খুলনা ব্যুরো

  ১৪ জানুয়ারি, ২০২২

খুলনায় প্রস্তাবিত দুই অর্থনৈতিক জোনের পরিকল্পনা ভেস্তে গেছে

বটিয়াঘাটায় বিকল্প ভাবা হচ্ছে

শিল্পাঞ্চল গড়ে তোলা ও কর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্যে খুলনায় দুটি অর্থনৈতিক জোন স্থাপনের পরিকল্পনা গ্রহণ করা হলেও অবশেষে তা ভেস্তে গেছে। রূপসার জাবুসা ও বটিয়াঘাটার তেঁতুলতলায় এ দুটি অর্থনৈতিক জোন স্থাপনের প্রস্তাব ছিল। কিন্তু পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর এ দুটি স্থানে আপাতত অর্থনৈতিক জোন করা সম্ভব হচ্ছে না।

এর কারণ হিসেবে জাবুসায় খাস জমির সংকট ও জমি অধিগ্রহণে ব্যয় বেশি এবং তেঁতুলতলায় খাস জমি থাকলেও তা অবৈধ দখলে থাকা, দখলমুক্ত করা ও পুনর্বাসন ব্যয়বহুল হওয়া। এ অবস্থায় বটিয়াঘাটায় বিকল্প অর্থনৈতিক জোন স্থাপনের বিষয়ে চিন্তাভাবনা করছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।

বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষের নির্বাহী চেয়ারম্যান ও সিনিয়র সচিব শেখ ইউসুফ হারুন বলেন, রূপসার জাবুসায় জমি কিনতেই ব্যয় হবে ১৭০০ কোটি টাকা। আর বটিয়াঘাটায় দখলদার উচ্ছেদ করতে গেলে পুনর্বাসন জরুরি হবে। তাও ব্যয়বহুল। এ সব জটিলতার কারণে আপাতত এ দুটি স্থান থেকে সরে এসে বিকল্প ভাবা হচ্ছে। সেক্ষেত্রে বটিয়াঘাটায় থাকা বঙ্গবন্ধু পার্কের স্থানটি হতে পারে। সেখানে বঙ্গবন্ধু শিল্পপার্ক হতে পারে। এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর অনুমোদন প্রয়োজন হবে। মূলত খরচের কারণে এ ভাবনা করতে হচ্ছে।

বাংলাদেশ অর্থনৈতিক উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বেজা) সূত্রে জানা গেছে, ২০১৫ সালে খুলনার বটিয়াঘাটা ও তেরখাদায় দুটি অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠার সিদ্ধান্ত নেয়। ২০১৫ সালের ১৯ নভেম্বর প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় এতে সম্মতি দেয়। এরপর ২০১৭ সালে খুলনা জেলা প্রশাসন বটিয়াঘাটার তেঁতুলতলা মৌজায় ৫৯৪ একর জমি অধিগ্রহণের অনুমতি চেয়ে মন্ত্রণালয়ে চিঠি দেয়। কিন্তু দীর্ঘদিনেও জমি অধিগ্রহণের সিদ্ধান্ত দেয়নি মন্ত্রণালয়। এদিকে সম্প্রতি যোগাযোগ ব্যবস্থার সুবিধার কথা উল্লেখ করে রূপসার জাবুসা মৌজায় ৬৩৯ একরের আরেকটি জমিকে অর্থনৈতিক অঞ্চলের জন্য বিবেচনায় নেওয়া হয়। কিন্তু সেখানেও জমি অধিগ্রহণে প্রয়োজনীয় বিশাল অর্থ ব্যয় প্রতিবন্ধকতা তৈরি করে। গত ১৪ আগস্ট বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষের নির্বাহী চেয়ারম্যান ও সিনিয়র সচিব শেখ ইউসুফ হারুন সরেজমিনে গিয়ে বটিয়াঘাটা ও রূপসার ওই এলাকা পরিদর্শন করেন।

জেলা প্রশাসনের এলএ শাখার তথ্য অনুযায়ী, বটিয়াঘাটার ৫৯৪ একর জমির মধ্যে প্রায় ২১২ একর খাস জমি। বাকি ৩৮২ একর জমির মধ্যে কিছু অংশ বন্দোবস্ত ও কিছু জমিতে মালিকানা নিয়ে দ্বন্দ্ব রয়েছে।

খুলনা জেলা প্রশাসক মো. মনিরুজ্জামান তালুকদার জানান, অর্থনৈতিক অঞ্চলের জন্য বটিয়াঘাটা ও রূপসার দুটি প্রস্তাবনা রয়েছে। তবে এ বিষয়ে এখনো কিছু চূড়ান্ত হয়নি।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close