বিনোদন প্রতিবেদক

  ০৬ জুন, ২০২০

মুক্তির অপেক্ষায় চঞ্চলের ২ সিনেমা

বাংলাদেশের সিনেমার এবং নাটকের শক্তিমান অভিনেতা চঞ্চল চৌধুরী। পেয়েছেন দুবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারও। প্রথমবার গিয়াস উদ্দিন সেলিম পরিচালিত ‘মনপুরা’ সিনেমার জন্য এবং দ্বিতীয়বার অমিতাভ রেজা চৌধুরী পরিচালিত ‘আয়নাবাজি’ সিনেমাড অনবদ্য অভিনয়ের জন্য তিনি জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন। তার অভিনীত সর্বশেষ মুক্তিপ্রাপ্ত সিনেমা হচ্ছে অনম বিশ^াস পরিচালিত ‘দেবী’। সিনেমায় অভিনয়ের একযুগ সময় পার করছেন চঞ্চল চৌধুরী। শুরু থেকেই সিনেমায় অভিনয়ের ব্যাপারে ভীষণ চুজি তিনি। গল্প এবং চরিত্র পছন্দ না হলে যত বড় প্রযোজনা সংস্থাই হোক কিংবা নির্মাতা যেই হন না কেন, তিনি তাতে অভিনয়ের জন্য সম্মত থাকেন না। যে কারণে চঞ্চল চৌধুরী এখন পর্যন্ত যতগুলো সিনেমায় অভিনয় করেছেন প্রতিটি সিনেমাই হয়েছে দর্শকপ্রিয়। এরই মধ্যে চঞ্চল চৌধুরী শেষ করেছেন আরো দুটি নতুন সিনেমার কাজ। একটি গিয়াস উদ্দিন সেলিমের ‘পাপ পুণ্য’ এবং অন্যটি মেজবাউর রহমান সুমনের প্রথম সিনেমা হাওয়া। ‘পাপ পুণ্য’ সিনেমাটি একটি ইউনিয়ন পর্যায়ের গ্রামের জীবনের গল্প, যেখানে চঞ্চল চৌধুরীকে একজন চেয়ারম্যানের ভূমিকায় অভিনয় করতে দেখা যাবে। অন্যদিকে ‘হাওয়া’ সিনেমা মূলত সমুদ্রপাড়ের জেলেদের সংগ্রামী জীবনের গল্প। যেখানে চঞ্চল চৌধুরীকে প্রধান মাঝির চরিত্রে অভিনয় করতে দেখা যাবে। ‘পাপ পুণ্য’ সিনেমার কাজে চঞ্চল চৌধুরী টানা ৩০ দিন শুটিং করেছেন চাঁদপুরে। অন্যদিকে ‘হাওয়া’ সিনেমার কাজ শেষ করেছেন তিনি সমুদ্রপাড়ে টানা ৪৫ দিন। হাওয়া সিনেমার শুটিংয়ের সময় তিনি পরিবার থেকে টানা ৪৫ দিন বলা যায় বিচ্ছিন্নই ছিলেন।

দুটি সিনেমায় অভিনয় প্রসঙ্গে চঞ্চল চৌধুরী বলেন, ‘বাংলাদেশের সিনেমার এখন যে ধারা চলছে; সেই ধারাকে আরো শক্তিশালী করবে আমার অভিনীত পাপ পুণ্য ও হাওয়া সিনেমা দুটি, এটা আমি নিঃসন্দেহে বলতে পারি। একটি কথা না বললেই নয়, তা হলো আমি দীর্ঘ একযুগ ধরে সিনেমাতে অভিনয় করছি। গল্প এবং চরিত্র ভালো না লাগলে আমি কোনোভাবেই কারো অনুরোধে কোনো সিনেমাতে অভিনয় করি না, করবও না। আমি যদি গল্প পড়ে বুঝতে পারি যে, এই সিনেমা মুক্তি পেলে গ্রহণযোগ্যতা পাবে না, সেই সিনেমায় আমি অভিনয় করি না। পাপ পুণ্য সিনেমায় শ্রদ্ধেয় গিয়াস উদ্দিন সেলিমের লেখা, নির্দেশনা এবং নির্মাণে আবারও তার জাদুর ছোঁয়া পাবেন দর্শক। অন্যদিকে সুমনের এটি প্রথম সিনেমা। কিন্তু সুমন অনেক চ্যালেঞ্জ নিয়ে সিনেমাটি তার সর্বোচ্চ মেধা দিয়ে নির্মাণ করেছেন। সমুদ্রপাড়ের মাঝিদের সংগ্রামী জীবনের গল্প নিয়ে এ ধরনের সিনেমা এত যতœ করে এর আগে নির্মিত হয়নি বলেই আমার ধারণা। আমার বিশ^াস দুটি সিনেমাই মুক্তি পেলে দর্শকের মধ্যে বেশ সাড়া ফেলবে।’

উল্লেখ্য, গেল মার্চ মাসে চঞ্চল চৌধুরী সর্বশেষ তিনটি ঈদ নাটকে কাজ করেছিলেন। আগামী এক/দেড় মাস পর করোনার পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণের পর তিনি শুটিংয়ে ফিরবেন। ‘পাপ পুণ্য’ ও ‘হাওয়া’ কবে মুক্তি পাবে, তা এখনো নিশ্চিত হয়নি। করোনার ক্রান্তিকাল পেরিয়ে গেল হয়তো মুক্তির তারিখ চূড়ান্ত হবে।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close