প্রতিদিনের সংবাদ ডেস্ক

  ০৮ মার্চ, ২০২১

বীর মুক্তিযোদ্ধা নাসির উদ্দীন ইউসুফ

প্রথম অপারেশন কাকরাইলে পেট্রল পাম্প

নাট্যজন নাসির উদ্দীন ইউসুফ কেবল সাংস্কৃতিক অঙ্গনেরই যোদ্ধা নন, স্বাধীনতাযুদ্ধেরও বীর গেরিলা। একাত্তরের ২৫ মার্চ রাতে ঢাকায় নিজ এলাকায় ব্যারিকেড দিয়েছিলেন বন্ধুদের সঙ্গে মিলে।

তার ভাষায়, ‘১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ রাতে যখন পাকিস্তান সেনাবাহিনী নিরস্ত্র বাঙালির ওপর আক্রমণ করে, তখন ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের সদস্য হিসেবে, কর্মী হিসেবে আমাদের বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন দায়িত্ব ছিল। ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের সদস্য হিসেবে আমি পল্টন এলাকার দায়িত্বে ছিলাম এবং আমাদের বিকাল বেলায় জানানো হলো যে, পাকিস্তান সেনাবাহিনী আক্রমণের প্রস্তুতি নিচ্ছে এ রকম একটি রিউমার ছড়িয়ে পড়েছে। সুতরাং প্রস্তুতি নেওয়া হোক। রাত ৮টার দিকে আমরা নিশ্চিত হলাম যে, পাকিস্তান সেনাবাহিনী ঢাকা আক্রমণ করছে। বাঙালি কিছু সেনাসদস্য ভেতর থেকে সংবাদগুলো দিয়েছে। এখন যেটাকে শেরেবাংলা নগর বলি, তখন সেকেন্ড ক্যাপিটাল বলা হতো, সেখানে পাকিস্তান বাহিনী তাদের সমরযান, যুদ্ধ যানগুলো জড়ো করছিল। আমার এখনো মনে আছে যে, রমনা পার্কের পাশে প্রধান বিচারপতির বাসভবন, এর উল্টো দিকে খ্রিস্টানদের কেন্দ্রীয় চার্চ, সেখান থেকে শুরু করে একেবারে হাটখোলা রোড পর্যন্ত পুরো এলাকা আমরা গাছ কেটে বড় বড় পাইপ উঠিয়ে ব্যারিকেড দিয়েছিলাম। পাইপগুলো আনা হয়েছিল স্যুয়ারেজের জন্য এবং অনেক ইট আনা হয়েছিল রাস্তাটাকে প্রশস্ত করার জন্য। জোনাকির (জোনাকি সিনেমা হল) রাস্তাটা যেটা বাংলাদেশ ব্যাংক হয়ে চলে গেছে মধুমিতার সামনে দিয়ে। যে যেখানে আমরা থাকতাম তাকে সেখানে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। যেমন কাকরাইল থেকে জোনাকি পর্যন্ত আমি, মানিক (মুক্তিযুদ্ধে শহীদ), শহীদ, জামি, কাজী শাহাবুদ্দিন, শাহজাহান ববি, কাজী আল-হাসান, রাইসুল ইসলাম আসাদ (অভিনেতা), ওমর, মাহবুব, এমরান দায়িত্বে ছিল। আরামবাগের ওইখানে সালামসহ অনেকে জড়িত ছিল। আজম খানরা মতিঝিলের দিকে, যদি আরেকটু পরে যান তাহলে সাদেক হোসেন খোকাসহ অনেকেই ব্যারিকেড দেওয়ার সঙ্গে জড়িত ছিল।’

