ক্রীড়া প্রতিবেদক

  ১৯ জানুয়ারি, ২০২৪

‘ভালোটা আমরা মাঝে মাঝে ভুলে যাই’

বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) বেশির ভাগ মৌসুমেই টুর্নামেন্টের বিভিন্ন কিছু নিয়ে সমালোচনা হয়ে থাকে। সমর্থক, ক্রিকেটার থেকে ফ্র্যাঞ্চাইজি মালিক কেউই সমালোচনা করতে বাদ রাখেন না। বিপিএল নিয়ে সমালোচনা হলেও দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় টুর্নামেন্ট নিয়ে ইতিবাচক জিনিসেরও কমতি দেখছেন না তামিম ইকবাল। ফরচুন বরিশালের অধিনায়ক মনে করেন, ভালোটা মাঝে মাঝে সবাই ভুলে যায়।

বিপিএলের সবশেষ আসরের আগে দেশের একমাত্র ফ্র্যাঞ্চাইজি টি-টোয়েন্টি লিগকে ধুয়ে দিয়েছিলেন সাকিব আল হাসান। বাংলাদেশের অধিনায়কের ভাষ্যটা ছিল এমন, ‘একটা যা-তা অবস্থা। এর থেকে আমাদের ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ (ডিপিএল) আরো ভালোভাবে হয়।’ সাকিবের এমন কথার সঙ্গে একাত্মা প্রকাশ করে মাশরাফি বিন মুর্তজা বিপিএলকে বলেছিলেন হযবরল।

ক্রিকেটের মান নিয়ে যেমন প্রশ্ন উঠে তেমনি বিপিএল আয়োজনের পরিকল্পনা, টিকিটের দাম, ব্রডকাস্টিংয়ের মান এসব নিয়ে সমালোহনা হয় প্রায়শই। এমন সমালোচনার কথা স্বীকার করছেন তামিমও। তবে বরিশালের অধিনায়ক মনে করেন, সমালোচনা হলেও বিপিএলের ইতিবাচক দিক আছে। এই টুর্নামেন্টের কারণে ক্রিকেটারদের আর্থিক অবস্থা ভালো হয় এবং বিদেশি ক্রিকেটারদের সঙ্গে খেলার সুযোগ তৈরি হয় বলে জানান তিনি।

এ প্রসঙ্গে তামিম বলেন, ‘অনেক আলোচনা-সমালোচনা হয় এটা ঠিক। তবে আমরা কেউ অস্বীকার করতে পারব না টি-টোয়েন্টিতে এটাই আমাদের দেশের সেরা টুর্নামেন্ট। এই টুর্নামেন্টের কারণে অনেক খেলোয়াড়ের আর্থিক উপকার হয়। যে মানের ক্রিকেট হয়, খুব উঁচু মানের, আমরা বিদেশি ক্রিকেটারদের সঙ্গে খেলি।’ আলোচনা থাকবে, সমালোচনাও থাকবে। তবে ভালোটা আমরা মাঝে মাঝে ভুলে যাই। আমরা আন্তর্জাতিক ক্রিকেটারদের সঙ্গে খেলতে পারছি, ফ্র্যাঞ্চাইজিরা অনেক বিনিয়োগ করছে আমাদের ওপর। তাই ভালো দিকও আছে। নেতিবাচক কিছু না কিছু থাকেই। মাঝে মাঝে আমরা ইতিবাচক দিক তুলে ধরতে ভুলে যাই।’ ২০১২ সালে প্রথমবার পর্দা উঠে বিপিএলের। সেই সময় ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের (আইপিএল) পরই বিবেচনা করা হতো দেশের ক্রিকেটের জনপ্রিয় এই টুর্নামেন্টকে। তবে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে পিছিয়ে গেছে বিপিএল। এখন অনেকে পিএসএলের মতো টুর্নামেন্টের পেছনেও রাখা হয় এটিকে। অন্যান্য দেশের লিগের সঙ্গে বিপিএলের অবস্থান কোথায়? এমন প্রশ্নে তুলনায় যেতে চান না তামিম। বরিশালের অধিনায়ক বলেন, ‘কয় নম্বরে সে প্রসঙ্গে না যাই। যখন এই তুলনা হতো তখন বিশ্বে লিগই ছিল ৩-৪টা। এখন যদি হিসেব করেন, ৮-৯টা টুর্নামেন্ট। আমাদেরও উন্নতির অনেক জায়গা আছে। প্রতি বছর কিছু জিনিস ভালো করতে থাকলে নিজেদের একটা অবস্থানে এসে যাব। তুলনা করা ঠিক না। এই টুর্নামেন্টের কারণে অনেক লোকাল ক্রিকেটারের সুবিধা হচ্ছে।’

এদিকে প্রতিবারের মতোন এবারও বিপিএলে কে কোন দলের অধিনায়ক তা জানা গেছে একদম শেষ সময়ে এসে। ফরচুন বরিশাল যেমন অধিনায়কত্বের দায়িত্ব দিয়েছে তামিম ইকবালকে। ২০১৭ সালের পর যিনি আর বিপিএলে অধিনায়কত্ব করেননি। তামিম বললেন, নামে তিনি অধিনায়ক থাকল দল চালানোর ভার দেবেন মেহেদী হাসান মিরাজকে।

বরিশালের দলে এবার নেতৃত্ব দেওয়ার মতো আছেন বেশ কয়েকজন। তামিমণ্ডমিরাজ ছাড়াও মুশফিকুর রহিম ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ বাংলাদেশের সাবেক অধিনায়ক। দলটিকে কে নেতৃত্ব দেবেন এটি ছিল কৌতূহলের বিষয়। টুর্নামেন্ট শুরুর দুদিন আগে তামিমকে অধিনায়ক করার ঘোষণা দেওয়া হয়, সহ-অধিনায়ক করা হয়নি কাউকে।

গতকাল বৃহস্পতিবার পূবেরগাঁও ক্রীড়া শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অনুশীলন করে বরিশাল। তামিম ইকবাল জানান, অধিনায়ক তিনি থাকলেও মূলত মিরাজকেই দেবেন দল চালানোর ভার, ‘অধিনায়কত্ব আমাকে ফ্র্যাঞ্চাইজি দায়িত্ব দিয়েছে। আমি সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা করব। মালিকের সঙ্গেও কথা বলেছি, তিনিও রাজি হয়েছেন। আমার সঙ্গে সঙ্গে যদি মিরাজকে গড়ে তুলতে পারি তাহলে ভালো। আমি রিয়াদ ভাই, মুশফিক আমাদের মধ্যে ২ জন তো টি-টোয়েন্টি থেকে অবসরে। রিয়াদ ভাইয়েরও আর ক্যাপ্টেন হওয়ার সুযোগ কম। মিরাজের একটা ভবিষ্যৎ আছে ভবিষ্যতে ক্যাপ্টেন হতে পারে (জাতীয় দলে)। গত বছরও আমি ক্যাপ্টেন ছিলাম না কিন্তু মাঠে একটিভ ছিলাম। আশা করি এবার মিরাজকে এই দায়িত্ব দিতে পারব।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close