রুনা খান, বাংলাদেশের টিভি নাটকের নন্দিত অভিনেত্রী। সিনেমায়ও তিনি অনবদ্য একজন। সিনেমায় অভিনয় করে পেয়েছেন রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার। তৌকীর আহমেদ পরিচালিত ‘হালদা’ সিনেমায় অভিনয়ের জন্য তিনি এ পুরস্কার অর্জন করেন। তার অভিনয়ের প্রতি দর্শকের রয়েছে এক অন্যরকম ভালোবাসা। বলা যায়, বেশ কয়েক বছর ধরে রুনা খান তার জন্মদিনে সহকর্মীদের নিয়ে বিশেষভাবে দিনটি উদযাপন করেন। গেল বছর করোনার কারণে সেভাবে উদযাপন করার সুযোগ হয়ে উঠেনি। তাই এ বছর রুনা খান তার খুব কাছের কিছু বন্ধু এবং সহশিল্পীদের সঙ্গে নিয়ে দিনটি উদযাপন করার চেষ্টা করেন।

রুনা খানের আহ্বানে সাড়া দিয়ে ১১ জানুয়ারি রাতে তার বাসায় যারা উপস্থিত হয়েছিলেন তাদের মধ্যে অন্যতম হচ্ছেন তানিয়া আহমেদ, মুনিরা মিঠু, ঈশিতা, নাদিয়া, রিচি সোলায়মান, বুলবুল টুম্পা, কনা, তানিয়া হোসেইন, অহনা, ফারজানা বুবলী, মুনা চৌধুরী, নোভা, নাবিলা, তাহসিন, সিনথিয়া, সারিকা সাবাহ, পরিচালক চয়নিকা চৌধুরীসহ বেশ কয়েকজন। সবার উপস্থিতি রুনা খানকে ভীষণ আবেগাপ্লুত করে তোলে। রাত ১০টা ১৫ মিনিটে কেক কাটার মধ্য দিয়ে সবাই তাকে ঘিরে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন। তানিয়া আহমেদ বলেন, ‘রুনা ভীষণ লক্ষ্মী একটা মেয়ে। মানুষ হিসেবে যেমন খুব ভালো মনের একজন, ঠিক তেমনি অভিনেত্রী হিসেবেও খুবই ভালো করছে। আমি তার আরো সাফল্য কামনা করি।’ ঈশিতা বলেন, ‘খুব চমৎকার সময় কাটল রুনার বাসায়। ধন্যবাদ রুনা।’ নাদিয়া আহমেদ বলেন, ‘এককথায় রুনা একজন ভালো মনের মানুষ। অভিনয়েও অনবদ্য। আমি সব সময়ই তার সর্বাঙ্গীন মঙ্গল কামনা করি।’ রিচি সোলায়মান বলেন, ‘রুনার সঙ্গে সম্পর্কটা পারিবারিক। তার পাশে আছি সব সময়। তার আহ্বানে সাড়া না দিয়ে উপায় নেই। কারণ তাকে আমি ভীষণ পছন্দ করি, ভালোবাসি।’ কনা বলেন, ‘কিছু কিছু সময় আছে, যে সময়গুলো নিজেদের একান্ত ব্যক্তিগত এবং ভীষণ উপভোগ্য হয়ে ওঠার মতো। রুনার বাসায় গেলে বিশেষত তার জন্মদিনে সবার সঙ্গে একসঙ্গে সময় কাটাতে ভীষণ ভালো লাগে। এবারও যথারীতি তাই হলো।’ তানিয়া হোসেইন বলেন, ‘অনেক দিন পর রুনার জন্মদিন উপলক্ষে কোয়ালিটি সময় কাটালাম। ধন্যবাদ রুনাকে।’

রাত ৮টা ৩০ মিনিট থেকে ১১টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত রুনা আমন্ত্রিত অতিথিদের বরণ করে নেওয়া থেকে শুরু করে তাদের সঙ্গে গল্প করা, খাবার দাবারের ব্যবস্থা, সর্বোপরি তাদের সময় দেওয়া সব মিলিয়েই তিনি ছিলেন ভীষণ ব্যস্ত। তবে রুনা স্বীকার করেন, সবার আগমনের কারণেই দিনটি হয়ে উঠেছিল একটু বেশিই বিশেষ। সবার প্রতিই রুনা আন্তরিকভাবে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। তবে বিশেষ এই দিন সফল করে তোলার ক্ষেত্রে রুনার মা ও স্বামীর ভূমিকা ছিল অনবদ্য।

"