ধামরাই (ঢাকা) প্রতিনিধি

  ১৯ জানুয়ারি, ২০২১

ধামরাইয়ে গ্যাস সংকট অতিষ্ঠ এলাকাবাসী

ধামরাইয়ে গ্যাস সংকট চরম আকার ধারণ করেছে। এতে দুর্ভোগ আর দুর্গতি পোহাতে হচ্ছে বলে অভিযোগ এলাকাবাসীর। শিল্প মালিক ও বসতবাড়ির গৃহবধূসহ দৈনন্দিন কাজে গ্যাস ব্যবহারকারীরা পড়েছে চরম বিপাকে। শিল্পপ্রতিষ্ঠান বাসা-বাড়ি, বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান ও সিএনজি ফিলিং স্টেশনে মিলছে না গ্যাস।

গ্যাসের অভাবে অনেক শিল্পপ্রতিষ্ঠান লোকশান গুনতে হচ্ছে। এদিকে উৎপাদন কমে যাওযায় শ্রমিদের বেতন-ভাতা নিয়ে বিপাকে পড়েছেন শিল্পপ্রতিষ্ঠানের মালিকরা। অন্যদিকে উৎপাদনের ভিত্তিতে বেতন হওয়ায় বেকার বসে থেকে আর্থিক অনটনের মুখে পড়েছেন শ্রমিকরা। বাসা-বাড়িতে গ্যাস সংকটের কারণে রান্না করতে গিয়ে চরম বিপাকে পড়েছেন নারীরা।

তীব্র গ্যাস সংকটের কারণে বাসা-বাড়িতে ও খাবার হোটেলগুলোতে রান্নার জন্য ব্যবহার হচ্ছে কাঠের লাকড়ি, কেরোসিন অথবা বোতল জাত এলপি গ্যাস। সংকটের কারণ হিসেবে তিতাস গ্যাসের কর্মকর্তাদের অব্যবস্থাপনা দায়ী বলে অভিযোগ শিল্প মালিকদের। উপজেলায় কয়েক সপ্তাহ ধরে গ্যাস সংকট প্রকট আকার ধারণ করেছে। দিনে ও রাতে গ্যাস থাকে না। কোনো সময় গ্যাস পাওয়া যাচ্ছে না। এতে ধামরাই পৌর-শহরের লোকজন গত কয়েকদিন ধরে হোটেলে ও লাকড়ি দিয়ে রান্নার কাজ চালিয়ে হতাশ হয়ে পড়েছে।

সাভার ও মানিকগঞ্জ তিতাস গ্যাস অফিস সূত্রে জানা যায়, গ্যাস ক্ষেত্রে উৎপাদন কম হওয়ায় সাময়িক সময়ের জন্য এ সমস্যা দেখা দিয়েছে। কিন্তু কিছুদিনের মধ্যেই সরবরাহ পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে আসবে বলে আশা করছে গ্যাস কর্তৃপক্ষ।

ধামরাই এলাকায় দেড় শতাধিক শিল্প-কারখানা ছাড়া ও ১০ থেকে ১২টি সিএনজি স্টেশন এবং অর্ধ শতাধকি বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এ ছাড়া আবাসিক গ্রাহক রয়েছে প্রায় ছয় হাজার। এ ব্যাপারে একাদিক শিল্পপ্রতিষ্ঠানের মালিক ক্ষোভ প্রকাশ করে প্রতিদিনের সংবাদকে বলেন, গ্যাস সংকটের কারণে কারখার উৎপাদন ব্যাহত হলেও ব্যাংকের ঋণের কিস্তি ঠিকই দিতে হচ্ছে।

গ্যাস সংকটের বিষয়টি জানতে চাইলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক তিতাসের এক কর্মকর্তা জানায় গ্যাস ফিল্ড এবং সঞ্চালন লাইনে সমস্যার কারণে গ্যাসের চাপ থাকে না। যার কারণে গ্রাহকের চাহিদা মতো গ্যাস সরবরাহ করা যাচ্ছে না।

তিতাস গ্যাস মানিকগঞ্চের আঞ্চলিক শাখার ধামরাইয়ের গ্যাস অফিসের অপারেশন শাখার কর্মকর্তা মো. রহুল বলেন, আমাদের এলএমজিতে থেকে গ্যাস সাপ্লাই নেই। যেখানে থাকার কথা ১৫০ পিএসআইজি, সেখানে আছে মাত্র ১০ পিএসআইজি। যার কারণে গ্যাস সংকট দেখা দিয়েছে। তবে এই সংকট আগামী রবিবারের মধ্যে শেষ হবে বলে আশা করা হচ্ছে। কিন্তু উৎপাদন বৃদ্ধি না থাকায় এ অঞ্চলে গ্যাস সংকট দেখা দিয়েছে তবে গ্যাসের উৎপাদন বাড়লে এ সংকট নিরসন হবে।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close