হীরেন পণ্ডিত

  ১৭ এপ্রিল, ২০২৪

মতামত

বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে অবিস্মরণীয় দিন

বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাসের অবিস্মরণীয় এক দিন ১৭ এপ্রিল ১৯৭১। এই দিনে কুষ্টিয়া জেলার তদানীন্তন মেহেরপুর মহকুমার বৈদ্যনাথতলার আম্রকাননে স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম সরকার আনুষ্ঠানিকভাবে শপথ গ্রহণ করে। এ অনুষ্ঠানে ঘোষিত হয় গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র। এই দিন থেকে ওই স্থানটি মুজিবনগর নামে পরিচিতি লাভ করে। ১৯৭১-এর ২৫ মার্চ কালরাতে পাকিস্তানি সেনাবাহিনী নিরস্ত্র বাঙালির ওপর ন্যায়নীতিবহির্ভূত এবং বিশ্বাসঘাতকতামূলক যুদ্ধ শুরু করলে ২৬ মার্চ প্রথম প্রহরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ওয়্যারলেসের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেন। তারই ধারাবাহিকতায় ১০ এপ্রিল মেহেরপুরের সীমান্তবর্তী এলাকার মুক্তাঞ্চলে নির্বাচিত জাতীয় পরিষদে আওয়ামী লীগের নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠ নির্বাচিত প্রতিনিধিরা এক বিশেষ অধিবেশনে মিলিত হন এবং স্বাধীন-সার্বভৌম গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার গঠন করেন।

অস্থায়ী সরকারের সফল নেতৃত্বে ৯ মাসের সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর বিজয় অর্জনের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ স্বাধীনতা অর্জন করে। ঘোষণাপত্র রচিত হয় ১৯৭১-এর ২৫ মার্চ মধ্যরাতে পাকিস্তান হানাদার বাহিনী বাঙালির ওপর আক্রমণ শুরু করলে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বাধীনতা ঘোষণার ভিত্তিতে। বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণার পর বঙ্গবন্ধুকে পাকিস্তান বাহিনী গ্রেপ্তার করে। ওই রাতেই বাঙালির প্রাণের নেতা শেখ মুজিবকে বন্দি করে নিয়ে যাওয়া হয় পশ্চিম পাকিস্তানে। তারা ভেবেছিল হয়তো শেখ মুজিবকে বন্দি করলেই বাঙালিকে রুখে দেওয়া যাবে। কিন্তু একাত্তরে মুক্ত মুজিবের চেয়েও বন্দি মুজিব বাংলার মানুষের কাছে হয়ে ওঠেন পাহাড়সম প্রেরণার উৎস। তাই তো ধর্ম-বর্ণ, নির্বিশেষে ঐক্যবদ্ধ হয়ে এক দাবি- বাংলাদেশের স্বাধীনতার জন্য দৃপ্ত শপথ নেয় বাঙালি জাতি।

১০ এপ্রিল বঙ্গবন্ধুকে রাষ্ট্রপতি করে গঠন করা হয় গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার। নবজাত রাষ্ট্রের এই শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের জনগণকে তাদের বীরত্ব, সাহসিকতা ও বিপ্লবী কার্যক্রমের মাধ্যমে পাকিস্তান হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে স্বাধীনতা অর্জনের লক্ষ্যে অদম্য স্পৃহায় মরণপণ যুদ্ধে অবতীর্ণ হওয়ার জন্য আহ্বান জানানো হয়। সদ্য স্বাধীন বাংলাদেশের পক্ষে আন্তর্জাতিক জনমত সৃষ্টি ও মুক্তিযুদ্ধ পরিচালনায় নবগঠিত এই সরকার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে এবং এ সরকারের যোগ্য নেতৃত্ব ও দিকনির্দেশনায় মুক্তিযুদ্ধ দ্রুততম সময়ে সফল সমাপ্তির দিকে এগিয়ে যায়।

