প্রতিদিনের সংবাদ ডেস্ক

  ১৯ অক্টোবর, ২০২০

শেখ রাসেলের জন্মদিনে প্রধানমন্ত্রী

শিশুদের উন্নত জীবন গড়তে কাজ করছি

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, শিশুদের উন্নত ভবিষ্যৎ উপহার দেওয়ার লক্ষ্য নিয়ে সরকার নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে, যাতে তারা দেশের কর্ণধার হতে পারে। প্রতিটি শিশু যথাযথ শিক্ষার মাধ্যমে আগামী দিনে দেশের কর্ণধার হবে, তারা সুন্দর জীবন গড়বে, আমরা এ লক্ষ্য নিয়েই কাজ করছি। প্রধানমন্ত্রী তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছোট ছেলে শেখ রাসেলের ৫৭তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন। শেখ রাসেল জাতীয় শিশু কিশোর পরিষদ বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে (বিআইসিসি) এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। বাসস, ইউএনবি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের শিশুরা দেশপ্রেমিক হবে, মানুষের মতো মানুষ হবে, মানুষের সেবা করবে এবং নিজেদের উপযুক্ত নাগরিক হিসেবে গড়ে তুলবে, আধুনিক শিক্ষায় সুশিক্ষিত হবে। আমি জানি করোনাভাইরাসের কারণে স্কুল বন্ধ। এটা সত্যিই যেকোনো শিশুর জন্য খুব কষ্টকর। কিন্তু হয়তো এই রকম অস্বাভাবিক অবস্থা থাকবে না। তবুও আমি তাদের বলব মনোযোগ দিয়ে লেখাপড়া করতে হবে। অভিভাবকদের অনুরোধ করে শেখ হাসিনা বলেন, যার যার নিজের ছেলেমেয়েকে অন্তত লেখাপড়ার দিকে মনোযোগ দেওয়ার পাশপাশি তাদের একটু খেলাধুলা বা তারা যেন এক্সারসাইজ করতে পারে সেই ব্যবস্থাটা আপনারা নেবেন।

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ থেকে রক্ষা পেতে সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলারও নির্দেশনা দেন সরকার প্রধান। আমি হয়ত মাস্কটা পরে কথা বলছি না কারণ আমার এখানে কেউ নাই আশপাশে, আমি একাই আছি। যারা আছেন, অনেক দূরে। সেজন্য আমার এটা সুবিধা আছে। কিন্তু যেখানে বেশি লোক সেখানে আমিও নিজে সব সময় মাস্ক পরে থাকি। সবাইকে আমি বলব, যেখানেই বেশি লোক সমাগম সবাইকে মাস্ক পরে থাকতে হবে এবং স্বাস্থ্য সুরক্ষা সবাইকে মেনে চলতে হবে, শরীরের প্রতি যত্ন নিতে হবে।

আওয়ামী লীগ সরকার ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ে তুলেছে বলে মহামারির মধ্যেও শেখ রাসেলের জন্মদিনের ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়া সম্ভব হয়েছে জানিয়ে অনুষ্ঠানে সরাসরি উপস্থিত থাকতে না পারায় দুঃখ প্রকাশ করেন প্রধানমন্ত্রী।

ছোট ভাই শেখ রাসেলের স্মৃতিচারণ করে তিনি বলেন, আজ রাসেলের জন্মদিন। ১৯৬৪ সালে রাসেলের জন্ম হয়েছিল। কিন্তু তার জীবনটা শেষ হয়ে যায়, একটি ফুল কুঁড়িতেই শেষ হয়ে যায়, রাসেল আর ফুটতে পারেনি। ’৭৫ এর ১৫ আগস্ট ঘাতকের নির্মম বুলেটের আঘাতে তাকে নির্মমভাবে চিরবিদায় নিতে হয়। রাসেলের জন্মদিনের কথাটা এখনো আমার মনে পড়ে। একটা ছোট্ট শিশু আসবে, আমাদের পরিবারে, আমি কামাল-জামাল, রেহানা আমরা সবাই খুব উৎসাহিত এবং বেশ উত্তেজিত ছিলাম কখন সেই শিশুটির কান্না আমরা শুনব, কখন তার আওয়াজটা পাব, কখন তাকে কোলে তুলে নেব। আর সেই ক্ষণটা যখন এলো তা আমাদের জন্য অত্যন্ত একটা আনন্দের সময় ছিল। ছোট্ট শিশুটি আমাদের সবার চোখের মণি ছিল।

এ সময় গণভবন প্রান্তে প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব আহমদ কায়কাউস, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব মো. তোফাজ্জল হোসেন মিয়া, প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিমসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে ঢাকার শেখ রাসেল রোলার স্কেটিং কমপ্লেক্স প্রান্ত থেকে শেখ রাসেলের জন্মদিন উপলক্ষে বক্তব্য দেয় আট বছরের নীলকাব্য। ভিডিও কনফারেন্সে ইউনিভার্সিটি ল্যাবরেটরি স্কুল ও কলেজ প্রাঙ্গণ প্রান্তে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য মোহাম্মদ আখতারুজ্জামান, আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণবিষয়ক সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্র প্রান্তে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, শেখ রাসেল জাতীয় শিশু কিশোর পরিষদের প্রতিষ্ঠাকালীন চেয়ারম্যান রকিবুর রহমান, সংগঠনটির মহাসচিব ও সংসদ সদস্য মাহমুদ উস সামাদ চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close