ক্রীড়া প্রতিবেদক

  ১৩ মে, ২০২২

ডোনাল্ডকে চমকে দিয়েছেন ইবাদত-খালেদ

দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজ থেকে বাংলাদেশ দলের পেস বোলিং কোচ হিসেবে কাজ করছেন অ্যালান ডোনাল্ড। গত দুই বছরে বাংলাদেশের পেস বোলিংয়ের উত্থান তাই সামনে থেকে দেখা হয়নি প্রোটিয়া কোচের। এ সিরিজে দুই পেসার ইবাদত হোসেন আর খালেদ আহমেদ রীতিমতো চমকে দিয়েছেন ডোনাল্ডকে। চট্টগ্রামে কাল অনুশীলনের তৃতীয় দিনে সংবাদমাধ্যমের সামনে নিজের অনুভূতির কথা জানান তিনি।

দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজে শরীফুল ইসলামকে দেখে মুগ্ধ হয়েছিলেন ডোনাল্ড। তবে তরুণ বাঁহাতি পেসারকে নিজের দেশে ২০২০ অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপেই দেখেছিলেন সাবেক এ প্রোটিয়া পেসার। কিন্তু ইবাদত আর খালেদ একদমই চমক হয়ে এসেছেন ডোনাল্ডের কাছে। তিনি বলেন, ‘আমি মনে করি আমার জন্য সবচেয়ে বড় চমক ছিল ইবাদত-খালেদ। তাদের টানা বোলিং করার ক্ষমতা আমাকে অবাক করেছে। ফাস্ট বোলিং সবসময় সাহস আর দৃঢ়চেতা মনোভাবের পরিচয় বহন করে। তারা (শরীফুল-ইবাদত) যেভাবে খেলেছে, বিশেষ করে ডারবান টেস্টে তারা দুর্দান্ত ছিল।’

একটা সময় একাদশে তো বটেই স্কোয়াডের ভালো মানের পেস বোলার পাওয়া কঠিন ছিল বাংলাদেশের। সে সময়টা গত দুই বছরে পেছনে ফেলে আসতে পেরেছে তারা। এই মুহূর্তে দলের সেরা পেসার তাসকিন আহমেদের চোটের পরও যেমন শ্রীলঙ্কা সিরিজের দলে আছেন পাঁচ পেসার। তাসকিন ফিরলে পেস বোলিং শক্তি যে আরো শক্তিশালী হবে সেটা জানাতে ভোলেননি ডোনাল্ড। পেসারদের শেখার আগ্রহকে বড় করে দেখছেন এ প্রোটিয়া কোচ।

তবে এবার পেসারদের চ্যালেঞ্জটা আরো কঠিন। দক্ষিণ আফ্রিকা আর বাংলাদেশের কন্ডিশন তাদের কাজটা দুরূহ করে তুলতে বাধ্য। ডোনাল্ড বলছেন, ‘পাকিস্তান, ভারত আর শ্রীলঙ্কায় আমার খেলার অভিজ্ঞতা বলে, এখানে স্ট্রেট লাইনে বল করতে হবে। নতুন বলটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। নতুন বল কতটা গুরুত্বপূর্ণ, গত কয়েক দিনের অনুশীলনে সেটাই পেসারদের বোঝানোর চেষ্টা করেছি। ইনসুইং, আউট সুইংয়ের মতো বিলাসী বোলিংয়ের চেয়ে প্রসেস ধরে রাখার দিকে মনোযোগী হওয়ার কথা বলেছি তাদের।’

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close