প্রতিদিনের সংবাদ ডেস্ক
হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনা
গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬ থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে জানানো হয়েছে, রাজশাহী, ঢাকা ও খুলনা বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং ময়মনসিংহ, বরিশাল, চট্টগ্রাম এবং সিলেট বিভাগের দু-এক জায়গায় হালকা/গুঁড়িগুঁড়ি বৃষ্টি হতে পারে। মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত সারা দেশের কোথাও কোথাও হালকা থেকে মাঝারি ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে। রাতের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে এবং দিনের তাপমাত্রা ১ থেকে ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস হ্রাস পেতে পারে।
আবহাওয়া অফিস জানায়, তেঁতুলিয়ায় গতকাল সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১১ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। গতকাল ঢাকায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৭ দশমিক ৩, ময়মনসিংহে ১৬ দশমিক ২, চট্টগ্রামে ১৭ দশমিক ২, সিলেটে ১৫ দশমিক ৮, রাজশাহী ১৬ দশমিক ৩, রংপুরে ১৩ দশমিক শূন্য, খুলনায় ১৬ দশমিক ৫ এবং বরিশালে ১৩ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। পরবর্তী তিন দিনে আবহাওয়ার অবস্থায় বলা হয়েছে, এই সময়ের শেষের দিকে রাতের তাপমাত্রা কমতে পারে ।
পূর্বাভাসে আরো বলা হয়, পশ্চিমা লঘুচাপের বাড়তি অংশ হিমালয়ের পাদদেশীয় পশ্চিমবঙ্গ ও এর কাছাকাছি এলাকায় অবস্থান করছে। মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে।
গতকাল সকাল থেকে ঢাকায় উত্তর অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৫ থেকে ১০ কিলোমিটার বেগে বাতাস প্রবাহিত হচ্ছে।
ভূরুঙ্গামারী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি জানিয়েছে, ভূরুঙ্গামারীতে আবারও শীতের তীব্রতা বেড়েছে। ঘন কুয়াশায় ঢাকা থাকছে গোটা উপজেলা। বৃষ্টির মতো পড়ছে কুয়াশা। খেটে খাওয়া মানুষ খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছেন। গতকাল বেলা ১১টা পর্যন্ত সূর্যের দেখা মেলেনি। হেডলাইট জ্বালিয়ে সড়ক ও মহাসড়কে যান চলাচল করছে। জীবিকার তাগিদে হাড়কাঁপানো শীতকে উপেক্ষা করে খুব সকালে কাজের সন্ধানে রাস্তায় বের হয়েছেন খেটে খাওয়া মানুষ।
এদিকে আনন্দবাজার জানিয়েছে, পশ্চিমবঙ্গের পুরুলিয়া, বাঁকুড়া এবং পশ্চিম বর্ধমানে শুরু হয়ে যাবে বজ্রবিদ্যুৎসহ হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি। বীরভূম, পূর্ব বর্ধমান, ঝাড়গ্রাম ও পশ্চিম মেদিনীপুরেও বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। মঙ্গলবার বিকালের পূর্বাভাসে এমনটাই জানিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর।
হাওয়া অফিসের পূর্বাভাস মতো কলকাতা ও আশপাশের এলাকায় আকাশ মেঘাচ্ছন্ন রয়েছে। তাপমাত্রার পারদও বেড়েছে অনেকটাই। শহরে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে বলে পূর্বাভাসে জানিয়েছে হাওয়া অফিস। এই অকাল বৃষ্টি নিয়ে কৃষকদের এরই মধ্যে সতর্ক করা হয়েছে। জোরালো বৃষ্টি নামার আগে তারা যাতে খেতের পাকা ফসল তুলে ফেলেন তার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। জমিতে যাতে পানি না জমে সে ব্যাপারেও সতর্ক করা হয়েছে।
"