reporterঅনলাইন ডেস্ক
  ২৩ জানুয়ারি, ২০২১

ফ্যামিলি প্ল্যানিং-এর কথা ভাবছেন?

'ঘুমিয়ে থাকে শিশুর পিতা সব শিশুরই অন্তরে'- আজ যে শিশু, কাল সে কারোর স্বামী, কয়েকদিন পর কারোর বাবা...এভাবেই চক্রাকারে চলছে জীবন। সন্তানের আকাঙ্খা থাকে সব মা-বাবার মধ্যেই। ছেলে অথবা মেয়ে যাই হোক না কেন তাকে সুস্থ ভাবে বড় করে তোলাই যে কোনও বাবা-মায়ের লক্ষ্য। আর তাই সংসারে তৃতীয় ব্যক্তির আগমনের আগে বেশ কিছু নিয়ম মেনে চলার কথা বলেন বিশেষজ্ঞরা। যার মধ্যে প্রথম হল মানসিক ও শারীরিক ভাবে আপনি গর্ভধারণের জন্য প্রস্তুত কিনা। গর্ভধারণ এবং তার পর সন্তানের জন্ম একটা লম্বা প্রক্রিয়া। সময়, ধৈর্য্য এইসবের সঙ্গে প্রয়োজন শারীরিক সুস্থতাও। নইলে হবু মা এবং গর্ভস্থ সন্তানের উপর সেই প্রভাব পড়ার সম্ভাবনা রয়ে যায়। যে কারণে হবু মায়ের মানসিক ভাবে সুস্থ থাকা খুব জরুরি। স্বামী-স্ত্রী দুজনেই যদি ভাবেন, এবার আপনাদের সংসারে সন্তানের প্রয়োজন তাহলে অবশ্যই প্রথমে কথা বলুন চিকিৎসকের সঙ্গে। তিনি আপনার প্রয়োজনীয় পরীক্ষা- নিরীক্ষা করে দেখবেন আদৌ আপনি মা হওয়ার জন্য ফিট কিনা। এছাড়াও এখন অল্প বয়সেই ডায়াবিটিস, হাই ব্লাড প্রেসার এসব অনেকেরই থাকে। থাকে ওবেসিটির সমস্যাও। কারণ সময় বদলেছে। সকলেই এখন ব্যস্ত কর্মক্ষেত্রে। পরিবারের চাপে বাধ্য হয়ে সন্তান আনার সিদ্ধান্তের থেকে তারা জোর দেন নিজেদের জীবনযাত্রায়। নিজের ক্যারিয়ার, স্বপ্ন এবং অবশ্যই ব্যাংক ব্যালেন্স এই সবকিছুই জড়িত ফ্যামিলি প্ল্যানিং-এর সঙ্গে। আর হবু মায়ের বিএমআই যদি ৩০ এর বেশি হয় সেক্ষেত্রে সন্তান ধারণে আসুবিধা হয়।

যে যে কারণে গর্ভধারণের আগে ওজন কমাবেন

ওজন বেশি হলেই ঝুঁকি বেড়ে যায় গর্ভধারণে। এমনকী গর্ভস্থ সন্তানের ক্ষতিও হতে পারে। এছাড়াও ওজন বেশি থাকে ওভ্যালিউশন কম হয়। যারা আইভিএফ করাতে চান ওজন বেশি থাকলে তাদের ক্ষেত্রেও ঝুঁকি বাড়ে। সফল আইভিএফ হয় না।

প্রেগন্যান্সির সময় ওজন বেশি থাকলে নানারকম সমস্যা আসে। আর সেই প্রভাব পড়ে গর্ভস্থ সন্তানের উপর। গর্ভস্থ সন্তানের মস্তিষ্কের বিকাশ হয় না ঠিক ভাবে।

মিসক্যারেজের সম্ভাবনা বেড়ে যায়। এছাড়াও যাদের ওজন বেশি তাদের আগে ডায়াবিটিস না থাকলেও গর্ভধারণের পর সেই সম্ভাবনা বেড়ে যায়। সেখান থেকেও গর্ভপাত হতে পারে। এমনকী রক্তচাপ বেড়ে গিয়ে কিডনির সমস্যাও আসতে পারে।

এখন বেশিরভাই মা সন্তানের জন্ম দেন সি সেকশন পদ্ধতিতে। তাই ধূমপান, মধ্যপানের অভ্যাস থাকলে গর্ভধারণের এক বছর আগে থেকে সেই সব অভ্যাস ছেড়ে দিন। গর্ভধারণের পর এমনিই ৭ থেকে ১১ কেজি ওজন বেড়ে যায়। সেই সঙ্গে যদি আগেই বাড়তি ওজন থাকে, তাহলে দুয়ে মিলে অনেক খানিই ওজন বাড়ে। যেখান থেকে পরবর্তীতে প্রচুর সমস্যা আসে।

তাই, সন্তান ধারণের আগে

স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ এবং ডায়াটেশিয়ানের পরামর্শ নিন। সেইমতো ওষুধ খান। ডায়েট মেনে খাওয়াদাওয়া করতে হবে।

নিয়মিত চিকিৎসকের পর্যবেক্ষণে থাকুন।

হাঁটা, সাঁতার, ব্যায়াম বা জিম যে কোনও একটা করতেই হবে। সেই সঙ্গে নিয়মিত যোগা করুন।

বাইরের খাবার একদম বাদ। সুগার ও প্রেসার নিয়ন্ত্রণে রাখুন। প্রতিদিন অন্তত ১ ঘন্টা করে শরীরচর্চা করতেই হবে।

পিডিএসও/ জিজাক

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
ফ্যামিলি প্ল্যানিং
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close