বরিশাল প্রতিনিধি

  ১৯ জানুয়ারি, ২০২১

বরিশাল ইনফ্রা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট

সেমিস্টার ফি না কমানোয় শিক্ষার্থীরা ক্ষুব্ধ

নভেল করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) সংক্রমণের কারণে বন্ধ থাকায় সেমিস্টার ফিসহ সব প্রকার চাঁদা কমানোর দাবিতে বিক্ষোভ করেছেন বরিশাল ইনফ্রা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীরা। দীর্ঘদিনের মৌখিক দাবি না মানায় গত রবিবার থেকে লিখিত আবেদন নিয়ে আলাদাভাবে প্রতিষ্ঠানে উপস্থিত হতে থাকেন তারা। পরিস্থিতি বেসামাল হয়ে উঠায় শিক্ষার্থীদের শান্ত করতে সেশন ফি আগামী মাসে কমানো হবে বলে আশ্বস্ত করার চেষ্টা করেন ইনস্টিটিউটের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আমীর হোসেন। শিক্ষার্থীরা তার আশ্বাসের ওপর আস্থা না পাওয়ায় এ সপ্তাহের শেষ দিক থেকে সড়ক অবরোধসহ নানা কর্মসূচি হাতে নিতে পারে বলে জানা গেছে। প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যানড. ইমরান চৌধুরী ছাত্র-ছাত্রীদের সেমিস্টার ফিসহ সব প্রকার চাঁদা কমানোর পক্ষে থাকলেও ব্যবস্থাপনা পরিচালক আমীর হোসেনের কারণে ফি কমানো সম্ভব হচ্ছে না। এ কারণে আগামী ফেব্রুয়ারি মাসে সব ট্রেডের সেমিস্টার পরীক্ষায় প্রায় তিন হাজার শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারবে কি না তা নিয়ে সন্দেহ দেখা দিয়েছে। এতে করে টাকার অভাবে অনেক শিক্ষার্থীর পরীক্ষা দেওয়া নাও হতে পারে। অভিভাবকদের পক্ষ থেকে দাবি করা হচ্ছে সরকারের পক্ষ থেকে যেন এ বিষয়ে ভূমিকা রাখা হয়। ইনফ্রা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে আগামী ২২ ফেব্রুয়ারি সেমিস্টার পরীক্ষার জন্য ফরম পূরণ চলছে।

করোনাকালীন শিক্ষার্থীরা সেমিস্টার ফির টাকা ৫০ শতাংশ কমানোর দাবি তুললেও কলেজ কর্তৃপক্ষ তাদের দাবির তোয়াক্কা না করে সেমিস্টার ফির টাকা এখন না দিলেও পরে সম্পূর্ণ টাকা পরিশোধ করার শর্তে ফরম পূরণ করার নির্দেশ দিয়েছে। তবে করোনাকালীন প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকলেও নামমাত্র অনলাইন ক্লাসের দোহাই দিয়ে এখন পরীক্ষার সময় ছাত্রদের টাকা দিতে বাধ্য করা হচ্ছে। বিভিন্ন সেমিস্টারের ছাত্রদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায় করোনাকালীন তাদের পারিবারিক আর্থিক অসচ্ছলতা রয়েছে তাই এখন পরীক্ষার সময় তারা সম্পূর্ণ সেমিস্টার ফি দিতে পারছেন না। তাই সবাই সেমিস্টার ফি কমানোর দাবি তোলে এবং পরিচালক বরাবর আবেদন করে। ছাত্রদের সেমিস্টার ফি মওকুফের দাবির বিষয়ে জানতে চাইলে প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আমির হোসেন বলেন, ছাত্রদের এই টাকায় আমাদের পুরো কলেজের ব্যয়ভার বহন করা হয়। এই টাকা দিয়ে শিক্ষকদের বেতন, কর্মচারীদের বেতন, প্রতিষ্ঠানের বিদ্যুৎ বিলসহ আরো অনেক কিছু, তাই ছাত্রদের সেমিস্টার ফি মওকুফের বিষয়টি আমি এই মুহূর্তে একা কোনো সিদ্ধান্ত দিতে পারব না। প্রতিষ্ঠান চেয়ারম্যানের সঙ্গে বসে বিষয়টির সমাধান করতে হবে।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close