সংসদ প্রতিবেদক
বিদ্যুৎ বিলের সুপারিশ চূড়ান্ত করতে আরো বৈঠক
জাতীয় সংসদে উত্থাপিত বিদ্যুৎ বিল-২০১৭ নিয়ে আলোচনা হলেও সুপারিশ চূড়ান্ত করতে পারেনি বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়-সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি। কমিটির পরবর্তী বৈঠকে আলোচনা শেষে এ বিষয়ে সুপারিশ চূড়ান্ত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে জাতীয় সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত সংসদীয় কমিটির বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। কমিটির সভাপতি মোঃ তাজুল ইসলামের সভাপতিত্বে বৈঠকে কমিটির সদস্য ও প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ ও নাসিমা ফেরদৌসী এবং সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
কমিটি সূত্র জানায়, বৈঠকে বিদ্যুৎ বিল-২০১৭ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। আলোচনাকালে এই আইন অমান্য বিলে প্রস্তাবিত শাস্তি কমানোসহ বিভিন্ন ধারায় বেশ কিছু সংশোধনী প্রস্তাব আনা হয়। যা আগামী বৈঠকে আলোচনার মাধ্যমে চূড়ান্ত করা হবে। মন্ত্রণালয়কে ওই প্রস্তাবগুলো বিলে অন্তর্ভুক্ত করে কমিটির পরবর্তী বৈঠকে উত্থাপনের জন্য বলা হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ১৪ নভেম্বর জাতীয় সংসদে এই বিলটি উত্থাপন করা হয়। বিলের উদ্দেশ্য ও কারণসংবলিত বিবৃতিতে বলা হয়েছে, দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন অব্যাহত রাখার স্বার্থে বিদ্যুতের ক্রমবর্ধমান চাহিদা পূরণের লক্ষ্যে বিদ্যুৎ উৎপাদন, সঞ্চালন, বিতরণ ব্যবস্থার উন্নয়ন ও সংস্কার সাধন এবং মানসম্মত বিদ্যুৎসেবা নিশ্চিত করার জন্য দ্য ইলেকট্র্রিসিটি অ্যাক্ট-১৯১০ রহিত করে, তা সংশোধন ও পরিমার্জন করে বাংলা ভাষায় বিদ্যুৎ আইন-২০১৭ শীর্ষক বিলটি প্রণীত হয়েছে।
বিলের অপরাধ ও দন্ড অধ্যায়ে বলা হয়েছে, কোনো বাসা-বাড়িতে বা অন্য কোনো স্থানে ব্যবহারের জন্য বিদ্যুৎ চুরি করলে এক বছরের কারাদন্ড বা ৫০ হাজার টাকা অর্থদন্ডে দন্ডিত হবেন। এ ছাড়া কোনো শিল্প ও বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে বিদ্যুৎ চুরি করলে পাঁচ বছরের কারাদন্ড বা পাঁচ লাখ টাকা অর্থদন্ডের বিধান রাখা হয়েছে।
"