আন্তর্জাতিক ডেস্ক

  ২৯ সেপ্টেম্বর, ২০২০

ট্রাম্প দুই বছরে আয়কর দিয়েছেন ৭৫০ ডলার

যে বছর যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নেমেছিলেন সেই ২০১৬ সালে এবং প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পর হোয়াইট হাউসের প্রথম বছর ২০১৭ সালে ডোনাল্ড ট্রাম্প মাত্র ৭৫০ ডলার করে আয়কর দিয়েছিলেন বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে নিউইয়র্ক টাইমস। সংবাদপত্রটি জানিয়েছে, ট্রাম্প ও তার কোম্পানিগুলোর দুই দশকেরও বেশি সময়ের আয়করের রেকর্ড তাদের হাতে এসেছে। ট্রাম্প গত ১৫ বছরের মধ্যে ১০ বছর একেবারেই কোনো আয়কর দেননি। নিজের কোম্পানিগুলোর ক্রমাগত লোকসান দেখিয়ে বছরের পর বছর আয়কর এড়িয়েছেন তিনি। ট্রাম্প যথারীতি নিউইয়র্ক টাইমসের এ প্রতিবেদনকেও ‘ভুয়া খবর’ আখ্যায়িত করে প্রত্যাখ্যান করেছেন।

গত রোববার নিউইয়র্ক টাইমসের ওই প্রতিবেদন প্রকাশিত হওয়ার পর সাংবাদিকদের ট্রাম্প বলেন, আসলে আমি আয়কর দিই আর আমার আয়কর রিটার্ন- এখন তা অডিট করা হচ্ছে, সেগুলো দীর্ঘদিন ধরেই অডিটের আওতায় রয়েছে- আসলেই আপনারা তা দেখতে পাবেন। অর্থবিত্ত ও ব্যবসা সংক্রান্ত নথি দেখাতে অস্বীকার করায় ট্রাম্প আগেও আইনি চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়েছেন। ১৯৭০ এর দশকের পর থেকে তিনি যুক্তরাষ্ট্রের প্রথম প্রেসিডেন্ট যিনি আয়কর রিটার্ন জনসম্মুখে প্রকাশ করেননি, তবে এক্ষেত্রে আইনি কোনো বাধ্যবাধকতাও নেই। প্রতিবেদনে যেসব তথ্য এসেছে তা ‘ওইসব তথ্য দেখার বৈধ অনুমোদন আছে এমন সূত্রগুলো দিয়েছে’ বলে জানিয়েছে নিউইয়র্ক টাইমস। ডেমোক্র্যাট প্রতিদ্বন্দ্বী জো বাইডেন সঙ্গে ট্রাম্পের প্রথম প্রেসিডেন্সিয়াল বিতর্ক শুরু হওয়ার মাত্র কয়েকদিন আগে এবং যুক্তরাষ্ট্রের ৩ নভেম্বরের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের কয়েক সপ্তাহ আগে এ প্রতিবেদনটি প্রকাশ পেল। টাইমস জানিয়েছে, তারা ১৯৯০ দশকে ফিরে গিয়ে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ও ট্রাম্প অর্গানাইজেশনের মালিকানাধীন তার কোম্পানিগুলোর আয়কর রিটার্নের পাশাপাশি ২০১৬ ও ২০১৭ সালে তার ব্যক্তিগত আয়কর রিটর্নগুলো পর্যালোচনা করেছে।

ট্রাম্প ২০১৬ ও ২০১৭ সালে মাত্র ৭৫০ ডলার করে আয়কর দিয়েছেনে আর গত ১৫ বছরের মধ্যে ১০ বছর কোনো আয়কর দেননি বলে জানিয়েছে তারা। এই সময়ে তিনি যা ‘আয় করেছেন তারচেয়ে অনেক বেশি অর্থ হারিয়েছেন’ বলে তার দেওয়া প্রতিবেদনের কারণে মূলত এমনটি করা গেছে বলে নিউইয়র্ক টাইমস জানিয়েছে। প্রেসিডেন্ট হওয়ার আগে থেকেই ট্রাম্প খ্যাতিমান ব্যবসায়ী ও আবাসন খাতের ‘মোগল’ হিসেবে পরিচিত ছিলেন। কিন্তু সংবাদপত্রের প্রতিবেদন বলছে, তিনি আইআরএসের কাছে যে প্রতিবেদনগুলো জমা দিয়েছেন সেখানে তাকে এমন একজন ব্যবসায়ী হিসেবে তুলে ধরা হয়েছে যিনি বছরে শত শত কোটি ডলার আয় করেন তারপরও আয়কর এড়ানোর জন্য দীর্ঘমেয়াদে ক্ষতি দেখান। প্রকাশিত বিভিন্ন নথিতে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ইঙ্গিত করেছেন তিনি ২০১৮ সালে অন্তত ৪৩ কোটি ৪৯ লাখ ডলার আয় করেছেন। কিন্তু এর সঙ্গে দ্বিমত পোষণ করে নিউইয়র্ক টাইমস বলছে, প্রেসিডেন্টের আয়কর রিটার্ন অনুযায়ী ওই বছর তার ৪ কোটি ৭৪ লাখ ডলার ক্ষতি হয়েছে। প্রকাশিত প্রতিবেদনে যেসব অভিযোগ আনা হয়েছে মার্কিন প্রেসিডেন্টের পাশাপাশি ট্রাম্প অর্গানাইজেশনও সেগুলো অস্বীকার করেছে। কোম্পানির প্রধান আইন কর্মকর্তা অ্যালান গার্টেন টাইমসকে বলেছেন, তথ্যগুলোর অধিকাংশই, সব নাও হতে পারে, ভ্রান্ত বলে মনে হচ্ছে।

গত এক দশকে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ব্যক্তিগত আয়কর হিসেবে ফেডারেল সরকারকে কোটি কোটি ডলার দিয়েছেন, এর মধ্যে ২০১৫ সালে প্রার্থিতা ঘোষণার পর থেকে দেওয়া কয়েক কোটি ডলারের ব্যক্তিগত আয়করও আছে।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close