মুজিবনগর সরকার মুক্তিযুদ্ধের অবিচ্ছেদ্য অংশ। মূলত এ সরকারের নেতৃত্বেই একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ চলে। এক সাগর রক্তের বিনিময়ে স্বাধীন-সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশের অভ্যুদয় ঘটে। স্বাধীনতার ৫২ বছর পর নানা দিক থেকেই এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ। নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু হয়েছে। মেট্রোরেল চালু হয়েছে। সামাজিক, অর্থনৈতিক নানা সূচকেও পাশের দেশগুলো থেকে এগিয়ে। এই অগ্রযাত্রা ধরে রাখতে হলে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বজায় রাখতে হবে এবং নতুন প্রজন্মকে মুক্তযুদ্ধের চেতনায় শানিত হতে হবে। প্রতিরোধ করতে হবে যেকোনো ইতিহাস বিকৃতির।

ঘোষণাপত্রে সংবিধান প্রণীত না হওয়া পর্যন্ত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে প্রজাতন্ত্রের রাষ্ট্রপতি ও সৈয়দ নজরুল ইসলামকে প্রজাতন্ত্রের উপরাষ্ট্রপতি ঘোষণা করা হয়। এ ছাড়া তাজউদ্দীন আহমদ অস্থায়ী সরকারের প্রধানমন্ত্রী, খন্দকার মোশতাক আহমেদ পররাষ্ট্রমন্ত্রী, ক্যাপ্টেন মুহাম্মদ মনসুর আলী অর্থমন্ত্রী এবং এ এইচ এম কামারুজ্জামান স্বরাষ্ট্র, ত্রাণ ও পুনর্বাসনমন্ত্রী নিযুক্ত হন। অন্যদিকে জেনারেল আতাউল গনি ওসমানী অস্থায়ী সরকারের মুক্তিবাহিনীর প্রধান কমান্ডার এবং মেজর জেনারেল আবদুর রব চিফ অব স্টাফ নিযুক্ত হন। প্রথমে ৭টি মন্ত্রণালয় নিয়ে সরকার গঠিত হয় এবং ৪ জন মন্ত্রী এই ৭টি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পালন করেছিলেন।

১৭ এপ্রিল খুব ভোরে কলকাতা থেকে দেশি-বিদেশি সাংবাদিকদের নিয়ে আওয়ামী লীগ নেতারা মেহেরপুরের উদ্দেশে যাত্রা করেন। তাদের প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা দেয় বিএসএফ। মেহেরপুর সীমান্তবর্তী মহকুমা। বেলা ১১টা নাগাদ ছোট একটি গাড়িবহর সীমান্ত পাড়ি দিয়ে মেহেরপুরে প্রবেশ করে সীমান্তসংলগ্ন আম্রকুঞ্জ বৈদ্যনাথতলায় অবস্থান নেয়। স্থানীয় একটি গির্জা থেকে কিছু টুল-টেবিল এনে বানানো হয় একটি ছোট মঞ্চ। সামনে বিদেশি সাংবাদিকদের বসার ব্যবস্থা করা হয়। অনুষ্ঠানের পরিচালক সংসদ সদস্য এম এ মান্নান অনুষ্ঠান সম্পর্কে সবাইকে ব্রিফ করেন। খুবই সংক্ষিপ্ত অনুষ্ঠানে প্রথমে সংসদ সদস্য অধ্যাপক ইউসুফ আলী স্বাধীনতার ঘোষণাপত্রটি পাঠ করেন। তারপর বঙ্গবন্ধুকে রাষ্ট্রপতি ঘোষণা করে একটি চার সদস্যের মন্ত্রিসভা গঠন করা হয়। সেখানে স্বাধীনতার মূল ঘোষণা আদেশ পাঠ করেন গণপরিষদের স্পিকার ইউসুফ আলী।

অনুষ্ঠানে মন্ত্রিপরিষদের সদস্য ও উপ-রাষ্ট্রপতিকে শপথবাক্য পাঠ করান অধ্যাপক ইউসুফ আলী। কর্নেল এম এ জি ওসমানীকে প্রধান সেনাপতি নিয়োগ করে মুক্তিযুদ্ধ পরিচালনা করার দায়িত্ব দেওয়া হয়। অনুষ্ঠান শেষে অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম, প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদ উপস্থিত জনগণ ও সাংবাদিকদের উদ্দেশে সংক্ষিপ্ত ভাষণ দেন। তারা বিশ্বের অন্যান্য দেশের প্রতি বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে সহায়তা ও সমর্থন দেওয়ার আহ্বান জানান।

