নিজস্ব প্রতিবেদক

  ০৫ এপ্রিল, ২০২৪

বিএনপি নেতাদের শোবারঘরে ভারতীয় পণ্য : কাদের

বিএনপি আন্দোলনে নির্বাচন ঠেকাতে ব্যর্থ মন্তব্য করে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘দলটি ভারতীয় পণ্য বর্জনের ডাক দিয়েও ব্যর্থ। বিএনপি নেতাদের শোবারঘরে, রান্নাঘরে ভারতীয় পণ্য। তথাকথিত এ ডাক (ভারতীয় পণ্য বর্জন) ভাঁওতাবাজি। এ ভাঁওতাবাজির অবসান হয়েছে। আজ ব্যর্থ হয়ে বিএনপি দিশাহারা।’

গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে ১৭ এপ্রিল মুজিবনগর দিবস পালনের প্রস্তুতি ও খুলনা বিভাগীয় আওয়ামী লীগ নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন। ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘লন্ডন থেকে যার হুকুমে বিএনপি চলে, তার ফ্রি স্টাইল নেতৃত্ব এখন বিএনপি নেতাদের মেনে নিতে কষ্ট হচ্ছে। তারা বুঝতে শুরু করেছে, তারেক রহমান যতদিন নেতৃত্বে আছে, ততদিন বিএনপি ভুলের চোরাবালিতে আটকে আছে। এখান থেকে তারা আর বের হতে পারবে না। রাজনীতি করবে রিমোট কন্ট্রোলে, এটা কি হয়! সাহস থাকলে দেশে আসুন, রাজনীতি করুন। জেলে যাওয়ার সাহস রাখুন। লন্ডন থেকে ডাকে আর কেউ সাড়া দিক জনগণ সাড়া দেবে না। আজ বিএনপি নেতারাও এ আন্দোলনের ডাককে ভুয়া বলে।’

আওয়ামী লীগই একমাত্র দল, যারা দলের অভ্যন্তরে গণতন্ত্রের চর্চা করে জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বিএনপির নিজেদের মধ্যে গণতন্ত্রের চর্চা নেই। যাদের নিজের ঘরেই গণতন্ত্র নেই তারা দেশের গণতন্ত্র নিয়ে কথা বলে কোন মুখে? পঁচাত্তরের নৃশংসতম ঘটনা ঘটিয়েছে গণতন্ত্রের সবচেয়ে বড় হন্তারক তারা। গণতন্ত্রের হত্যাকারীরা গণতন্ত্রের নামে মায়াকান্না করে। শুনেও হাসি পায়, বিএনপি এখন গণতন্ত্রের কথা বলে।’ বিএনপির ৮০ শতাংশ নেতাকর্মী নির্যাতনের শিকার প্রসঙ্গে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘মির্জা ফখরুল কথায় কথায় চোখের জল ফেলেন। ৮০ শতাংশ নেতাকর্মী নাকি নির্যাতন ও জেলে বন্দি। বলেন কোন কারাগারে তারা বন্দি আছে? আমির খসরু, মির্জা আব্বাস সবাই তো একে একে বাইরে। তালিকাটা প্রকাশ করুন। আর মিথ্যাচার করে জাতিকে বিভ্রান্ত করবেন না।’

এর আগে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৪তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভায় যোগদান দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। আওয়ামী লীগের স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যাবিষয়ক উপকমিটি আয়োজিত এ সভায় তিনি মফস্বলের হাসপাতালগুলোর মান উন্নত করার ওপর জোর দেন। তিনি বলেন, ‘দেশের মফস্বলের কোনো কোনো হাসপাতাল দেখে মনে হয় যেন আস্তাবল। হাসপাতাল যেন আস্তাবল না হয়। ডাক্তার আছে, ওষুধ নেই। আইসিইউর মতো জরুরি বিষয়টি উপজেলা পর্যায় পর্যন্ত থাকা দরকার।’ উপকমিটির চেয়ারম্যান আফম রুহুল হকের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যাবিষয়ক সম্পাদক ডা. রোকেয়া সুলতানাসহ উপকমিটির সদস্যরা। পরে দেশের পাঁচটি হাসপাতালে উপকমিটির পক্ষ থেকে হুইল চেয়ার বিতরণ করা হয়।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close