দেশে এক দিনে মারা যাওয়া কোভিড রোগীর সংখ্যা এক সপ্তাহ পর আবার নেমে এসেছে ১০-এর নিচে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনাভাইরাসে মারা গেছেন সাতজন এবং সংক্রমণ ধরা পড়েছে আরো ৫১৮ জনের। এক দিনে মৃত্যুর এই সংখ্যা গত মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন। এর আগে গত ১০ মার্চ ছয়জনের মৃত্যুর খবর দিয়েছিল স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। আর ৮ অক্টোবরও সাতজনের মৃত্যুর খবর এসেছিল। এ নিয়ে দেশে এ পর্যন্ত শনাক্ত কোভিড রোগীর সংখ্যা ১৫ লাখ ৬৪ হাজার ৪৮৫ জন। তাদের মধ্যে ২৭ হাজার ৭৩৭ জনের মৃত্যু ঘটিয়েছে এ ভাইরাস। গত এক দিনে সেরে উঠেছেন আরো ৬৯৫ জন। তাদের নিয়ে এ পর্যন্ত মোট ১৫ লাখ ২৬ হাজার ৩৬৮ জন সুস্থ হয়ে উঠলেন।

নতুন আক্রান্তদের মধ্যে ৩৪২ জনই ঢাকা বিভাগের, যা দিনের মোট শনাক্তের ৭৩ শতাংশের বেশি। ঢাকা ছাড়া কেবল ফরিদপুর, নরসিংদী, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, কুষ্টিয়া ও সিলেট জেলায় ১০ জনের বেশি নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছে। যে সাতজন গত এক দিনে মারা গেছেন, তাদের তিনজনই ছিলেন ঢাকা বিভাগের বাসিন্দা। এছাড়া চট্টগ্রাম বিভাগে দুজন এবং রাজশাহী ও খুলনা বিভাগে একজন করে মারা গেছেন।

গত ২৪ ঘণ্টায় মৃতদের মধ্যে দুজনের বয়স ছিল ৬০ বছরের বেশি। চারজনের বয়স ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে এবং একজনের বয়স ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে ছিল। তাদের তিনজন ছিলেন পুরুষ, বাকি চারজন নারী। তাদের পাঁচজন সরকারি হাসপাতালে এবং দুজন বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন মারা গেছেন।

গত এক দিনে সারা দেশে মোট ২১ হাজার ৫৬৮টি নমুনা পরীক্ষা হয়েছে। এ পর্যন্ত পরীক্ষা হয়েছে ১ কোটি ৪২ হাজার ২৬৫টি নমুনা।

গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষা অনুযায়ী শনাক্তের হার ২ দশমিক ১৬ শতাংশ, যা আগের দিন ২ দশমিক ৩৪ শতাংশ ছিল। এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষার বিবেচনায় শনাক্তের হার ১৫ দশমিক ৫৮ শতাংশ; মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৭৭ শতাংশ।

দেশে করোনাভাইরাসের প্রথম সংক্রমণ ধরা পড়েছিল গত বছরের ৮ মার্চ। গত ৩১ অগাস্ট তা ১৫ লাখ পেরিয়ে যায়। এর আগে ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের ব্যাপক বিস্তারের মধ্যে ২৮ জুলাই দেশে রেকর্ড ১৬ হাজার ২৩০ জন নতুন রোগী শনাক্ত হয়।

প্রথম রোগী শনাক্তের ১০ দিন পর গত বছরের ১৮ মার্চ দেশে প্রথম মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এ বছর ১৪ সেপ্টেম্বর তা ২৭ হাজার ছাড়িয়ে যায়। তার আগে ৫ ও ১০ আগস্ট ২৬৪ জন করে মৃত্যুর খবর আসে, যা মহামারির মধ্যে এক দিনের সর্বোচ্চ সংখ্যা।

"