স্বাধীনতাযুদ্ধ চলাকালীন প্রধানত নিরাপত্তা এবং মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্বদানের সুবিধার্থে মুজিবনগর সরকারের প্রধান কার্যালয় কলকাতার ঐতিহাসিক থিয়েটার রোডের ৮ নম্বর বাড়িতে স্থানান্তরিত হয়। সেখান থেকেই মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে রাজনৈতিক, সামরিক এবং কূটনীতিক বিষয়গুলো পরিচালনা করা হয়েছিল। ভারত সরকারের সঙ্গে সমন্বয়, নিজেদের মধ্যে বিভেদ সামাল দেওয়া এবং আন্তর্জাতিক জনমত গঠন- এসব কিছু একসঙ্গে করতে হয়েছে অস্থায়ী সরকারকে। বহির্বিশ্বে সরকারের বিশেষ দূত নিযুক্ত হয়েছিলেন বিচারপতি আবু সাঈদ চৌধুরী। বাংলাদেশ সরকারের প্রতিনিধিরা সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়েন।

১৭ এপ্রিল ইতিহাসের পাতায় ‘মুজিবনগর দিবস’ হিসেবে চিরস্মরণীয়। জাতির বীরত্বগাথা সৃষ্টির এক ঐতিহাসিক মুহূর্ত ছিল দিনটি। কতশত সংগ্রাম, আন্দোলন, ত্যাগ-তিতিক্ষা, বিদেশি ও ঔপনিবেশিক এবং দখলদার শাসকের জেল-জুলুম, অত্যাচার, নির্যাতন, নিপীড়ন, শোষণ, ত্রাসন সয়ে বাঙালি যে তার স্বাধীনতার দ্বারপ্রান্তে পৌঁছেছিল- এই দিনটি সেই আনুষ্ঠানিকতাকে ধারণ করে মুক্তির লড়াইকে ত্বরান্বিত করেছিল মুজিবনগর সরকারের নেতৃত্বে। যার ভিত্তিতে স্বাধীন বাংলাদেশ, পরবর্তীকালে যা সংবিধানে অন্তর্ভুক্ত হয়। রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড, কূটনৈতিক ও প্রচার ক্ষেত্রে বিশ্বজনমত গঠন করতে সক্ষম হয়েছিল অস্থায়ী সরকার। এ সরকারের দক্ষতার ফলেই মাত্র ৯ মাসে বাংলাদেশ হানাদার পাকিস্তানিদের দখলমুক্ত হতে পেরেছিল।

পঁচাত্তর-পরবর্তী সময় থেকে দেশে যে ইতিহাস বিকৃতির মহোৎসব শুরু হয়, মুক্তিযুদ্ধবিরোধী, মানবতাবিরোধী অপরাধীদের সরকারের অংশ বানিয়ে জাতীয় ইতিহাসের প্রকৃত নায়কদের কৃতিত্ব মুছে ফেলার অপপ্রয়াস অব্যাহত রাখে। বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রাম কোনো আকস্মিক ঘটনা নয়। এর রয়েছে দীর্ঘ আন্দোলন-সংগ্রামের ধারাবাহিকতা। এই দীর্ঘ প্রস্তুতির জন্য প্রয়োজন ছিল অবিচল রাজনৈতিক নেতৃত্ব। সেই সুদীর্ঘ আন্দোলন-সংগ্রামে নেতৃত্ব দিয়েছেন বঙ্গবন্ধু। যুদ্ধের ৯ মাস তিনি সশরীরে উপস্থিত না থাকলেও ছিলেন সাড়ে সাত কোটি মানুষের সত্তায়, ছিলেন মূল চালিকাশক্তিস্বরূপ। সেই সত্যই প্রতিষ্ঠিত হয় ১৭ এপ্রিল মেহেরপুরের আম্রকাননে। যেখানে তার অনুপস্থিতিতে তাকে নেতৃত্বে নিয়ে গঠিত হয় বিপ্লবী সরকার। শেখ মুজিবুর রহমানের নাম ধারণ করেই সেই সরকার হয় মুজিবনগর সরকার। মুজিবনগর সরকারের তাৎপর্য এখানেই।

