বিনোদন প্রতিবেদক
জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার ২০১৬
রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে গত রোববার সন্ধ্যায় জমকালো আয়োজনে দেওয়া হলো দেশীয় চলচ্চিত্রের মর্যাদাপূর্ণ আসর ‘জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার ২০১৬’। চলচ্চিত্রে অবদান রাখার জন্য এ বছর আজীবন সম্মাননায় ভূষিত হন গুণী অভিনেতা আকবর হোসেন পাঠান (ফারুক) ও জনপ্রিয় অভিনেত্রী ফরিদা আক্তার (ববিতা)। এদিন সন্ধ্যায় প্রধান অতিথি থেকে বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন এ কে এম রহমতুল্লাহ এমপি, তথ্য প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম এবং তথ্যসচিব আবদুল মালেক। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু।
প্রতি বছর জাতীয় চলচ্চিত্র বিভাগ নিয়মিত ২৮টি ক্যাটাগরিতে পুরস্কার দেওয়া হয়ে থাকে। তবে ২০১৬ সালের জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার ২৬টি ক্যাটাগরিতে দেওয়া হয়। এবার বাংলাদেশের চলচ্চিত্রশিল্পে বিশেষ অবদানের জন্য সরকার এ বছর ২৬ বিভাগে ২৯ জন শিল্পী ও কলাকুশলীকে এ পুরস্কার প্রদান করেছেন। এবার প্রামাণ্য চিত্রের জন্য পুরস্কার পেয়েছে মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর ও একাত্তর মিডিয়া লিমিটেড। অমিতাভ রেজা চৌধুরী পরিচালিত ‘আয়নাবাজি’ চলচ্চিত্রটি সাতটি বিভাগে পুরস্কার জিতে নিয়েছে। ছবিটি সেরা পরিচালক, সেরা অভিনেতা, সেরা চিত্রগ্রাহকসহ মোট সাতটি পুরস্কার পেয়েছেন।
পুরস্কার অর্জনের দিক দিয়ে দ্বিতীয় স্থানে আছে নাদের চৌধুরী পরিচালিত চলচ্চিত্র ‘মেয়েটি এখন কোথায় যাবে’। সেরা গীতিকার, সেরা সুরকার, সেরা সংগীত পরিচালকসহ চারটি পুরস্কার জিতেছে এ ছবিটি।
এবারের আসরে সেরা চলচ্চিত্রের পুরস্কার জিতে নিয়েছে ইমপ্রেস টেলিফিল্ম প্রযোজিত ও তৌকীর আহমেদ পরিচালিত চলচ্চিত্র ‘অজ্ঞাতনামা’। সেরা চলচ্চিত্রের পাশাপাশি ছবিটি সেরা কাহিনিকার ও সেরা খল-অভিনেতার পুরস্কারও জিতেছে। এ আসরে গৌতম ঘোষের ‘শঙ্খচিল’ চলচ্চিত্রও পেয়েছে তিনটি পুরস্কার।
একনজরে চলচ্চিত্র পুরস্কার
শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র : অজ্ঞাতনামা
শ্রেষ্ঠ স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র : ঘ্রাণ
শ্রেষ্ঠ প্রামাণ্য চলচ্চিত্র : জন্মসাথী
শ্রেষ্ঠ পরিচালক : অমিতাভ রেজা চৌধুরী (আয়নাবাজি)
শ্রেষ্ঠ অভিনেতা (প্রধান চরিত্র) : চঞ্চল চৌধুরী (আয়নাবাজি)
শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী (প্রধান চরিত্র) : যৌথভাবে আফরোজা ইমরোজ তিশা (অস্তিত্ব) ও কুসুম শিকদার (শঙ্খচিল)
শ্রেষ্ঠ অভিনেতা (পার্শ্ব চরিত্র) : যৌথভাবে আলীরাজ (পুড়ে যায় মন) ও ফজলুর রহমান বাবু (মেয়েটি এখন কোথায় যাবে)
শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী (পার্শ্ব চরিত্র) : তানিয়া আহমেদ (কৃষ্ণপক্ষ)
শ্রেষ্ঠ খল-অভিনেতা : শহীদুজ্জামান সেলিম (অজ্ঞাতনামা)
শ্রেষ্ঠ শিশুশিল্পী : আনুম রহমান খান সাঁঝবাতি (শঙ্খচিল)
শ্রেষ্ঠ সংগীত পরিচালক : ইমন সাহা (মেয়েটি এখন কোথায় যাবে)
শ্রেষ্ঠ গায়ক : ওয়াকিল আহমেদ (দর্পণ বিসর্জন, গান : অমৃত মেঘের বাড়ি)
শ্রেষ্ঠ গায়িকা : মেহের আফরোজ শাওন (কৃষ্ণপক্ষ, গান : যদি মন কাঁদে)
শ্রেষ্ঠ গীতিকার : গাজী মাজহারুল আনোয়ার (মেয়েটি এখন কোথায় যাবে, গান : বিধিরে ও বিধি বিধি...)
শ্রেষ্ঠ সুরকার : ইমন সাহা (মেয়েটি এখন কোথায় যাবে, গান- বিধিরে ও বিধি বিধি...)
শ্রেষ্ঠ কাহিনিকার : তৌকীর আহমেদ (অজ্ঞাতনামা)
শ্রেষ্ঠ চিত্রনাট্যকার : অনম বিশ্বাস ও গাউসুল আলম (আয়নাবাজি)
শ্রেষ্ঠ সংলাপ রচয়িতা : সৈয়দা রুবাইয়াত হোসেন (আন্ডার কনস্ট্রাকশন)
শ্রেষ্ঠ সম্পাদক : ইকবাল আহসানুল কবির (আয়নাবাজি)
শ্রেষ্ঠ শিল্পনির্দেশক : উত্তম গুহ (শঙ্খচিল)
শ্রেষ্ঠ চিত্রগ্রাহক : রাশেদ জামান (আয়নাবাজি)
শ্রেষ্ঠ শব্দগ্রাহক : রিপন নাথ (আয়নাবাজি)
শ্রেষ্ঠ পোশাক ও সাজসজ্জা : যৌথভাবে সাত্তার (নিয়তি) ও ফারজানা সান (আয়নাবাজি)
শ্রেষ্ঠ মেকাপম্যান : মানিক (আন্ডার কনস্ট্রাকশন)
"