নাসির উদ্দীন ইউসুফ বলেন, ‘২৫ মার্চ রাত ১১টার পরে প্রথম ট্যাংকের শব্দ শুনি, কামানের গোলার শব্দ জীবনে প্রথম কানে শোনা। কামানের শেলগুলি মাথার ওপর দিয়ে যাচ্ছে, আমরা রাস্তার ওপরে শুয়ে আছি, যেখানে এখন নর্থসাউথ রোডের লিংকটা। কাকরাইলের সঙ্গে নর্থসাউথ রোড যেখানে লিংক করেছে পল্টন থেকে সেই জায়গাটায় শুয়ে আছি, গাছের আড়ালে, হাতবোমা নিয়ে। তখন আমরা দেখতে পাচ্ছি যে, দূর থেকে প্রথমে কামানের গোলা ছুড়ল, সেটা বিচারপতির ভবনের সামনে গিয়ে পড়ল। ওইটাকে কী বলব ট্রায়াঙ্গেল, রাস্তার তিন মাথা। তিন মাথা থেকে যখন ওটা ছুড়ে মেরেছে, গোলাগুলি আসছে আর দুপাশের বাড়িঘরগুলো ভাঙছে, তখন আমরা বিস্মিত হলাম। আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাডেট কোরে ছিলাম, কিন্তু আমাদের কোনো অভিজ্ঞতা নেই, আমরা বুঝতে পারছিলাম না যে কী করব, তা ছাড়া আমাদের হাতে হাতবোমা ছাড়া আর কিছু ছিল না। এমরানের হাতে একটা পিস্তল ছিল শুধু। যা হোক, পাকিস্তান সেনাবাহিনী সহজে রোল ডাউন করল, তারা আমাদের পাইপ, ইট, গাছগুলো মুহূর্তের মধ্যে উড়িয়ে দিল ট্যাংক থেকে গোলা মেরে। পরে জেনেছি, সেটা রিকোয়েলেস রাইফেল। আর বেশ কিছু আর্মার্ডকারও ছিল। ওখান থেকে মেরে মেরে তারা এগোচ্ছিল। কোন দিকে গিয়েছিল বুঝতে পারছিলাম না আমরা। দেখি ঘণ্টাখানেকের মধ্যে চারদিকে আগুনও জ্বলতে শুরু করল। এর মধ্যে আমরা পুরানা পল্টন লাইনে আমাদের বাসার দিকে সরে গেলাম এবং দেখলাম, ট্যাংকগুলো এগিয়ে যাচ্ছে সবকিছু দুমড়ে-মুচড়ে। একটু পরে বুঝতে পারলাম যে, লড়াই শুরু হয়েছে রাজারবাগে। তারা বিভিন্ন সুনির্দিষ্ট জায়গায় গিয়েছে। রাজারবাগে যখন লড়াইটা চলছে আমরা আওয়াজ পাচ্ছি।’ তিনি বলেন, ‘ভোর ৪টা থেকে সাড়ে ৪টার দিকে যখন রাজারবাগে আগুন জ্বলছে তখন দেখলাম, কিছু পুলিশ হাফপ্যান্ট পরে, কিছু কিছু পুলিশ জাইঙ্গা পরে, কোনো কোনো পুলিশ লুঙ্গি পরে হাতে রাইফেল নিয়ে আসছে আর বলছে, আমাদের একটু কাপড় দেন। আমরা কিছু কাপড়, কিছু খাওয়া দিলাম আর তারা রাইফেলটা রেখে চলে গেল। আমরা রাইফেলগুলো জোগাড় করলাম। আমার মনে আছে যে, আমরা এরকম ১৭টি রাইফেল জোগাড় করেছিলাম। এই ১৭টি রাইফেল আমার বন্ধু বেবির বাসায় লুকিয়ে রাখলাম। কিছু গুলিও পেলাম। যেহেতু ইউনিভার্সিটিতে আমরা ক্যাডেট কোরের সদস্য ছিলাম সেহেতু আমাদের জানা ছিল রাইফেলগুলো ছোড়ার কৌশল। কিন্তু অতটা দক্ষ আমরা ছিলাম না।’