বঙ্গবন্ধুর উদাত্ত আহ্বানে স্বাধীনতাকামী বাঙালি প্রথমে দেশের ভেতরেই প্রতিরোধ যুদ্ধ গড়ে তোলে। পাকিস্তানি সেনারা যখন প্রতিটি শহরে ও গ্রামে গণহত্যা ও ধ্বংসযজ্ঞ চালাতে থাকে, দেশের ভেতরে থেকে যুদ্ধ করা কঠিন হয়ে পড়ে, রাজনৈতিক নেতৃত্ব সীমান্ত পার হয়ে ভারতে আশ্রয় নিতে বাধ্য হয়। মার্চের শেষ দিকে ঝিনাইদহের সে সময়কার এসডিপিও মাহবুব উদ্দিন আহমেদ পিএসপি এবং মেহেরপুরের এসডিও তৌফিক এলাহী চৌধুরী সিএসপির সহযোগিতায় আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক তাজউদ্দীন আহমদ সহযোগী আমীর-উল ইসলামকে নিয়ে সীমান্ত পার হন এবং ৩ এপ্রিল দিল্লিতে ভারতের প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করে বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে ভারত সরকারের সহযোগিতা চান।

স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় অন্যতম ভূমিকা পালন করে মুজিবনগর সরকারের অভ্যন্তরীণ প্রশাসন। অভ্যন্তরীণ প্রশাসন ছিল সামরিক ও বেসামরিক এই দুই ভাগে বিভক্ত। সামরিক প্রশাসননিয়ন্ত্রিত হতো প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে। বাংলাদেশের সমগ্র যুদ্ধাঞ্চলকে ১১টি সেক্টরে ভাগ করে অধিনায়ক নিযুক্ত করা ও যুদ্ধ পরিচালনা তদারকি করা ছিল এ মন্ত্রণালয়ের প্রধান কাজ। বেসামরিক প্রশাসনের মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ছিল সাধারণ প্রশাসন এবং তথ্য ও বেতার বিভাগ। শরণার্থী সমস্যা, আঞ্চলিক সামরিক বেসামরিক বিষয়াবলির সুষ্ঠু সমন্বয় ইত্যাদি ছিল আঞ্চলিক প্রশাসনের প্রধান কাজ। এ ছাড়া অভ্যন্তরীণ প্রশাসনের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ ছিল স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র। মুজিবনগর সরকার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বিচারপতি আবু সাঈদ চৌধুরীকে বহির্বিশ্বে বিশেষ দূত নিয়োগ করে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে বহির্বিশ্বে সমর্থন ও জনমত আদায়ের চেষ্টা করেন। ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর পূর্ব পাকিস্তানে নিয়োজিত পাকিস্তান বাহিনীর অধিনায়ক লে. জেনারেল নিয়াজী পূর্বাঞ্চলে নিয়োজিত ভারতীয় ও বাংলাদেশ বাহিনীর যৌথ কমান্ডার লে. জেনারেল জগজিৎ সিং অরোরার কাছে বিকেল ৪টা ৩১ মিনিটে আনুষ্ঠানিকভাবে আত্মসমর্পণ করে। মুজিবনগর সরকার ছিল জনগণের নির্বাচিত প্রতিনিধিদের নিয়েই গঠিত সরকার। মুক্তিযুদ্ধের ওপর এর প্রভাব ছিল সুদূরপ্রসারী। ১৭৫৭ সালের ২৩ জুন পলাশীর আম্রকাননে বাংলার যে স্বাধীনতার সূর্য অস্তমিত হয়েছিল তার ঠিক ২১৪ বছর পরে অর্থাৎ ১৯৭১ সালের ১৭ এপ্রিল বৈদ্যনাথতলা গ্রামের আরেক আম্রকাননে বাংলার সেই অস্তমিত সূর্য আবারো উদিত হয়।

লেখক : প্রাবন্ধিক, গবেষক ও কলাম লেখক

[email protected]

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close