ক্রীড়া প্রতিবেদক
শান্তকে সরে দাঁড়ানোর পরামর্শ আশরাফুলের!
![](/assets/news_photos/2024/05/24/image-458529.jpg)
আসন্ন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে ফর্মে নেই নাজমুল হোসেন শান্ত। তাই এ বাঁহাতি ব্যাটারকে একাদশের বাইরে রেখে সাকিব আল হাসানকে নেতৃত্বে আনার পরামর্শ দিয়েছেন তারকা ক্রিকেটার মোহাম্মদ আশরাফুল। টি-টোয়েন্টিতে শান্তর স্ট্রাইক রেট ১০৯.৮২। যেটা এ সংস্করণের সঙ্গে বেমানান বলে মনে করেন আশরাফুল। দলের ভালোর জন্য আপাতত একাদশে শান্তর জায়গায় তানজিদ হাসান তামিমকে দেখতে চান সাবেক এ অধিনায়ক।
গণমাধ্যমকে আশরাফুল বলেন, ‘শান্ত নিজে থেকে বিশ্রাম নিয়ে অন্য কাউকে সুযোগ করে দিতে পারে। আমি রাতারাতি একাদশে পরিবর্তন আনার পাক্ষে না। তারপরও আমার মনে হয়, তানজিদ তামিমকে নিয়ে আসা যেতে পারে। ম্যানেজমেন্ট সাহস করতে পারছে না। তারা চাইছে একাদশে ৭ ব্যাটসম্যান খেলুক। সেহেতু একাদশে একটাই পরিবর্তন হতে পারে। শান্তর জায়গায় তামিম খেলতে পারে।’ ‘শান্ত একাদশে না থাকলে সাকিব অধিনায়কত্ব করতে পারে। কারণ তাসকিন তো ইনজুরিতে আছে। অধিনায়ক করার জন্য সাকিবকে ম্যানেজমেন্টের পক্ষ থেকে অনুরোধ করা যেতে পারে। যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে সিরিজের দ্বিতীয়
টি-টোয়েন্টিতে একটা পরিবর্তনই আনা যেতে পারে। শান্তর একটু বিশ্রাম প্রয়োজন। এ অবস্থায় তার বাইরে থেকে খেলা দেখা প্রয়োজন। এ সংস্করণে শান্তর বাজে সময় যাচ্ছে। তাকে বিপিএলেও সব ম্যাচ খেলানো হয়েছে। এখানেই বড় ভুলটা হয়েছে। বিপিএলে
৫-৬টি ম্যাচ বিশ্রামে থাকলে ভালো ছন্দে আসার সুযোগ পেত। শান্ত শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে একটা ফিফটি করেছিল। যদিও জিম্বাবুয়ে সিরিজে এতটা ভালো করতে পারেনি। ওর আত্মবিশ্বাস কম মনে হচ্ছে।’
আশরাফুল আরো বলেন, ‘শান্তর স্ট্রাইক রেট সম্পর্কে আমরা সবাই জানি। আমাদের দেশে একটা সমস্যা হলো এক সংস্করণে ভালো করলে সব সংস্করণের জন্য বিবেচনা করে ফেলি। শান্ত টি-টোয়েন্টিতে অফফর্মে আছে। সে ২০২২ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে দুটি ফিফটি করেছি। তবে তার স্ট্রাইক রেট ১১০ এর মতোই ছিল।’ এদিকে গত বুধবার এইচপির খেলোয়াড়দের সঙ্গে নির্বাচকদের পরিচয় করিয়ে দেওয়ার আয়োজন শেষে গণমাধ্যমে কথা বলেন সাবেক অধিনায়ক দুর্জয়। শান্তর মন্তব্য প্রসঙ্গে কড়া উত্তর দেন তিনি, ‘যদি কোনোরকম মন্থর উইকেট বানিয়েও থাকি, সেটা কিন্তু দলের চাওয়াতেই করা হয়। যদি আমরা সে প্রশ্নটা করি যে তোমরা উইকেটের অজুহাত দাও বিদেশ গেলে, তাহলে দেশে আমরা উইকেট যেভাবে বানিয়ে দিই, সবাই হোম কন্ডিশনের একটা সুবিধা নেয়। দলের চাওয়া থেকেই কিন্তু সেটা করা হয়; কোন উইকেট দিলে দল পারফর্ম করতে পারবে, সে চাহিদাটা কিন্তু টিম থেকেই আসে। কাজেই এখন উইকেটের দোহাই দিলে তো আমরা সেটা মানতে পারি না।’
দুর্জয় আরো বলেন, ‘জাতীয় দলটা তো পারফর্ম করার জায়গা, সেখানে আমি উইকেট নিয়ে দোহাই দিলে এগুলো কিন্তু গ্রহণযোগ্য না। কারণ পারফর্ম করতে গিয়েছিল, আমরা জাতীয় দলে খেলছি। জাতীয় দল ওখানে যে পরিস্থিতিই হোক, পারফর্ম করতে হবে।’ আইসিসি সহযোগি সদস্য দেশ যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে হেরে যাওয়া মানতে পারছেন না প্রধান নির্বাচক গাজী আশরাফ হোসেন লিপুও। তিনি জানান দলের পারফরম্যান্সে তারা চিন্তিত, ‘যেকোনো হারই কষ্টের ব্যাপার এবং এখানে আমরা বিশ্বকাপের জন্য প্রস্তুতির মধ্য দিয়েই আমরা যাচ্ছি।
"