আন্তর্জাতিক ডেস্ক

  ২৪ জানুয়ারি, ২০২০

করোনা ভাইরাস

সাময়িকভাবে বন্ধ হচ্ছে উহানের গণপরিবহন

নতুন একটি করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব ছড়িয়ে পড়া রোধ করতে এর উৎস বলে বিবেচিত চীনের উহান শহরের গণপরিবহন সাময়িকভাবে বন্ধ রাখতে যাচ্ছে নগর কর্তৃপক্ষ। আজ শুক্রবার থেকে শুরু হওয়া নতুন চান্দ্র বর্ষের ছুটির দিনগুলোতে যখন কোটি কোটি চীনা নাগরিক দেশ-বিদেশে ভ্রমণ করবে তখন উহানের ১ কোটি ১০ লাখ বাসিন্দাকে শহর না ছাড়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে, জানিয়েছে বিবিসি। শ্বাসযন্ত্রে অসুখ সৃষ্টিকারী নতুন এ ভাইরাসটির প্রাদুর্ভাবে চীনে এ পর্যন্ত ১৭ জনের মৃত্যু হয়েছে ও প্রায় ৬০০ লোক আক্রান্ত হয়েছে বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।

‘হাঁচি, কাশির মাধ্যমে’ ছড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনা থাকা এ রোগটি চীনের অন্যান্য অংশে ছড়িয়ে পড়ার পাশাপাশি সুদূর যুক্তরাষ্ট্রসহ অন্য কয়েকটি দেশেও ছড়িয়েছে। ভাইরাসটির বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়া রোধ করতে বিশ্বজুড়ে স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষগুলো বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করেছে।

ধারণা করা হয়, চীনের মধ্যাঞ্চলীয় শহর উহানের একটি পশু বাজারে অবৈধভাবে চলা বন্যপ্রাণী ব্যবসা থেকে গত বছরের শেষ দিকে প্রাণঘাতী এ করোনা ভাইরাসটির সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ে। বিভিন্ন দেশে বেশ কয়েকজন আক্রান্ত শনাক্ত হওয়ার পর ভাইরাসটি বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়ছে বলে শঙ্কা তৈরি হয়েছে। এ পর্যন্ত মৃত্যুর সব ঘটনা উহান যে প্রদেশে অবস্থিত সেই হুবেইতেই ঘটেছে।

উহানের স্থানীয় সরকার জানিয়েছে, গতকাল বৃহস্পতিবার স্থানীয় সময় সকাল ১০টা থেকে তারা সব বহির্গামী ট্রেন সার্ভিস ও উড়োজাহাজের ফ্লাইট সাময়িকভাবে বন্ধ রেখেছে এবং দুপুর ১টা থেকে বাস, সাবওয়ে ও ফেরি সার্ভিসও বন্ধ হয়ে যায়। চীনের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিশেষ পরিস্থিতি ছাড়া নগরবাসীদের শহর না ছাড়ার আহ্বান জানিয়েছে স্থানীয় সরকার।

২০০২-০৩ সালে সার্স ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে প্রায় ৮০০ লোকের মৃত্যু হয়েছিল। ওই সময় প্রাদুর্ভাবের বিভিন্ন তথ্য গোপন করেছিল চীনের কমিউনিস্ট সরকার। কিন্তু এবার জনগণের উদ্বেগ নিয়ন্ত্রণে রাখতে আক্রন্তের সংখ্যার প্রতিদিনের হালনাগাদ দিচ্ছে তারা। গতকাল দেশটির রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনের প্রতিবেদনে কর্তৃপক্ষ গত বুধবার পর্যন্ত ৫৭১ জনের আক্রান্ত হওয়ার কথা ও ১৭ জনের মৃত্যু হওয়ার কথা নিশ্চিত করেছে। এর পাশাপাশি বিশ্বব্যাপী আরো আটজনের আক্রান্ত হওয়ার কথা জানা গেছে। ভাইরাসটিতে আক্রান্ত চারজনকে শনাক্ত করার কথা জানিয়েছে থাইল্যান্ড, এছাড়া যুক্তরাষ্ট্র, তাইওয়ান, দক্ষিণ কোরিয়া ও জাপানের প্রত্যেকে একজন করে আক্রান্ত হওয়ার কথা জানিয়েছে।

গত বুধবার বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) তাদের জেনেভার সদর দফতরে এক বৈঠকের পর জানিয়েছে, নতুন এ করোনা ভাইরাসটির প্রাদুর্ভাবকে বিশ্বজুড়ে স্বাস্থ্যবিষয়ক জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা হবে কি না, বৃহস্পতিবার সে সিদ্ধান্ত নেওয়ার কথা ছিল।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close