তামার বোতলে পানি খেলে যেসব বিষয় মেনে চলবেন
স্বাস্থ্য সচেতনতার অংশ হিসেবে আজকাল অনেকেই তামার বোতলে পানি খান। তামার পাত্রে রাখা পানি পান করলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে ও হজমশক্তি ভালো হয়। এ ছাড়া ওজন কমানো, বাতের ব্যথা, কোলেস্টেরল এবং উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণের জন্যও এই পানি উপকারী।
ভারতীয় পুষ্টিবিদ কিরণ কুক্রেজার মতে, তামার পাত্রে রাখা পানি পান শরীরের জন্য উপকারী তবে সঠিক পদ্ধতি মেনে খাওয়া উচিত। এ কারণে তামার পাত্রে রাখা পানি পান করার ক্ষেত্রে প্রচলিত ভুলগুলো এড়ানো প্রয়োজন। তা না হলে এসব ভুল আপনার স্বাস্থ্যকে প্রভাবিত করতে পারে এবং শরীরে বিষক্রিয়া সৃষ্টি করতে পারে।
তামার বোতল থেকে পানি পান করার সময় তিনটি ভুল এড়িয়ে চলার কথা জানিয়েছেন পুষ্টিবিদ কিরণ কুক্রেজা। যেমন-
সারা দিন ধরে তামার বোতলে পানি খাওয়া: উপকারের আশায় অনেকেই সারা দিন ধরে তামার বোতলে রাখা পানি খান। এই অভ্যাসে শরীরে বিষাক্ততা ছড়ানোর ঝুঁকি থাকে। সারা দিন ধরে তামার বোতলে রাখা পানি খেলে বমি বমি ভাব, মাথা ঘোরা, পেটে ব্যথা হতে পারে। দীর্ঘ দিন ধরে এমন অভ্যাস চলতে থাকলে লিভার এবং কিডনি পর্যন্ত বিকল হয়ে যেতে পারে। যদি অতিরিক্ত পরিমাণে তামা পানিতে মিশে যায়, তাহলে স্বাস্থ্যের উপর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হতে পারে।
প্রতি দিন তামার বোতল ধোওয়া: প্রতিবার ব্যবহারের পর অন্য সব ব্যবহারযোগ্য বোতলের মতো তামার পানির বোতলও নিয়মিত পরিষ্কার করা হয়। এটা ঠিক নয়। কার্যকারিতা ঠিক রাখতে প্রতি ৩০ দিনে একবার লবণ এবং লেবু ব্যবহার করে তামার বোতল পরিষ্কার করার পরামর্শ দেওয়া হয়। তবে প্রতিবার পানি খাওয়ার পর তামার বোতল শুধু পানি দিয়ে ধুয়ে নিতে পারেন বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
তামার বোতলে বা গ্লাসে লেবু ও মধু মেশানো পানি খাওয়া : অনেকেরই সকালবেলা হালকা গরম পানিতে লেবুর রস এবং মধু দিয়ে খাওয়ার অভ্যাস রয়েছে । কিন্তু এই মিশ্রণ তামার গ্লাসে রাখা বা খাওয়া যাবে না। লেবুতে থাকা অ্যাসিড, তামার সংস্পর্শে এলে বিক্রিয়া শুরু করে। এতে পেটে ব্যথা, গ্যাসের সমস্যা ও বমি হতে পারে। সূত্র: ইন্ডিয়া ডট কম