নিজস্ব প্রতিবেদক

  ১৬ মার্চ, ২০২৩

সুপ্রিম কোর্ট বার নির্বাচনে পুলিশের লাঠিপেটা

সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে পেশাগত দায়িত্ব পালনের সময় পুলিশের হামলার শিকার হয়েছেন অন্তত ১০ জন সাংবাদিক। এছাড়া আইনজীবীদের ওপর লাঠিচার্জ করা হয়েছে। বুধবার (১৫ মার্চ) আইনজীবী সমিতির মিলনায়তনে এ ঘটনা ঘটে। আহতদের মধ্যে এটিএন নিউজের সাংবাদিক জাবেদ আক্তারের অবস্থা গুরুতর। তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

আহত অন্যরা হলেন প্রথম আলোর ফটো সাংবাদিক শুভ্র কান্তি দাশ, জাগো নিউজের জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক ফজলুল হক, আজকের পত্রিকার নূর মোহাম্মদ, ইনডিপেনডেন্ট টেলিভিশনের জান্নাতুল ফেরদৌস, বৈশাখী টেলিভিশনের ক্যামেরা পারসন ইব্রাহিম হোসেন, এটিএন বাংলার ক্যামেরা পারসন হুমায়ুন কবির, মানবজমিনের আবদুল্লাহ আল মারুফ।

পুলিশের হামলার শিকার সাংবাদিক নূর মোহাম্মদ গণমাধ্যমকে বলেন, ‘দুপুর পৌনে ১২টার দিকে হট্টগোলের শব্দ শুনে ভোট কেন্দ্রে যান। সেখানে আওয়ামী লীগ ও বিএনপিপন্থি আইনজীবীরা স্লোগান দিচ্ছিলেন। একপর্যায়ে পুলিশ আইনজীবীদের ওপর লাঠিচার্জ শুরু করেন। সেখানে সংবাদ সংগ্রহ করতে গেলে পুলিশ আমাকে লাথি মারেন।’

তিনি বলেন, সকাল ১০টা থেকে ভোট গ্রহণের কথা ছিল। কিন্তু সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ভোটকেন্দ্রে ২০ থেকে ৩০ জন পুলিশ ঢুকেন। তখন সাংবাদিকদের ভোটকেন্দ্র থেকে বের করে দেওয়া হয়। আহত সাংবাদিক ফজলুর রহমান বলেন, ‘পুলিশ আমাকে ঘিরে ধরে পিটিয়েছে। এতে আমার মাথা ও শরীরের বিভিন্ন জায়গায় আঘাত লেগেছে। পুলিশ বিভিন্ন সাংবাদিকদের মুঠোফোন ও ক্যামেরা কেড়ে নেয়।’

প্রথম আলোর ফটোসাংবাদিক শুভ্র কান্তি দাশ বলেন, ‘হট্টগোলের ছবি তোলার সময় পুলিশ আমার পরিচয়পত্র দেখতে চান। পরিচয়পত্র দেখানোর পর সেটির ছবি তুলে রাখেন পুলিশ সদস্যরা। একপর্যায়ে পুলিশ সদস্যরা আমাকে গালাগাল দেন ও গায়ে হাত তুলেন।’ ল’ রিপোর্টার্স ফোরামের সভাপতি আশুতোষ সরকার সাংবাদিকদের বলেন, ‘কর্তব্যরত সাংবাদিকদের ওপর হামলার ঘটনাটি আইনমন্ত্রী ও প্রধান বিচারপতিকে জানানো হয়েছে। তারা লিখিত অভিযোগ চেয়েছেন। আমরা তাদের লিখিতভাবে বিষয়টি জানাব।’

পুলিশের হামলা প্রসঙ্গে জানতে চাইলে শাহবাগ থানার ওসি নূর মোহাম্মদ বলেন, ‘হামলার ঘটনাটি আপনার কাছেই প্রথম শুনলাম।’

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close