স্বাস্থ্য ডেস্ক
গরমে হাঁচি-কাশি
চলছে দুর্বিষহ গরম। এ গরমে অনেকেরই হাঁচি ও কাশিজনিত নানা উপসর্গ দেখা যাচ্ছে। হাঁচি-কাশি হলে অবশ্যই মনে রাখতে হবে, এটি রোগের পূর্ব লক্ষণ। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে হাঁচি-কাশি না কমাতে পারলে তা ধীরে ধীরে শ্বাসনালিতে প্রদাহসহ অন্যান্য সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে। এ ঋতুতে হাঁচি-কাশি হলে খাওয়া-দাওয়ায় একটু পরিবর্তন আনতে হবে। আপনার খাদ্য তালিকায় শর্করা, আমিষ, স্নেহের পাশাপাশি ভিটামিন ও মিনারেল-সমৃদ্ধ খাবার রাখুন। কারণ সুষম খাবার আপনার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে দেবে। হাঁচি-কাশি কমাতে ভিটামিন ‘সি’যুক্ত ফলমূল খান। এছাড়াও এই গরমে পর্যাপ্ত পানি খেতে হবে। তুলসী পাতার রস, আদার রস, মধু বা আদা মেশানো চা হাঁচি-কাশি দূর করতে খুবই কার্যকর। হাঁচি-কাশির কারণে যদি খুব বেশি শারীরিক সমস্যা দেখা দেয়, তবে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে কিছু ওষুধ সেবন করুন ও সুস্থ থাকুন। হাঁচি-কাশি একজন থেকে অন্যজনে ভাইরাসের মাধ্যমে খুব সহজেই সংক্রমিত হয়। তাই হাঁচি বা কাশি দেওয়ার সময় রুমাল বা টিস্যু ব্যবহার করতে হবে ও শিশুদের সামনে হাঁচি-কাশি দেওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে।
হাঁচি-কাশিমুক্ত থাকতে কী করবেন
গরমে হালকা পোশাক পরুন।
ঘেমে গেলে তা যত দ্রুত সম্ভব মুছে ফেলুন ও একটু ঠান্ডা স্থানে বিশ্রাম নিন।
ধুলাবালি এড়িয়ে চলুন।
ধুলাবালি ও ধোঁয়াযুক্ত রাস্তায় নাকে-মুখে মাস্ক ব্যবহার করুন।
পশুপাখি থেকে দূরে থাকুন।
গোসলের পর ভালোভাবে চুল শুকিয়ে নিন।
গোসলের পর সরাসরি ফ্যান কিংবা এসির নিচে থাকা যাবে না।
বাসায় বিছানার চাদর, পর্দা পরিষ্কার ও ধুলাবালিমুক্ত রাখতে হবে।
ধূমপান থেকে বিরত থাকুন।
আপনার সামনে অন্য কেউ অনবরত হাঁচি-কাশি দিলে আপনার নাক-মুখ রুমাল দিয়ে ঢেকে রাখুন।
খুব বেশি ঘেমে গেলে ঘর্মাক্ত অবস্থায় গোসল করা থেকে বিরত থাকুন।
"