মিজান রহমান

  ০১ আগস্ট, ২০২১

বিধিনিষেধ বাড়বে সঙ্গে শিথিলতাও

করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সারা দেশে কঠোর বিধিনিষেধ আগামী ৫ আগস্ট পর্যন্ত চলবে। এরপর বিধিনিষেধ বাড়ালেও কিছু কিছু ক্ষেত্রে শিথিল করে দেওয়ার কথা জানিয়েছে সরকারি সূত্র। কোন কোন ক্ষেত্রে শিথিলতা আনা যায়, তা নিয়ে আলাপ-আলোচনা চলছে। আগামী মঙ্গল বা বুধবারের মধ্যে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হবে। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় ও মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের এক সূত্র এমন তথ্য নিশ্চত করছে। করোনাভাইরাসের সংক্রমণ পরিস্থিতি উদ্বেগজনক পর্যায়ে চলে যাওয়ায় কয়েক মাস ধরে বিধিনিষেধ আরোপ করে তা নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছে সরকার।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের একজন কর্মকর্তা প্রতিদিনের সংবাদকে বলেন, ‘সংক্রমণ পরিস্থিতির সঙ্গে অর্থনীতি ও মানুষের জীবিকার বিষয়টিও বিবেচনায় নিতে হচ্ছে সরকারকে। বর্তমান পরিস্থিতিতে বিধিনিষেধ বাড়ানোর কোনো বিকল্প নেই। তাই আগামীতে বিধিনিষেধ বাড়ানো হলেও কিছু ক্ষেত্রে শিথিলতার কথাও চিন্তা-ভাবনা করা হচ্ছে। কোনো কোনো ক্ষেত্রে শিথিলতা আসছে, তা এখনো চূড়ান্ত নয়। বিষয়টি এখনো আলোচনার পর্যায়ে আছে। তবে মাস্ক পরা, হাত ধোঁয়া, জনসমাগম এড়ানো এবং শারীরিক দূরত্বকে গুরুত্ব দিয়ে বেশকিছু বিধিনিষেধ আরোপ করা হবে।

আগামী বৃহস্পতিবারের পর বিধিনিষেধ বাড়বে কি না, জানতে চাইলে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন বলেছেন, পরিস্থিতি অনুযায়ী আমরা সিদ্ধান্ত নেব। আপাতত রপ্তানিমুখী শিল্প-কারখানা খুলে দিচ্ছি। সেটাও সীমিত পরিসরে।

জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘কঠোর বিধিনিষেধ মানে সবকিছু বন্ধ থাকবে। যেহেতু শিল্প-কারখানা খুলে দেওয়া হয়েছে তাহলে তো কঠোর থাকল না। শিল্প-কারখানাও ধাপে ধাপে খুলে দেওয়া হবে। অন্যান্য অফিস পুরো খুলবে নাকি সীমিত পরিসরে খোলা রাখা যাবে, সেসব বিষয়ে এখনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। আগামী মঙ্গল বা বুধবার এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত জানানো হবে। তবে সবকিছুই নির্ভর করছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনার ওপর।

গত ১৩ জুন বিধিনিষেধ আরোপ করে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। ঈদের কারণে ওই আদেশে ১৪ জুলাই মধ্যরাত থেকে ২৩ জুলাই সকাল ৬টা পর্যন্ত বিধিনিষেধ শিথিল করা হয়েছিল। এরপর করোনাভাইরাস সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে গত ২৩ জুলাই থেকে কঠোর বিধিনিষেধ শুরু হয়।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close