আন্তর্জাতিক ডেস্ক

  ১৮ অক্টোবর, ২০১৯

এরদোয়ানকে লেখা চিঠিতে ট্রাম্প

এতটা কঠিন হবেন না

সিরিয়ায় অভিযান বন্ধ করার আহ্বান জানিয়ে তুর্কি প্রেসিডেন্ট রিসেপ তায়িপ এরদোয়ানকে চিঠি লিখেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। সেখানে তিনি এরদোয়ানকে উদ্দেশ্য করে বলেন, ‘এতটা কঠিন হবেন না। চলুন সুন্দর একটা চুক্তি করি।’ এ ছাড়া ট্রাম্প হুশিয়ারিও দেন ‘বোকার মতো আচরণ করবেন না।’

সিরিয়ার উত্তরাঞ্চলে কুর্দিদের পক্ষে মোতায়েন মার্কিন সেনাদের গত সপ্তাহে প্রত্যাহার করে নেওয়ার ঘোষণা দেয় যুক্তরাষ্ট্র। এরপর সিরিয়ার সীমান্ত এলাকায় সেনা সমাবেশ ঘটিয়ে কুর্দিদের ওপর হামলা শুরু করে তুরস্ক। এই হামলায় তুরস্কের সঙ্গে রয়েছে সিরিয়ার বিদ্রোহী যোদ্ধারা। সেনা প্রত্যাহারের এক দিন পরেই এই চিঠি পাঠানো হয় বলে জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম বাজফিড। চিঠিটি প্রথম পান ফক্স বিজনেসের সাংবাদিক ট্রিশ রিগ্যান। এরপর হোয়াইট হাউসও এর সত্যতা নিশ্চিত করে।

সেখানে ট্রাম্প হুশিয়ারি দিয়ে বলেন, ‘আপনি নিশ্চয়ই হাজার হাজার মানুষকে হত্যা করতে চাইবেন না। আর আমিও চাই না তুরস্কের অর্থনীতি ধসে পড়ুক এবং আমি সেটা করবই। ট্রাম্প বলেন, আমি আপনার কিছু সমস্যা সমাধানে অনেক পরিশ্রম করেছি। বিশ্বকে হতাশ করবেন না। আপনি নিশ্চয়ই ভালো একটা চুক্তি করতে পারেন।

গত ৬ অক্টোবর এরদোয়ানের সঙ্গে কথা বলে ট্রাম্প জানিয়েছিলেন সিরিয়ার উত্তর-পূর্বাঞ্চল থেকে সেনা প্রত্যাহার করে নেওয়া হবে। সমালোচকদের ভাষায়, গত সপ্তাহে ওই অঞ্চল থেকে যুক্তরাষ্ট্র তাদের সেনা সরিয়ে নেওয়ার ঘোষণা দেওয়ার মধ্য দিয়ে তুরস্ককে হামলার ‘সবুজ সংকেত’ দিয়েছে। গত বুধবার এক সংবাদ সম্মেলনে ট্রাম্প বলেন, ‘আমি তাদের সবুজ সংকেত দেইনি। কেউ যদি চিঠিটা পড়ে থাকেন তবে নিশ্চয়েই বুঝতে পেরেছেন। তার সঙ্গে আলোচনার পরই আমি এই চিঠিটি লিখি।

চিঠিতে ট্রাম্প বলেন, আপনি যদি এখন সঠিক ও মানবিক আচরণ করেন তবে ইতিহাস আপনাকে মনে রাখবে। আর যদি ভালো কাজ না হয় আপনাকে শয়তানরূপে দেখবে। এতটা কঠিন হবেন না।

৮ অক্টোবর কুর্দি নেতৃত্বাধীন সিরিয়ান ডেমোক্রেটিক ফোর্সকে (এসডিএফ) লক্ষ্য করে হামলা শুরু করে তুর্কি সেনারা। ওই অঞ্চল থেকে আন্তর্জাতিক জঙ্গি সংগঠন ইসলামিক স্টেট (আইএস) নির্মূলে যুক্তরাষ্ট্রের প্রধান শক্তি হিসেবে কাজ করে এসডিএফ। তবে তুরস্ক উল্টো এসডিএফকে জঙ্গি সংগঠন বলে মনে করে। সীমান্ত থেকে ৩০ কিলোমিটার পর্যন্ত ‘নিরাপদ এলাকা’ গড়ে তোলার প্রস্তাব দিয়ে সেখানে তুরস্কে অবস্থান নেওয়া সিরিয়ার শরণার্থীদের বড় একটি অংশকে পুনর্বাসনের কথা বলছে। তবে শরণার্থীদের অনেকেই কুর্দি না হওয়ায় তুরস্কের এই পদক্ষেপ বাস্তবায়িত হলে কুর্দিরা জাতিগত নিধনের শিকার হতে পারে বলে সতর্ক করছেন সমালোচকরা। জাতিসংঘের তথ্য অনুসারে, তুরস্ক হামলা চালানোর পর সেখানে ডজন ডজন বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছে। কমপক্ষে ১ লাখ ৬০ হাজার মানুষ এলাকা ছেড়ে পালিয়েছে।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close