আন্তর্জাতিক ডেস্ক

  ০৫ জুলাই, ২০১৯

‘১০ বছরে জাতিসংঘ কর্মীদের ধর্ষণের শিকার ৬০ হাজার’

বিগত এক দশকে জাতিসংঘ কর্মীদের দ্বারা ৬০ হাজারেরও বেশি নারী ধর্ষণের শিকার হয়েছে বলে দাবি করেছেন জাতিসংঘের কর্মকর্তা অ্যান্ড্রু ম্যাসেলিওড। গত বছর এ বিষয়ক একটি প্রতিবেদন ব্রিটিশ আন্তর্জাতিক সেই প্রতিবেদনে বলা হয়, বিশ্বের সবচেয়ে বড় এই সংস্থায় প্রায় ৩ হাজার ৩০০ শিশু নিপীড়কও কর্মরত আছেন। তারা বিশ্বজুড়ে ঝুঁকিতে থাকা নারী ও শিশুদের ধর্ষণ করতেই দাতা সংস্থাগুলোতে চাকরি নেওয়ার চেষ্টা করেন। প্রায় ২০ বছর ধরে এমন তথ্য গোপন করে রাখা হয়েছিল। তবে শেষ পর্যন্ত তার সবার সামনে উন্মোচিত হলো।

এর আগেও ত্রাণকর্মীদের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছিল। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য সানকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে অধ্যাপক ম্যাসেলিওড বলেন, জাতিসংঘের বিরুদ্ধে যৌন নিপীড়নের অভিযোগের মাত্রা ক্যাথলিক গির্জাগুলোর বিশালত্বের মতোই। এই শিক্ষাবিদ বলেন, ‘সারা বিশ্বে হাজার হাজার ত্রাণকর্মী কাজ করছেন যারা আদতে শিশু নিপীড়ক। আপনি যদি ইউনিসেফের টি-শার্ট পরা থাকেন, তবে কেউ আপনাকে জিজ্ঞাসা করবে না আপনার উদ্দেশ্য কী? ম্যাসেলিওড বলেন, ‘তখন আপনি যা খুশি করতে পারবেন। আর এ বিষয়টি সারা পৃথিবীতেই ঘটছে। এটা আসলে ব্যবস্থাপনার দুর্বলতা। অনেক আগেই এটা বন্ধ করা উচিত ছিল।

জাতিসংঘের ত্রাণ বিভাগের কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন ম্যাসেলিওড। বলকান দেশগুলো, রুয়ান্ডা এবং পাকিস্তানে ছিলেন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা। জাতিসংঘের জরুরি সমন্বয় কেন্দ্রের প্রধান হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি। বর্তমানে তিনি ত্রাণকর্মীদের ওপর কড়াকড়ি আরোপের জন্য প্রচারণা চালাচ্ছেন এবং তাদের মধ্যে নিপীড়কদের বিচারের আওতায় আনার চেষ্টা করছেন। তিনি চান, এই লড়াইয়ে যেন যুক্তরাজ্য নেতৃত্ব দেয়।

গত বছর জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্টনিও গুতেরেসের নিয়োগ দেওয়া তালিকার মধ্যে ৬০ হাজার শান্তিকর্মীর বিরুদ্ধে যৌন নিপীড়নের অভিযোগ এনেছেন ম্যাসেলিওড। আর বেসামরিক কর্মীরা ২০১৬ সালে ৩১১ জনকে নিপীড়ন করছেন। জাতিসংঘও স্বীকার করেছে তাদের প্রকাশিত তালিকার তুলনায় প্রকৃত সংখ্যা প্রায় দ্বিগুণ। যুদ্ধ এলাকার বাইরের ঘটনার প্রকৃত সংখ্যা তাদের কাছে নেই।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close