প্রতিদিনের সংবাদ ডেস্ক

  ২৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২১

জাতিসংঘে মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূত

যেকোনো উপায়ে সামরিক জান্তাদের হটিয়ে দিন

মিয়ানমারের সামরিক শাসকদের ক্ষমতা থেকে হটিয়ে দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘে নিযুক্ত দেশটির রাষ্ট্রদূত কিয়াউ মো তুন। এ লক্ষে তিনি জাতিসংঘ এবং বিশ^শক্তিকে যেকোনো পদক্ষেপ নেওয়ার বিষয়ে গুরুত্ব দেওয়ার তাগিদ দিয়েছেন। কিয়াউ মো তুনের ভাষায় মিয়ানমারের সামরিক জান্তারা দেশের গণতন্ত্রকামী মানুষের ওপর অত্যাচার ও নির্যাতন চালাচ্ছে। এই সামরিক জান্তাদের কারণেই এখন দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার রাজনীতি অস্থিতিশীল হয়ে পড়ছে। খবর ইউএন নিউজ ও আলজাজিরার।

জাতিসংঘে নিযুক্ত মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূত কিয়াউ মো তুন জেনারেল অ্যাসেমব্লিতে বলেন, তিনি সু চির সরকারের পক্ষে কথা বলছেন। তিনি জাতিসংঘকে ‘মিয়ানমার সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ এবং জনগণের সুরক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় কোনো উপায় বের করার জন্য’ আবেদন জানান।

কিয়াউ মো তুনের বরাতে জানায়, ‘অবিলম্বে সামরিক অভ্যুত্থানের অবসান, নিরপরাধ জনগণের ওপর নিপীড়ন বন্ধ করা এবং গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছ থেকে আমাদের আরো কঠোর সম্ভাব্য পদক্ষেপের প্রয়োজন রয়েছে।’ এ আহ্বানের পর তিনি জাতিসংঘের সদস্য রাষ্ট্রগুলোর কাছে প্রশংসিত হয়েছেন।

মিয়ানমারের গত নির্বাচনে জয়ী গণতান্ত্রিক শক্তির পক্ষে লিখিত বক্তব্যটি পড়তে গিয়ে কিয়াউ মো তুন আবেগাক্রান্ত হয়ে পড়েন। তিনি বলেন, তার দেশের বৈধ সরকারের প্রতিনিধিত্ব করেন তিনি। বার্মিজ ভাষায় শেষ বাক্য বলে এ কূটনীতিক গণতন্ত্রপন্থি বিক্ষোভকারীদের তিন-আঙুল প্রদর্শন করেন এবং ঘোষণা দেন, ‘আমাদের উদ্দেশ্যই বিজয়ী হবে।’

এ ঘটনার পর গত শনিবার ইয়াঙ্গুন পুলিশ সামরিক শাসন বিরোধীদের দমনে কঠোর পদক্ষেপের দিকে গেছে। এর আগে জাতিসংঘের এক কর্মকর্তা অভিযোগ করেছেন, সেনাবাহিনী ‘যুদ্ধ ঘোষণা’ করেছে। মিয়ানমারবিষয়ক জাতিসংঘের বিশেষ কর্মকর্তা টম অ্যান্ড্রুজ বলেন, জান্তা সরকার বেপরোয়া আচরণ করছে। এ জন্য তাদের জবাবদিহি করতে হবে। মিয়ানমারে সামরিক অভ্যুত্থান হয় ১ ফেব্রুয়ারি। এর মধ্য দিয়ে ক্ষমতাচ্যুত করা হয় দেশটির স্টেট কাউন্সিলর অং সান সু চি ও প্রেসিডেন্ট উইন মিন্টকে। আর ক্ষমতার নিয়ন্ত্রণ নেন দেশটির সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল মিন অং হং লাইং। এছাড়া ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব দেওয়া হয় সাবেক জেনারেল ও বর্তমান ভাইস প্রেসিডেন্ট মিন্ট সোয়েকে। এরপর দেশটিতে এক বছরের জন্য জরুরি অবস্থা জারি করা হয়।

সামরিক অভ্যুত্থান ঘটিয়ে স্টেট কাউন্সিলর সু চিসহ আইন প্রণেতাদের গৃহবন্দি করে ক্ষমতা দখলে নেয় মিয়ানমার সেনাবাহিনী। ওইদিন থেকেই সামরিক সরকারের বিরুদ্ধে রাস্তায় আপামর জনতা। আর এই প্রতিবাদকারীদের প্রতি কঠোর কোনো প্রতিক্রিয়া দেখানো হলে তার ‘গুরুতর পরিণতি’ সম্পর্কে দেশটির সেনাবাহিনীকে সতর্ক করেছে জাতিসংঘ।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close