এই প্রজন্মে অনেক শিল্পীই নিজের মিষ্টি কণ্ঠ দিয়ে শ্রোতাণ্ডদর্শকের মন জয় করার চেষ্টা করছেন। নেত্রকোনার মেয়ে তানজিন মিথিলাও এমনই একজন শিল্পী। ছোটবেলায় গানে তার হাতেখড়ি অনিতা দেবীর কাছে। এরপর তিনি গান শিখেছেন নেত্রকোনা শহরের ‘শতদল সংস্কৃতি একাডেমি’র রতন সরকারের কাছে। নেত্রকোনার বাংলার সুজন তোপদারের কাছেও সংগীতে তালিম নিয়েছেন। মিথিলার প্রকাশিত প্রথম মৌলিক গান ছিল তার নিজেরই লেখা, সুর করা ‘আঁধো আঁধো’ গানটি। মিথিলার প্রথম একক অ্যালবাম ‘মন রে’ প্রকাশিত হয় লেজার ভিশন থেকে। এরপর একক গান ‘ছুঁয়ে দিলে হাত’ প্রকাশিত হয় জি-সিরিজ থেকে। এই গানও তার নিজেরই লেখা ও সুরে।

মিথিলা জানান, বেশ কিছু নাটকেও তার গান রয়েছে। তবে বাংলাদেশ বেতার বা বাংলাদেশ টেলিভিশনে তিনি তালিকাভুক্ত ছিলেন না। চলতি বছরেই তিনি বিটিভির আধুনিক গানের শিল্পী হিসেবে তালিকাভুক্ত হন। আর তালিকাভুক্ত হয়েই তিনি ‘মা’ শিরোনামের একটি মৌলিক গান গাওয়ার সুযোগ পেলেন গেল ১০ মার্চ। সেদিন কক্সবাজার থেকে শো শেষ করে সরাসরি বিটিভিতে গিয়ে গানটির রেকর্ডিং সম্পন্ন করেন। গানটি লিখেছেন রুশমী চৌধুরী, সুর-সংগীত করেছেন ফরিদ বঙ্গবাসী।

তানজিন মিথিলা বলেন, ‘গানে আজকে আমার যতটুকুই অবস্থান হয়েছে তাতে সন্তুষ্ট আমি। আমি কৃতজ্ঞ আমার গানের গুরু অনিতা ম্যাডাম, রতন স্যার, সুজন স্যারের কাছে। তাদের কাছ থেকে গানে তালিম নিয়ে নিজেকে গড়ে তোলার চেষ্টা করেছি। আর আমার নিজের শ্রম, অধ্যবসায় তো ছিলই। আমার বাবা-মা, ভাই-বোন অনুপ্রেরণা দিয়েছেন সব সময়। আর আমার গানের যারা শ্রোতা তারা আমাকে প্রতিটি গান প্রকাশের সময় থেকে শুরু করে এখনো অনুপ্রেরণা দেন। আমি কৃতজ্ঞ বিটিভি পরিবারের প্রতি। আমার জীবনের নতুন পথচলা শুরু হলো বিটিভিতে তালিকাভুক্ত হওয়ার মধ্য দিয়ে। আজীবন গানই করে যেতে চাই। অনেক বড় হতে পারব কি না জানি না, তবে শুদ্ধ সংগীত করে যেতে চাই।’

৫ ডিসেম্বর জন্ম নেওয়া মিথিলা লালমাটিয়া কলেজে সমাজ বিজ্ঞানে অনার্স করছেন।

"