ক্রমেই বাড়ছে মাঙ্কি ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। এবার ইংল্যান্ডের ছাড়াও স্পেন ও পর্তুগালের মতো একাধিক দেশে মিলল মাঙ্কি পক্সে আক্রান্ত রোগী।

শুধু ইউরোপ নয়, আমেরিকার এক ব্যক্তি এই ভাইরাসে আক্রান্ত বলে জানা যায়। একই রকমের উপসর্গ দেখা দেওয়ায় পরীক্ষা করে দেখা হচ্ছে আরো বেশ কিছু ব্যক্তিকে।

গত ৭ মে প্রথম মাঙ্কি পক্সে আক্রান্ত রোগীর তথ্য মেলে লন্ডনে। ওই ব্যক্তি সম্প্রতি নাইজেরিয়া থেকে ফিরেছেন। তাই বিশেষজ্ঞদের ধারণা ছিল, আফ্রিকাতেই এই ভাইরাসের সংস্পর্শে আসেন তিনি। কিন্তু পরে কিভাবে ছড়িয়ে পড়ছে এই রোগ, তা নিয়ে নিশ্চিত নন বিশেষজ্ঞরা।

এতদিন চিকিৎসকদের ধারণা ছিল ‘ড্রপলেট’-এর মাধ্যমেই ছড়ায় এই রোগ। তাই বিশেষজ্ঞরা ভেবেছিলেন, শ্বাসনালি, ক্ষত স্থান, নাক, মুখ কিংবা চোখের মাধ্যমে এই ভাইরাস প্রবেশ করতে পারে সুস্থ ব্যক্তির দেহে। তবে নতুন আক্রান্তদের পরীক্ষা করে চিকিৎসকদের আশঙ্কা, যৌন মিলনের মাধ্যমেও ছড়াতে পারে মাঙ্কি ভাইরাস।

সেই মর্মে হুশিয়ারি দিয়ে বলা হয়, মাঙ্কি পক্সে আক্রান্ত কারো সঙ্গে যৌন মিলন হলে তার সঙ্গীও মাঙ্কি পক্সে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা থেকে যাচ্ছে। এমনটিই বিশেষজ্ঞদের একাংশের প্রাথমিক অনুমান।

বিশেষজ্ঞদের মতে, এটি এক বিশেষ ধরনের বসন্ত। জলবসন্ত বা গুটিবসন্তের প্রতিকার থাকলেও বিরল এই রোগটি নিরাময়ে সুনির্দিষ্ট কোনো চিকিৎসাপদ্ধতি জানা নেই চিকিৎসকদের।

এই রোগের প্রাথমিক উপসর্গের মধ্যে রয়েছে জ্বর, মাথা যন্ত্রণা, পিঠ ও গায়ে ব্যথার মতো লক্ষণ। দেখা দিতে পারে কাঁপুনি ও ক্লান্তি। সঙ্গে ছোট ছোট ক্ষতচিহ্ন দেখা দিতে থাকে শরীরে। হাম, বসন্ত, স্কার্ভি এবং সিফিলিসের কিছু কিছু লক্ষণের সঙ্গে এই রোগের উপসর্গগুলির কিছুটা মিল পাওয়া যায়। তাই অনেকেই এই রোগের প্রাথমিক উপসর্গগুলি চিনতে ভুল করেন। সূত্র : আনন্দবাজার