এই বীর মুক্তিযোদ্ধা বলেন, ‘মার্চের ২৭ তারিখ কারফিউ প্রত্যাহারের পরে আমরা এই অস্ত্রশস্ত্রসহ বুড়িগঙ্গা ক্রস করে চলে গেলাম নদীর ওপারে। কেরানিগঞ্জের ওখানে কলাতিয়া অঞ্চলটায়। ওই অঞ্চলে গিয়ে আমরা ট্রেনিং শুরু করলাম। আমাদের ওখানে কিছু ইপিআরের বাঙালি সদস্য ছিল, যারা পিলখানা আক্রান্ত হওয়ার পর ২৫ (মার্চ) তারিখ রাতে পালিয়ে গিয়েছিল। তারা কিছু এলএমজি নিয়ে গিয়েছিল। অস্ত্রশস্ত্রসহ কিছু গ্রেনেড তাদের সঙ্গে ছিল। যারা বাঁচতে পেরেছে তারা অনেকেই চলে গেছে কামরাঙ্গীচরের ওখান দিয়ে সোজা আটি, কলাতিয়া, ভাওয়াল, বসিলা এই অঞ্চলটায়। আমরা তাদের থেকে আরেকটু ভালোভাবে প্রশিক্ষণ নেওয়া শুরু করলাম। কিন্তু ২ এপ্রিল পাকিস্তান সেনাবাহিনী জিঞ্জিরা আক্রমণ করল। ২৫ তারিখের পর কয়েক লাখ লোক জিঞ্জিরায় আশ্রয় গ্রহণ করেছিল। পাকিস্তান সেনাবাহিনী ২ এপ্রিল সকাল বেলায় আজান পড়ার মুহূর্তে জিঞ্জিরায় আক্রমণ করল এটাকে ওরা বলে, হিট আওয়ার। ওরা যখন নৌযানগুলো থেকে নেমে আগুন জ্বালাতে জ্বালাতে এবং গুলি করতে করতে তাদের গাড়িগুলো নিয়ে ওই রাস্তা ধরে ঢোকা শুরু করল, তখন ঢাকা শহর থেকে পালিয়ে আসা কয়েক লাখ লোকের জীবন বিপন্ন। ওই এলাকার লোক যারা আমাদের আশ্রয় দিয়েছিল, তাদের জীবন বিপন্ন। পাকিস্তান আর্মি হাজার হাজার মানুষকে দৌড়িয়ে ঘেরাও করে একটা মাঠের মধ্যে নিয়ে শরীরে গান পাউডার দিয়ে আগুন ধরিয়ে দেয়। আমি জ্বলন্ত মানুষকে দেখেছি দৌড়ে যেতে, চোখের সামনে দিয়ে। যারা পালানোর চেষ্টা করছিল তাদের গুলি করে। আমাদের রেজিস্ট্যান্সের কোনো ক্ষমতা ছিল না।’

