বিশ্ব শান্তিসূচকে ভারত-পাকিস্তানের চেয়ে এগিয়ে বাংলাদেশ
অস্ট্রেলীয় গবেষণা প্রতিষ্ঠান ইনস্টিটিউট ফর ইকোনমিকস অ্যান্ড পিস (আইইপি) প্রকাশিত বিশ্ব শান্তিসূচকে ভারত ও পাকিস্তানের চেয়ে অনেকে এগিয়ে রয়েছে বাংলাদেশ।
নিরাপত্তা ও সুরক্ষাব্যবস্থা, সামরিকায়ন এবং চলমান সংঘাতের মাত্রার হারের ভিত্তিতে এই প্রতিবেদন তৈরি করে আইইপি। এই সূচকে বাংলাদেশের অবস্থান এখন ৯১তম।
তবে এই সূচকে বাংলাদেশের চেয়ে এগিয়ে রয়েছে ভুটান ও নেপাল। জিপিআইতে ভুটানের অবস্থান ২২তম আর নেপালের ৮৫। ভারত ও পাকিস্তান আছে বাংলাদেশের চেয়ে অনেক পিছিয়ে। দেশ দুটির অবস্থান যথাক্রমে ১৩৫ ও ১৫০।
এ প্রেক্ষাপটেই সারা বিশ্বের ন্যায় বাংলাদেশেও আজ পালিত হচ্ছে আন্তর্জাতিক শান্তি দিবস। তবে দেশের সাধারণ জনগণের বেশির ভাগই জানেন না শান্তি দিবস কী আর শান্তি সূচকে বাংলাদেশ আছেই-বা কোথায়।
কথা হয় একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত মীর হেলালের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘শান্তি সূচক আর শান্তি দিবস দিয়ে হবেটা কী, শান্তি তো নাই। জীবনটা টিকিয়ে রাখতেই হিমশিম খাচ্ছি আমরা। দিবস পালন করে কী হবে?
রেজাউল করিম নামে এক রিকশাচালকের বক্তব্য, ছোটকালে খাওনের অভাব আছিল, কিন্তু শান্তিতে আছিলাম। এহন খাওনের অভাব নাই। শান্তিটাও নাই।
শান্তি নেই কেন এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, সবার মাঝেই কেমন একটা অসুখি ভাব। আমার রিকশায় এত মানুষ ওঠে, এত কথা কয়, কারও মুখে একটু শান্তির কথা শুনছি না।
সাধারণ মানুষ শান্তি খুঁজে না পেলেও বিশ্ব শান্তি সূচক বলছে, গত এক দশকে বাংলাদেশে শান্তির ক্ষেত্রে ইতিবাচক পরিবর্তন এসেছে। গত জুনে প্রকাশিত এই সূচকে বলা হয়েছে, ২০০৯ সালে পজিটিভ পিস ডেফিসিটে (ইতিবাচক শান্তির ঘাটতি) থাকা ৩৯টি দেশের মধ্যে ২৭টি, অর্থাৎ প্রায় ৭০ শতাংশেরই অবনতি ঘটেছে। মাত্র ১২টি দেশেরই এ ক্ষেত্রে উন্নতি হয়েছে। এর মধ্যে আছে বাংলাদেশ।
পিডিএসও/ইউসুফ