নিজস্ব প্রতিবেদক

  ২৫ জানুয়ারি, ২০২৪

মন্ত্রীদের তৎপরতা

ইলিশের উৎপাদন আরো বাড়ানো হবে

- মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী

গবেষণাধর্মী পরিকল্পনা নিয়ে ইলিশের উৎপাদন আরো বাড়ানো হবে বলে জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী মো. আবদুর রহমান। তিনি বলেন, ২০০৮ সালের পর ইলিশের উৎপাদন বাড়তে শুরু করেছে। বর্তমানে ইলিশের উৎপাদন বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫ লাখ ৭১ হাজার টন। গতকাল বুধবার দুপুরে মৎস্য অধিদপ্তরের সম্মেলন কক্ষে মা ইলিশ সংরক্ষণ অভিযান-২০২৩ এর মূল্যায়ন ও ভবিষ্যৎ করণীয় শীর্ষক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এসব তথ্য জানান।

মন্ত্রী বলেন, ‘২০০১-০২ সালে ইলিশ উৎপাদনের যে প্রবৃদ্ধি ছিল এবং ২০০৮ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যখন রাষ্ট্র ক্ষমতায় এসেছিল, সে সময়ের তুলনায় বর্তমানে ইলিশ উৎপাদনের প্রবৃদ্ধি অনেক বেশি। এ প্রবৃদ্ধি দ্বিগুণেরও বেশি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আন্তরিকতা, সদিচ্ছা এবং একটি জাতিকে গড়ে তোলার প্রয়াসের জন্য এটি হয়েছে। বর্তমানে ইলিশের উৎপাদন ৫ লাখ ৭১ হাজার টন।’

তিনি আরো বলেন, ইলিশ যেমন আমাদের গৌরবের জায়গা, তেমনি ইলিশ জাতীয় অর্থনীতিতে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনেরও একটি বড় ক্ষেত্র। তাই এটিকে লালন-পালন, পরিচর্যা এবং বিভিন্ন গবেষণাধর্মী পরিকল্পনা নিয়ে সামনে আরো বেশি উৎপাদন বাড়ানো এবং এটিকে সত্যিকার অর্থে এটিকে একটি বড় সম্পদ হিসেবে বিবেচনা করেই আমরা এগোতে চাই। সবাই যার যার জায়গা অবদান রাখলে ইলিশ উৎপাদনে আরো প্রবৃদ্ধি অর্জন সম্ভব হবে।

দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি সংক্রান্ত বিষয়ে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী বলেন, মানুষের মৌলিক বিষয়গুলোর নিশ্চয়তা দেওয়া বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকারের প্রধান কাজ। দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির বিষয় ইদানিং বড় ইস্যু হয়ে দাঁড়িয়েছে। কৃত্রিম মূল্যবৃদ্ধির সঙ্গে যারা জড়িত থাকবে বা আছে তাদের চিহ্নিতকরণের প্রক্রিয়া চলছে এবং এ অসাধু ব্যবসায়ী যারা কারসাজি করে মূল্যবৃদ্ধি করে মানুষকে কষ্ট দিতে চায় তাদের কোনো অবস্থাতেই ছাড় দেওয়া হবে না। তাদের বিরুদ্ধে কঠিন ও কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া বর্তমান সরকারের অঙ্গীকার। মানুষের স্বস্তি, মানুষের শান্তি, তাদের জানমালের নিরাপত্তা-এ মৌলিক বিষয়গুলো অবশ্যই বর্তমান সরকার প্রাধান্য দেবে।

উল্লেখ্য, ইলিশ উৎপাদন বৃদ্ধির ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে ২০২৩ সালে ইলিশের প্রধান প্রজনন মৌসুমে ১২ অক্টোবর হতে ২ নভেম্বর পর্যন্ত ২২ দিন মা ইলিশ সংরক্ষণ অভিযান, ২০২৩ বাস্তবায়ন করা হয়। এ সময় দেশের ইলিশ সম্পৃক্ত ৩৮ জেলার ১৭৪ উপজেলায় এ কার্যক্রম বাস্তবায়ন করা হয়। মা ইলিশ সংরক্ষণ অভিযান, ২০২৩ বাস্তবায়নকালে জেলে ও মৎস্যজীবীদের জীবিকা নির্বাহের জন্য ৫ লাখ ৫৪ হাজার ৮৮৭টি জেলে পরিবারকে ২২ দিনে ২৫ কেজি হারে ১৩ হাজার ৮৭২ টন ভিজিএফ (চাল) বিতরণ করা হয়েছে।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close