নাসির উদ্দীন ইউসুফ বলেন, ‘লোকমুখে খবর নিয়ে জানলাম, চট্টগ্রামের সীতাকু-ের মিরেরসরাই অঞ্চলে শুভপুর ঘাটের ওখানে যুদ্ধ চলছে অনেক বড় করে। আমি ঢাকা থেকে হেঁটে রওনা দিলাম। আমি সোজা হাঁটতে হাঁটতে মিরেরসরাই গিয়েছিলাম। ঢাকা থেকে মিরেরসরাই যেতে তিন দিন লেগেছিল। তিন দিন হেঁটে আমার জ্বর এসে গিয়েছিল। তখন আমার হাঁটার অভ্যাস নেই, গ্রাম দেখার অভিজ্ঞতা নেই। ঢাকা শহরে জন্ম, এখানেই বড় হয়েছি। আমি মিরেরসরাই যখন গিয়েছি তখন মিরেরসরাই ফল করেছে। এপ্রিল মাসের ১৫ তারিখ হয়ে গেছে এবং আমাদের আর্মির সবাই চলে গেছে ভারতে।’ তিনি বলেন, ‘তখন আমি কর্ণফুলী পাড়ি দিয়ে, কালুরঘাটকে অ্যাভোয়েড করে সেই পটিয়া গিয়েছি হেঁটে হেঁটে। পটিয়া থেকে আবার হেঁটে কুমিল্লা হয়ে কাঁঠালিয়ায় ঢুকেছি। তখন আমার সঙ্গে মেজর ট্রেল বলে এক বিএসএফের মেজরের দেখা হয়। সে আমাকে জিজ্ঞাসা করে যে, ‘তোমাদের খবর কী?’ তখন আমি বললাম যে, এরকম অর্থাৎ যা দেখেছি তার বিবরণ দিলাম। তিনি বললেন, ‘এখানে কিছু বাঙালি অফিসার এসেছে। একজনের নাম হায়দার, একজনের নাম খালেদ। তোমরা কি কোনো কিছু জানো নাকি?’ আমি বললাম যে, না আমরা কিছু জানি। তবে আমরা চাই যুদ্ধ করতে। তিনি বলেন, ‘তাহলে তুমি লোকজন নিয়ে আসো আর ওদের সঙ্গে একটু কথা বল।’ ২২ এপ্রিল আমার সঙ্গে মেজর খালেদ মোশাররফ আর ক্যাপ্টেন এ টি এম হায়দারের দেখা হয়। তারা আমাকে বলেন যে, ‘তুমি ঢাকা থেকে ছাত্রদের নিয়ে আসবে। এখানে কিছু ছাত্র এসেছে, আরো কিছু ছাত্র দরকার, আমরা ক্যাম্প করব।’ তখন রাখালিয়া আর মতিনগর বলে দুই জায়গায় ক্যাম্প শুরু হয়েছে। আমি এর মধ্যে ঢাকায় ব্যাক করি। তারিখটা মনে নেই। আমি ঢাকায় এসে মানিক, বেবি, আসাদ, চুনী, টুনী, সাবুসহ আমাদের বিশাল গ্রুপ নিয়ে আবার মে মাসের মাঝামাঝি রওনা দেই ট্রেনিংয়ের উদ্দেশে।’

