ইন্টার মিয়ামিতে যোগ দেওয়ার ক্ষেত্রে বড় অঙ্কের অর্থ কোনো ভূমিকা রাখেনি বলে জানালেন লিওনেল মেসি। তেমনটা হলে সৌদি আরবে বা অন্য কোথাও যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিতেন তিনি। বার্সেলোনার সঙ্গে চুক্তি নিয়ে কোনো আলোচনা না হওয়ার বিষয়টিও উল্লেখ করেন আর্জেন্টাইন মহাতারকা। বিশ্বকাপজয়ী মেসির ক্লাব ক্যারিয়ারে ভবিষ্যৎ নিয়ে যে জল্পনা-কল্পনা চলছিল, সেটার অবসান ঘটেছে। বুধবার (৭ জুন) ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসিতে তার মিয়ামিকে বেছে নেওয়ার খবরটি প্রথম প্রকাশিত হয়। এরপর ৩৫ বছর বয়সি ফরওয়ার্ড নিজেই যুক্তরাষ্ট্রের মেজর সকার লিগের ক্লাবটিতে যাওয়ার কথা নিশ্চিত করেন।

মেসির এই সিদ্ধান্ত নিয়ে এখন ফুটবল দুনিয়া চলছে চর্চা, চলছে সিদ্ধান্তের ব্যাখ্যা খোঁজা। তার পুরোনো ঠিকানা বার্সেলোনার ফেরার গুঞ্জন ছিল লম্বা সময় ধরে। আন্তর্জাতিক গণমাধ্যকে খবর অনুসারে, প্রো লিগের ক্লাব আল হিলালের বিপুল পরিমাণ অর্থের লোভনীয় প্রস্তাবও পেয়েছিলেন তিনি। সেই তুলনা মিয়ামিতে যাওয়ার সম্ভাবনা কমই আলোচিত হচ্ছিল।

আল হিলালের তুলনায় মিয়ামিতে মেসি পারিশ্রমিক পাবেন কম। তবে ক্লাবটির সঙ্গে চুক্তির মাধ্যমে অ্যাডিডাস ও অ্যাপলের কাছ থেকে তার আর্থিকভাবে লাভবান হওয়ার কথা জানিয়েছেন বিবিসি। এছাড়া মিয়ামির স্পন্সরশিপের স্বত্ব ও টিকিট বিক্রির অর্থের একটি অংশ তিনি পাবেন। ভবিষ্যৎ ক্লাবটির মালিকানার অংশ পাওয়ার প্রস্তাবও মেসিকে দেওয়া হয়েছে। সব মিলিয়ে বিপুল পরিমাণ অর্থ পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে তার। ক্রীড়াবিষয়ক স্প্যানিশ গণমাধ্যম মুন্দো দেপোর্তিভোর দেওয়া সাক্ষাৎকারে অবশ্য আর্থিক দিকটি তাকে প্রভাবিত করেনি বলে জানান মেসি, সত্যি বলতে, অথনৈতিক ব্যাপারটা আমার কাছে কখনোই সমস্য বাধা ছিল না।

লা লিগা সবুজ সংকেত পেলেও মেসিকে কোনো আনুষ্ঠানিক প্রস্তাব দেয়নি বার্সেলোনা। তিনি জাানান, দুই পক্ষের মধ্যে আলোচনার হলো সেখানে উঠে আসেনি চুক্তির নিয়ে কখনো কেনো কথা বলতেও যাইনি। আমাকে একটি প্রস্তাব দেওয়ার হয়েছিল। তবে কখনোই আনুষ্ঠানিক, লিখিত বা স্বাক্ষর করা কোনো প্রস্তাব ছিল না। কারণ, আমরা জানতামও না এটা (বার্সায় ফেরা) সম্ভব হতে যাচ্ছে কি না। আমাদের মধ্যে (আলোচনায়) কোনো অগ্রগতিই হয়নি। আমরা আনুষ্ঠানিকভাবে পারিশ্রমিক নিয়ে কোনো কথা বলিনি।

"