আসন্ন পবিত্র রমজান উপলক্ষে বেশি পরিমাণে মানসম্পন্ন পণ্য উৎপাদন এবং বাজারজাত করতে ২০ প্রতিষ্ঠানকে তাগিদ দিয়েছে পণ্যের মান নিয়ন্ত্রণকারী প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশন (বিএসটিআই)। রমজান মাসে ইফতার ও সাহরিতে বহুল ব্যবহৃত হয় এ ধরনের পণ্য উৎপাদন ও বাজারজাতকারী বৃহৎ ২০টি প্রতিষ্ঠানকে তাগিদ দিয়ে গতকাল রোববার চিঠি পাঠানো হয়েছে বলে বিএসটিআই থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।

এতে আর জানানো হয়, পর্যায়ক্রমে অন্যান্য প্রতিষ্ঠানকেও মানসম্পন্ন পণ্য উৎপাদন ও বাজারজাত করার তাগিদ দিয়ে চিঠি পাঠানো হবে।

গতকাল রোববার প্রাথমিকভাবে যে ২০টি প্রতিষ্ঠানকে চিঠি পাঠানো হয়েছে, সেগুলো হলোÑ শবনম ভেজিটেবল অয়েল ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড (টিকে গ্রুপ), আকিজ ফুডস অ্যান্ড বেভারেজ লিমিটেড, ট্রান্সকম বেভারেজ লিমিটেড, সুপার অয়েল রিফাইনারি লিমিটেড (টিকে গ্রুপ), সিটি গ্রুপ, ব্র্যাক ডেইরি অ্যান্ড ফুড প্রজেক্ট, তানভীর ফুডস লিমিটেড (মেঘনা গ্রুপ), বাংলাদেশ দুগ্ধ উৎপাদন সমবায় সমিতি লিমিটেড, বাংলাদেশ এডিবল অয়েল লিমিটেড, নিউজিল্যান্ড ডেইরি লিমিটেড, এসিআই গ্রুপ, নেসলে বাংলাদেশ লিমিটেড, বসুন্ধরা মাল্টি ফুড অ্যান্ড বেভারেজ ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড, আবুল খায়ের গ্রুপ, স্কয়ার ফুডস লিমিটেড, বাংলাদেশ সুপার শপ ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন, বিডি ফুডস লিমিটেড, সুইস বেকারি, সজিব করপোরেশন ও প্রাণ ফুডস লিমিটেড।

বিএসটিআই জানায়, রমজান মাসে ইফতার ও সাহরিতে বহুল ব্যবহৃত পণ্য। যেমনÑ ড্রিংকিং ওয়াটার/মিনারেল ওয়াটার, সফট ড্রিংকস পাউডার, ফ্রুট সিরাপ, ফ্রুট জুস, কার্বোনেটেড বেভারেজ, ঘি, লাচ্ছা সেমাই, নুডলস, পাস্তুরিত তরল দুধ, আইসক্রিম, মুড়ি, ফর্টিফাইড সয়াবিন তেল, ফর্টিফাইড সানফ্লাওয়ার অয়েল, ফর্টিফাইড রাইস ব্রান অয়েলসহ ১৮১টি পণ্য উৎপাদন ও বাজারজাত করতে বলা হয়েছে।

বাংলাদেশ মান (বিডিএস) অনুযায়ী গুণগত মান পরীক্ষা করে বিএসটিআই থেকে এসব পণ্যের অনুকূলে মানসনদ (সিএম লাইসেন্স) গ্রহণ বাধ্যতামূলক। কিন্তু পবিত্র রমজান মাসে কতিপয় অসাধু ব্যবসায়ী বিএসটিআই থেকে এই খাদ্যপণ্যগুলোর অনুকূলে গুণগত মানসনদ (সিএম লাইসেন্স) না নিয়েই অস্বাস্থ্যকর ও নোংরা পরিবেশে খাদ্যপণ্য উৎপাদন করে অবৈধভাবে বিক্রি ও বিতরণ করে থাকে, যা বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশন আইন, ২০১৮ অনুযায়ী দ-নীয় অপরাধ।

উল্লেখ্য, পণ্যের মান নিয়ন্ত্রণে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটদের নেতৃত্বে এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সহায়তায় বিএসটিআইয়ের ভ্রাম্যমাণ আদালত/সার্ভিল্যান্স কার্যক্রম অব্যাহত আছে। পবিত্র রমজান মাস উপলক্ষে এ কার্যক্রম আরো জোরদার করা হবে।

"