আন্তর্জাতিক ডেস্ক

  ২৪ সেপ্টেম্বর, ২০২০

করোনাভাইরাস নিয়ে জাতিসংঘে যুক্তরাষ্ট্র-চীন উত্তেজনা

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার জন্য চীনকে দায়ী করে বক্তব্য দেওয়ায় দেশ দুটির মধ্যকার চলমান উত্তেজনা জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনেও আলোচনার কেন্দ্রে এসেছে। এই বৈশ্বিক মহামারির জন্য চীনের ‘জবাবদিহি’ চেয়েছেন ট্রাম্প। পক্ষান্তরে চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং তার ভাষণে বলেছেন, অন্য কোনো দেশের সঙ্গে স্নায়ুযুদ্ধে যাওয়ার কোনো ইচ্ছা তার দেশের নেই। করোনাভাইরাসসহ বেশ কয়েকটি বিষয় নিয়ে এই দুই বিশ্বশক্তির মধ্যে বিরোধ চলছে।

মহামারির মধ্যে এ বছর নিউইয়র্কে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশন মূলত ভার্চুয়ালি অনুষ্ঠিত হচ্ছে। বিশ্বনেতারা আগে রেকর্ড করা বক্তব্য সরবরাহ করছেন। প্রতিটি সদস্য দেশের মাত্র একজন করে প্রতিনিধি অধিবেশনে তার দেশের প্রতিনিধিত্ব করায় কোনো একটি দেশের সঙ্গে অন্য একটি দেশের বাকযুদ্ধের সীমিত সুযোগ রয়েছে।

তবে বরাবরের মতো অধিবেশনে ভাষণে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প নিজের অর্জনগুলো জোরের সঙ্গে তুলে ধরার পাশাপাশি তার প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে বিষোদগার করেছেন। আমাদের অবশ্যই সেই জাতিকে জবাবদিহি করতে হবে, যারা বিশ্বে এই মহামারি ছড়িয়ে দিয়েছে চীন, বলেন তিনি। চীনের বিরুদ্ধে এই অবস্থানের পক্ষে যুক্তি দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বলেন, ভাইরাসের শুরুর দিকের দিনগুলোতে চীন দেশের মধ্যে ভ্রমণ বন্ধ করে দিয়েছে, অপরদিকে চীন ত্যাগ এবং বিশ্বকে সংক্রমিত করতে ফ্লাইট চালু রেখেছে। এমনকি চীন যখন অভ্যন্তরীণ ফ্লাইট বাতিল এবং নাগরিকদের ঘরে আটকে দিয়েছে, তখনো তারা তাদের দেশে আমার ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞার সমালোচনা করেছে। যুক্তরাষ্ট্রে নির্বাচন সামনে রেখে করোনাভাইরাস মোকাবিলা নিয়ে ট্রাম্প নিজেও পরীক্ষার মধ্য দিয়ে যাচ্ছেন। এরমধ্যে আগেও বেশ কয়েকবার তিনি বেইজিংয়ের বিরুদ্ধে ভাইরাস সম্পর্কিত তথ্য গোপনের অভিযোগ তুলেছেন। চীন চাইলে এই রোগ ছড়িয়ে পড়া ঠেকাতে পারত বলে অভিযোগ করছেন তিনি। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের পর বক্তব্য দিতে যাওয়া চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং ‘সভ্যতার সংঘাতের’ ঝুঁকির বিষয়ে সতর্ক করেছেন। আলোচনা ও সমঝোতার ভিত্তিতে অন্যদের সঙ্গে মতভিন্নতা ও বিতর্কের অবসানের চেষ্টা চালিয়ে যাওয়ার কথা বলেছেন তিনি। চীনের প্রেসিডেন্টের ভাষণের কিছু অংশ এরই মধ্যে বাইরে এসেছে, যাতে তাকে যুক্তরাষ্ট্রকে এক চোট নিতে দেখা গেছে। কোনো দেশের অধিকার নেই বৈশ্বিক বিষয়াবলিকে প্রভাবিত করা, অন্যদের ভাগ্য নিয়ন্ত্রণ বা শুধু নিজের উন্নয়নের জন্য সুবিধা নেওয়ার।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close