাজি করে যাচ্ছেন। কিন্তু পুলিশ এ ব্যাপারে নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করছে। তবে প্রতিবাদমুখর হয়ে উঠেছেন ধোপাগুল স্টোনক্রাশার মালিক ও পাথর ব্যবসায়ী সমিতির নেতারা। তারা ট্রাকচালক সাইফুলের কাছ থেকে জোরপূর্বক টাকা আদায়ের প্রতিবাদ জানিয়ে আন্দোলনের ঘোষণা দিয়েছেন। তারা রাস্তায় চাঁদাবাজির সঙ্গে জড়িত ট্রাক শ্রমিকদের গ্রেফতার ও নির্দেশদাতা জেলা কমিটির সেক্রেটারি গফুর মিয়ার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য প্রশাসনের কাছে জোর দাবি জানিয়েছেন।
এ ব্যাপারে জেলা ট্রাক শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক আবদুুল গফুর বলেন, রাস্তায় দাঁড়িয়ে টাকা আদায়ের জন্য আমি কাউকে নির্দেশ দিইনি। আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অপবাদ দেওয়া হচ্ছে। আমি কিছুই জানি না। তবে রাস্তায় কারা চাঁদা আদায় করছে তার কোনো কারণ বা বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
"