পৌরসভা নির্বাচন নিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোটারদের ব্যাপক অংশগ্রহণ ও উৎসব আমেজে ভোটাধিকার প্রয়োগের মাধ্যমে নির্বাচন নিয়ে যারা মিথ্যাচার করে, তার জবাব দিয়েছে জণগণ। স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণের জন্য ভোটারদের এবং নির্বাচন কমিশনকে আন্তরিক অভিনন্দন জানান তিনি।

ওবায়দুল কাদের শনিবার সন্ধ্যায় তার সরকারি বাসভবন থেকে দ্বিতীয় ধাপের পৌরসভা নির্বাচন পরবর্তী প্রতিক্রিয়ায় এ এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, দেশের ভোটের সাংস্কৃতি নিয়ে বিএনপির মিথ্যাচারের জবাব দিয়েছে নোয়াখালীর বসুরহাট পৌরসভার ভোটারগণ। বসুরহাট পৌরসভা নির্বাচনে বিএনপির প্রার্থীও যেখানে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন হয়েছে বলে গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, সেখানে অন্ধকারে ঢিল না ছুঁড়ে মির্জা ফখরুলকে নিজ দলের প্রার্থীর কথা অনুধাবন করার আহবান জানান তিনি। নির্বাচনে জয় পরাজয় থাকবে, তবুও স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানসমূহকে শক্তিশালী করার মাধ্যমে গণতন্ত্রকে এগিয়ে নিতে এ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য সকল প্রার্থীদেরও ধন্যবাদ জানান ওবায়দুল কাদের।

আরও পড়ুন : ভোটে জিতলেন সেই কাদের মির্জা

তিনি ভোটারদের ব্যাপক অংশগ্রহণ ও ভোটাধিকার প্রয়োগ ইভিএম এর ক্রমবর্ধমান জনপ্রিয়তাই প্রমাণ করে বলেও জানান। বিএনপি উদ্দেশ্যমূলক বিরোধিতা করলেও দেশের জণগণ অত্যন্ত সাবলিলভাবে ইভিএম- এ ভোট প্রদান করছে জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, ডিজিটাল প্রযুক্তি ব্যবহারে জণগণ ইতোমধ্যে অভ্যস্ত হয়ে উঠলেও বিএনপির মানসিকতা এখনে এনালগ রয়ে গেছে। তাই তারা এ পদ্ধতির বিরোধিতা করে।

বিএনপি মুখে স্বচ্ছতার কথা বললেও প্রকৃতপক্ষে প্রযুুক্তি বিমূখ এবং পিছিয়ে পড়া ধ্যানধারনা আঁকড়ে ধরে বসে থাকতে চায় বলেও উল্লেখ করেন ওবায়দুল কাদের। নোয়াখালীর বসুরহাট পৌরসভা নির্বাচন নিয়ে গণমাধ্যম এবং রাজনৈতিক মহলে ব্যাপক আগ্রহ ছিলো উল্লেখ করেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। তিনি বলেন, সেখানেও অবাধ, শান্তিপূর্ণ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বিএনপির প্রার্থীরা ভোটের পরিবেশ ও ভোটাধিকার প্রয়োগ নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করলেও তাদের কেন্দ্রীয় নেতারা শুধুমাত্র সমালোচনার জন্য সমালোচনা করছে, যা অত্যন্ত দুঃখজনক বলে মনে করেন ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, প্রথমবারের মতো বসুরহাট পৌরসভা নির্বাচনে ইভিএম -এ ভোট হয়েছে এবং ৬০ ভাগেরও বেশি ভোটার উপস্থিত ছিলেন, অথচ মির্জা ফখরুল সাহেব আমাকে ব্যক্তিগতভাবে আক্রমণ করে যেসব কথা বলেছেন, তার জবাব আমি না দিলেও বসুরহাট পৌরসভার ভোটারগণ শান্তিপূর্ণ ও স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণের মাধ্যমে এর জবাব দিয়েছেন।

তিনি বলেন, দেশের নির্বাচন ব্যবস্থাকে প্রশ্নবিদ্ধ করার যে অপপ্রয়াস অবিরাম চালিয়ে যাচ্ছে বিএনপি, তা আর হালে পানি পাচ্ছে না। জনগণ এখন আর বিএনপি নেতাদের মিথ্যাচারে বিশ্বাস করে না।

বসুরহাটে যে নির্বাচন হয়েছে এমন নির্বাচনই চান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, উল্লেখ করেন ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, এ নির্বাচনকে অনেকেই স্বচ্ছতার জন্য বসুরহাট মডেল হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন। তিনি বলেন বিএনপি ভোটে হারার আগেই হেরে বসে থাকে, তারা রাজপথ ভয় পায়, আন্দোলনেও ভয় পায়।

তিনি বলেন, জনগণের চোখের ভাষা, মনের ভাষা বুঝে রাজনীতি করে আওয়ামী লীগ। তাই পরিবারের কে কোথায় কি বললো, সেটা বিষয় নয়। প্রত্যেকের ব্যক্তিগত ওপিনিয়ন থাকতে পারে।

আভ্যন্তরীন গণতন্ত্র চর্চার সুযোগ রয়েছে আওয়ামী পরিবারে, আবার গঠনতন্ত্র বিরোধী কার্যকলাপের জন্য শাস্তির বিধানও যথাযথভাবে কার্যকর করা হয়, যা বিএনপির রাজনৈতিক চর্চায় নেই।