ঈদে মজাদার বিফ রেজালা
মাত্র কয়েকদিন বাকি ঈদের। এই ঈদে কী কী রান্না করবেন তার একটা তালিকা করে নিন। তালিকায় রাখতে পারেন মজাদার বিফ রেজালা। পোলাও, সাদাভাত, পরোটা সবকিছুর সাথেই বিফ রেজালা খেতে দারুণ লাগে। অতিথি আপ্যায়নে কিংবা যেকোনো সেলিব্রেশনের স্পেশাল মেন্যুতে গরুর মাংসের রেজালা দারুণ মানিয়ে যায়।
জেনে নিন বিফ রেজালা তৈরি করতে যা যা লাগে :
গরুর মাংস ১ কেজি, টকদই ১ কাপ, পেঁয়াজ বাটা ৩ চা চামচ, আদা বাটা ২ চা চামচ, রসুন বাটা ১ চা চামচ, মরিচের গুঁড়ো ২ চা চামচ, গোলমরিচের গুঁড়ো ১ চা চামচ, বাদাম বাটা ২ চা চামচ, তেল ১/২ কাপ, গরম মসলার গুঁড়ো ১ চা চামচ, তেজপাতা, এলাচ ও দারচিনি ২ টি করে, জিরার গুঁড়ো ১ চা চামচ, কেওড়ার জল- সামান্য, লবণ স্বাদমতো,
যেভাবে তৈরি করবেন ঝাল ঝাল বিফ রেজালা :
১) প্রথমে মাংস ছোট ছোট করে কেটে নিতে হবে। চাইলে মাঝারি সাইজের টুকরো করে নিতে পারেন। তারপর ভালোভাবে ধুয়ে পানি ঝরিয়ে নিন।
২) মাংসের সাথে আদা বাটা, রসুন বাটা, মরিচের গুঁড়ো, জিরার গুঁড়ো, ফেটানো টকদই ও পরিমাণ মতো লবণ ভালোভাবে মিশিয়ে ম্যারিনেট করে রাখুন।
৩) মসলা মাখানো মাংস ঘণ্টাখানেক রেখে দিলে ভালো হয়।
৪) একটি বড় প্যানে তেল গরম করে তেজপাতা আর গোটা গরম মসলা ফোঁড়ন দিন। তারপর পেঁয়াজ বাটা দিয়ে কিছুক্ষণ নাড়াচাড়া করুন।
৫) এবার ম্যারিনেট করা মাংস এতে ঢেলে দিন এবং খুব ভালোভাবে কষিয়ে নিতে হবে। কষানোর সময় সামান্য পানি দিতে পারেন। মাঝারি আঁচে সময় নিয়ে মাংস কষালে সেটার স্বাদ ও রঙ দুইটাই ভালো হবে।
৬) কষানোর পর যখন তেল ভেসে উঠবে, তখন পরিমাণমতো পানি দিয়ে দিন। এবার ঢাকনা দিয়ে ঢেকে মাংস রান্না করুন।
৭) কিছুক্ষণ পর পর ঢাকনা তুলে নেড়ে দিতে হবে যাতে গ্রেভি না পুড়ে যায়। গরুর মাংস সেদ্ধ হতে কিছুটা সময় লাগবে।
৮) মাংস সেদ্ধ হয়ে আসলে এতে বাদামের পেস্ট ও গরম মসলার গুঁড়ো দিয়ে দিন। এখন চুলার আঁচ একদম কমিয়ে দিন।
৯) এবার ভালোভাবে নেড়ে নিয়ে ৫/১০ মিনিট দমে রাখুন। নামানোর আগে সামান্য কেওড়ার জল দিতে পারেন।
গরম গরম পরিবেশন করুন মজাদার বিফ রেজালা।