reporterঅনলাইন ডেস্ক
  ২৯ জানুয়ারি, ২০২২

তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থার দাবি গণ অধিকার পরিষদের 

ছবি- সংগৃহীত

চলমান রাজনৈতিক এবং নির্বাচনী সংকট নিরসনে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থার দাবি জানিয়েছে গণ অধিকার পরিষদ।

সংগঠনটির দাবি, জাতীয় সংসদে নির্বাচন কমিশন (ইসি) গঠনে যে আইন পাস হয়েছে, তাতে জনমতের প্রতিফলন ঘটবে না।

শনিবার (২৯ জানুয়ারি) সকালে রাজধানীর বিজয়নগরে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে নির্বাচন কমিশন আইন ও চলমান পরিস্থিতি নিয়ে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে গণ অধিকার পরিষদ।

ওই অনুষ্ঠানে লিখিত বক্তব্যে দলের সদস্যসচিব নুরুল হক এই দাবি জানান। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন দলের আহ্বায়ক রেজা কিবরিয়া।

লিখিত বক্তব্যে সংগঠনটির পক্ষ থেকে বলা হয় দেশের চলমান রাজনৈতিক ও নির্বাচনী ব্যবস্থা নিয়ে সংকট নিরসনে সব রাজনৈতিক দল, সংগঠন ও নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিদের সঙ্গে আলোচনার উদ্যোগ গ্রহণ ও সংবিধানে তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা পুনরায় অন্তর্ভুক্তি করতে হবে।

সংগঠনের নেতারা বলেন, ভূরাজনৈতিক বাস্তবতায় দেশের উন্নয়ন ও অগ্রগতির জন্য বাংলাদেশে একটি শক্তিশালী গণতন্ত্র ও স্থিতিশীল রাজনৈতিক পরিবেশ অনস্বীকার্য। কিন্তু নতুন আইনটিতে সংসদ সদস্য ও রাজনৈতিক নেতাদের মতামতের সুযোগ রাখা হয়নি। নতুন আইনে শুধু সরকারি দল এবং তাদের নিয়োগকৃত কতিপয় ব্যক্তির মতামতের বিধান রাখা হয়েছে।

তারা আরও বলেন, বর্তমান সরকারের সময়ে ‘সার্চ কমিটি’র মাধ্যমে গঠিত বিগত দুটি নির্বাচন কমিশন সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনে ব্যর্থ হওয়ার মাধ্যমে সুস্পষ্ট প্রমাণিত হয়েছে যে দলীয় সরকারের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়। রাজনৈতিক নেতাদের ঐকমত্য ব্যতীত নির্বাচন কমিশন গঠন করা হলে তাতে জনমতের চাওয়া প্রতিফলিত হবে না; বরং বিগত বিতর্কিত দুটি কমিশনের মতোই হবে।

সংবাদ সম্মেলনে দলটি সদস্য সচিব নুরুল হক বলেন, বিগত দুটি বিতর্কিত নির্বাচন কমিশন গঠনের দায়মুক্তির বিধান রেখে, নির্বাচন কমিশন গঠনে বিরোধী রাজনৈতিক দলের সাংসদ ও রাজনৈতিক নেতাদের মতামতের কোনো সুযোগ না রেখে সরকারি দলের পছন্দমতো নির্বাচন কমিশন গঠনের নিমিত্তে যে আইন পাস করা হয়েছে, তা নির্বাচনী সংকটকে আরও ঘনীভূত করবে। এ ধরনের গণবিরোধী আইনকে গণতন্ত্রের জন্য অশনিসংকেত বলে মনে করে গণ অধিকার পরিষদ। তাই নির্বাচন কমিশন গঠনে রাজনৈতিক ঐকমত্যকে গুরুত্বের আহ্বান জানান তিনি।

গণ অধিকার পরিষদের আহ্বায়ক রেজা কিবরিয়া বলেন, বিরোধী দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা না করে এ সিদ্ধান্ত নেওয়ায় দেশ-বিদেশে সমালোচনা চলছে।

তিনি বলেন, আমাদের পার্শ্ববর্তী দেশ শ্রীলঙ্কা ও পাকিস্তান সবার সঙ্গে আলোচনা করে নির্বাচনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়। কিন্তু আমাদের দেশে ভিন্ন। এর কারণে সাধারণ মানুষও বিপদে পড়বে।

রেজা কিবরিয়া আরও বলেন, গত ৩০ ডিসেম্বর আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছিলেন, অনেক সময় লাগবে। কিন্তু হুট করে ১০ দিনের মধ্যে আইন করে রাজনৈতিক পরিস্থিতি ঘোলা করা হয়েছে।

সংবাদ সম্মেলনে এ সময় উপস্থিত ছিলেন সংগঠনটির যুগ্ম আহ্বায়ক রাশেদ খান, ফারুক হাসান, সোহরাব হোসেন, শাকিল উজ্জামান, শহিদুল ফাহিম, যুগ্ম সদস্যসচিব আতাউল্লাহ, আব্দুজ জাহের, ফাতেমা তাসনিম, নাজমুল হুদা প্রমুখ।

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
তত্ত্বাবধায়ক সরকার,দাবি,গণ অধিকার পরিষদ
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close