নাসির উদ্দীন ইউসুফ বলেন, ‘আমরা ঢাকার দিকে পেনিট্রেট করা শুরু করেছি সেপ্টেম্বরের শুরুতে। সবাইকে প্রথম ঢাকায় পাঠালাম আর্মস ছাড়া। আমাদের ৫২ জনের মধ্য থেকে আমি, আসাদ, মানিক অর্থাৎ ঢাকা শহরের যে কয়জন, তারা প্রথম ঢাকায় এলাম। আমাদের ঢাকায় এসে দেখতে হবে যে, কোন কোন জায়গাগুলোতে পাকিস্তান আর্মির কী অবস্থান। টোটাল একটা অবজারভেশন রিপোর্ট তৈরি করতে হবে, যেটাকে রেকি রিপোর্ট বলে। তারপর আমাদের সুনির্দিষ্ট জায়গাগুলোতে আক্রমণের প্ল্যান করতে হবে। এসব জায়গার মধ্যে ছিল রেডিও পাকিস্তান, পাকিস্তান ফেব্রিকেশন ডিআইটি, বায়তুল মোকাররম ইত্যাদি। ঢাকা শহরের বেশ কিছু লক্ষ্যবস্তু অপারেশনের জন্য ঠিক করে দিয়েছিলেন খালেদ মোশাররফ। ঢাকার এই অপারেশনের জন্য আমাদের যেমন দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল তেমনি করে মায়া, ফতেহ আলী, হাবিবুল আলম, কাজী কামাল উদ্দিন এই গ্রুপটাকে দায়িত্ব দেওয়া হয় আরেকটা প্লাটুনের। সেটা হচ্ছে ঢাকা দক্ষিণ, দক্ষিণ-পূর্ব। এরই মধ্যে ক্র্যাক প্লাটুন বলে খ্যাত মায়া, কাজী কামালউদ্দিন, ফতেহ আলী, হাবিবুল আলম, চাষী জিয়া, গাজী গোলাম দস্তগীর এরা যে অপারেশনগুলো করেছে সেগুলো সারা বিশ্বে এক ধরনের বিশাল আলোড়ন সৃষ্টি করেছিল।’ তিনি বলেন, ‘আমাদের আরো দায়িত্ব ছিল, কমিউনিকেশন ডিসরাপশন করা, রাস্তাঘাট ও ব্রিজগুলো ভেঙে দেওয়া, ইলেকট্রিক পাওয়ার সাপ্লাই বন্ধ করা, যাতে বিদ্যুৎ সরবরাহ বিঘ্নিত হয়, আর পেট্রল পাম্পগুলোতে আক্রমণ করা। সেখানে যেন পাকিস্তান হানাদার বাহিনী ফুয়েল না পায় সেটার ব্যবস্থা করা। এভাবেই আমরা আক্রমণের পরিকল্পনা করতে থাকি। তারই ধারাবাহিকতায় একটা দীর্ঘ সময় ধরে আমাদের অপারেশন চলে। এর মধ্যে প্রথমেই আমরা যেটা করি তা হচ্ছে, সরকারকে (মুজিবনগর সরকার) অর্থ পাঠানো। আমাদের নিজেদেরও চলার ব্যাপার আছে। আমাদের নিজেদের চলার ব্যাপারে আমরা জনগণের ওপর নির্ভরশীল ছিলাম। গ্রামবাসী, জেলে, কৃষক এরা সবাই আমাদের সমর্থন দিয়েছে।’

এই মুক্তিযোদ্ধা বলেন, ‘আমরা প্রথম যে অপারেশনটা ঢাকা শহরে করি, তা হলো কাকরাইলে পেট্রল পাম্প অপারেশন। এটা সফলভাবে আমরা সম্পন্ন করি। তারপরে আমরা ইংরেজিতে একটা পত্রিকা বের করা শুরু করলাম, নাম হচ্ছে গেরিলা। এটি ফেরদৌস নাজমী, তার বাবা হচ্ছে নাজমী সাহেব, তিনি চাকরি করতেন ইউসিসে, সেখানে আদমজি কোর্টে তাদের অফিস ছিল, সেখান থেকে স্টেনসিল কাটা হতো আর আমরা একটা সাইক্লোস্টাইল মেশিন সেগুনবাগিচা হাইস্কুল থেকে নিয়েছিলাম। পত্রিকাটি সাইক্লোস্টাইলে বের করতে হতো, অত্যন্ত পুরোনো একটা পদ্ধতি।’ তিনি বলেন, ‘আমাদের একটা গুরুত্বপূর্ণ অপারেশন ছিল মালিবাগ রেললাইন অপারেশন। এ অপারেশনটা আমরা ফেরদৌস নাজমীদের বাসা থেকে সম্পন্ন করেছিলাম। এই (২১ নভেম্বর, ১৯৭১) অপারেশনে আমরা সফলভাবে মালিবাগের কাছে রেললাইনের বড় একটি অংশ ধ্বংস করতে সক্ষম হয়েছিলাম। এর ফলে ঢাকার সঙ্গে কয়েক ঘণ্টা সারা দেশের রেল যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন ছিল।’

সূত্র বাংলাদেশ এশিয়াটিক সোসাইটি প্রকাশিত ‘ঢাকায় গেরিলাযুদ্ধ ১৯৭১’

পিডিএসও/হেলাল

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
অপারেশন,কাকরাইল,বীর মুক্তিযোদ্ধা,নাসির উদ্দীন ইউসুফ
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close