মানিকগঞ্জ ও শিবালয় প্রতিনিধি

  ২৩ জানুয়ারি, ২০২৪

পাটুরিয়ায় ফেরিডুবি

সহকারী মাস্টারের মরদেহ ছয় দিন পর উদ্ধার

পাটুরিয়ায় ডুবে যাওয়া ফেরি রজনীগন্ধার সহকারী মাস্টার হুমায়ুন কবীরের (৩৯) মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল সোমবার দুপুরে ফেরিডুবির স্থান থেকে ১২ কিলোমিটার ভাটিতে পদ্মা নদীতে ভাসমান অবস্থায় তার মরদেহ পাওয়া যায়। মানিকগঞ্জ ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের উপসহকারী পরিচালক মো. হামিদ মিয়া জানান, বিকেল সাড়ে ৪টায় মানিকগঞ্জের হরিরামপুর উপজেলার বাহাদুরপুর এলাকার নদী থেকে মরদেহটি উদ্ধার করেন ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা।

বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন করপোরেশন (বিআইডব্লিউটিসি) আরিচা আঞ্চলিক কার্যালয়ের উপমহাব্যবস্থাপক (বাণিজ্য) শাহ মো. খালেদ নেওয়াজ জানান, ‘মৃতের পরিবারের সদস্যরা মরদেহ শনাক্ত করেছেন।’ গত ১৭ জানুয়ারি সকাল সোয়া ৮টায় কাভার্ডভ্যান, ট্রাকসহ ৯টি গাড়ি নিয়ে মানিকগঞ্জের পাটুরিয়া ঘাটের কাছে পদ্মা নদীতে ডুবে যায় ফেরি রজনীগন্ধা।

গাড়ির চালক, সহযোগী ও ফেরির কর্মচারীসহ ২১ জনের মধ্যে ২০ জন নিরাপদে ফিরে আসতে পারলেও নিখোঁজ ছিলেন ফেরিটির সেকেন্ড মাস্টার হুমায়ুন কবীর। রজনীগন্ধা ফেরি ডুবে যাওয়ার ঘটনায় ট্রাক ও নিখোঁজ সেকেন্ড মাস্টার হুমায়ুন কবীরকে খুঁজে বের করতে সোমবার পাটুরিয়া ঘাটে পৌঁছায় বিশেষ উদ্ধারকারী নৌযান ঝিনাই-১।

হুমায়ুন কবীর ২০১১ সালে চাকরিতে যোগ দেন এবং বিআইডব্লিউটিসি ওয়ার্কার্স ইউনিয়ন পাটুরিয়া আঞ্চলিক শাখা কমিটির সভাপতি ছিলেন। তার গ্রামের বাড়ি পিরোজপুর জেলার ভাণ্ডারিয়া উপজেলার গৌরীপুর ইউনিয়নের মাটিভাঙ্গা গ্রামে। তার স্ত্রী রোজিনা বেগম গৃহিণী এবং তার তিন সন্তান। সর্বশেষ দুই মাস আগে তিনি পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে পিরোজপুর গিয়েছিলেন বলে জানান পরিবারের সদস্যরা।

এদিকে বিআইডব্লিউটিসির আরিচা কার্যালয়ের ডিজিএম শাহ খালেদ নেওয়াজ আরো জানান, উদ্ধারকারী জাহাজ হামজা, রুস্তম ও প্রত্যয় মিলে ডুবে যাওয়া ফেরির ৯টি যানবাহনের মধ্যে ৫টি ট্রাক ও কাভার্ডভ্যান উদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছে। এছাড়া ফেরি রজনীগন্ধা ও ডুবে যাওয়া আরো ৪টি যানবাহন উদ্ধারে কাজ চলছে। তীব্র শীত ও কুয়াশার কারণে উদ্ধার অভিযান ব্যাহত হচ্ছে।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close