আন্তর্জাতিক ডেস্ক

  ২৮ অক্টোবর, ২০১৮

বাঙালি হওয়ার পরামর্শ বিজেপি নেতাদের

বাঙালির মন পেতে হলে ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) নেতাদের বাঙালি পোশাক পরা উচিত বলেই মনে করেন পশ্চিমবঙ্গের বিজেপিঘেঁষা কয়েকজন।

সোমবার পশ্চিমবঙ্গের কলকাতায় বিজেপির রাজ্য কার্যালয়ে দলের বিজ্ঞজনদের নিয়ে বৈঠকে বসেন কেন্দ্রীয় যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক (সংগঠন) শিবপ্রকাশ, রাজ্যে দলের কেন্দ্রীয় সহ পর্যবেক্ষক অরবিন্দ মেনন, শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় রিসার্চ ফাউন্ডেশনের পরিচালক অনির্বাণ গঙ্গোপাধ্যায় প্রমুখ। সেখানেই ওই পরামর্শ দেওয়া হয় বলে আনন্দবাজার পত্রিকার প্রতিদেনে বলা হয়েছে।

তারা বলেছেন, বাঙালি হয়ে উঠতে না পারলে এ রাজ্যে বিজেপির ভবিষ্যৎ নেই। বাঙালি অস্মিতাকে গুরুত্ব না দেওয়ার ফলেই এ রাজ্যে শাসক হওয়ার মতো জনপ্রিয়তা অর্জন করতে পারছে না বিজেপি। ঠিক সেটা করেন বলেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এত জনপ্রিয়!

দলীয় সূত্রের খবর, সেখানেই এক বিজ্ঞজন বলেন, বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতারা যে পোশাক পরে এ রাজ্যে প্রচারে বেরোন, সেগুলি উত্তর ভারতের পক্ষে উপযুক্ত। কিন্তু বাঙালির মন পেতে হলে বাঙালির পোশাক পরা উচিত। প্রয়োজনে ধুতি পরার কথাও বলেন তিনি।

তার আরও বক্তব্য ছিল, নিরামিষ খাওয়ার পক্ষে গেরুয়া শিবিরের যে প্রচার, তা-ও বাঙালির খাদ্যাভ্যাসের বিরোধী। মাছ-ভাত খাওয়া ছাড়ার কথা বাঙালি ভাবতেই পারে না।

সম্প্রতি সঙ্ঘ পরিবারের একাংশ ভোজ্য তেলের বিজ্ঞাপনে মাছ ভাজার দৃশ্য নিয়ে আপত্তি করেছিল। তাদের বক্তব্য ছিল, নবরাত্রির সময়ে ওই বিজ্ঞাপন নিরামিষাশী মানুষের ভাবাবেগে আঘাত করতে পারে। ওই প্রসঙ্গ তুলেও তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেন ওই বিজ্ঞজন নেতা। তিনি বলেন, এই সব আচরণ বাঙালিকে বিজেপির থেকে আরও দূরে ঠেলে দেবে।

এত দিন পশ্চিমবঙ্গে বিরোধীরা বিজেপিকে কটাক্ষ করত ‘হিন্দি বলয়ের দল’ বলে বা ‘হিন্দিভাষীদের দল’। এবার বিজেপির অন্দরেই জোরালো ভাবে উঠে এসেছে সেই অভিযোগ। দলীয় সূত্রের খবর, ওই বৈঠকেই এক প্রাক্তন আইএএস ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, বাঙালির মধ্যে যোগ্য ব্যক্তির অভাব নেই। কিন্তু কেন্দ্রীয় সরকারের বিভিন্ন

সংস্থা, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের উঁচু পদগুলিতে কখনও এ রাজ্যের কোনও বাঙালিকে বসানো হয় না। ওই দিন ওই বৈঠকের পরেই তথ্যপ্রযুক্তিতে দক্ষ কর্মীদের নিয়ে একটি বৈঠক হয়। সেখানে কোনও কোনও কর্মী কেন্দ্রীয় নেতাদের সামনেই ক্ষোভ প্রকাশ করেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের ‘উগ্র’ ভাষা ব্যবহার নিয়ে।

দুটি বৈঠকেই উপস্থিত ছিলেন শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় রিসার্চ ফাউন্ডেশনের পরিচালক অনির্বাণ গঙ্গোপাধ্যায়। এ নিয়ে প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ওই বৈঠক দুটিতে আমাদের দলের কিছু কিছু রণকৌশল ঠিক করা হয়েছে। তা সংবাদমাধ্যমে বলার বিষয় নয়। তবে আগামী দিনে আমরা দ্বিগুণ গতিতে এগিয়ে যাব, এটা নিশ্চিত।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close